নিবন্ধন পেলে বিএনএফকে নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে ‘গমের শীষ’ বরাদ্দ দেয়া হবে এমন শঙ্কা থেকে নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছে বিএনপি।
Published : 21 Jul 2013, 04:50 PM
রোববার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে এ বিষয়ে আপত্তি জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার।
এ সময় শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ও রিজভী আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ১১ জুলাই নিবন্ধন প্রত্যাশী বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ নিয়ে মৌখিক অভিযোগ করে বিএনপি।
এম কে আনোয়ার বলেন, “দেশে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি করা হচ্ছে। আমরা উদ্বিগ্ন। এক এগারোর মতো বিএনপিকে ধ্বংস করার আরেকটটি সংকট সৃষ্টি করা হচ্ছে।”
“ধানের শীষ আর গমের শীষে তেমন কোনো পার্থক্য ব্যালটে বোঝা যায় না। ছবি করে দিলে দুটোই একই রকম দেখায়। ইসির ১৪১টি বরাদ্দ প্রতীকেও গমের শীষ নেই। এরপরও দলটিকে নিবন্ধন দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে।”
বিএনএফকে নিবন্ধনের জন্য বাছাই করাটা ইসির সঠিক হয়নি মন্তব্য করে এই বিএনপি নেতা জানান, এটি একটি ভুঁইফোড় সংগঠন। নাম সর্বস্ব এমন অনেক সংগঠন রয়েছে।
দশম সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ৪৩টি আগ্রহী দলের মধ্যে বিএনএফ ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট নামে দুটি দলকে বাছাই করেছে ইসি। তাদের সাংগঠনিক কাঠামো অনুসন্ধান শেষে তথ্য পূর্ণাঙ্গ করার জন্যে রোববার ১৫ দিন সময় দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। এখনো কাউকে নিবন্ধন দেয়া হয়নি। নিবন্ধন দেয়ার পর প্রতীক দেয়া হবে।”
অন্যদিকে বিএনপির অভিযোগকে এরই মধ্যে ‘ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তবাদী ফ্রন্ট-বিএনএফর প্রেসিডেন্ট আবুল কালাম আজাদ।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জিয়াউর রহমানের আদর্শেই তার প্রতিষ্ঠিত বিএনএফ-এর ধারাবাহিকতায় নতুন দল আত্মপ্রকাশ করেছি আমি। বিএনপিকে ভাঙার জন্য এ দল নয়। বরং বিএনপি নিজেদের ধরে রাখতে না পারলেই নিজে থেকেই ভেঙ্গে যাবে।”