সন্ধার আকাশে অন্ধকারের মশারি টানছে। নীল রঙের আকাশে ছাই রঙের চাদর যেন। আর আমি অতৃপ্ত চোখ, দুরু দুরু বুক আর গাল ভরা অভিমান নিএ বসে আছি অপেক্ষায়। জানালার গ্রিল এ মাথা রেখে ...কবে আসবে তুমি...
চোখের সামনে স্মৃতির পর্দা গুলো ধীরে ধীরে সরে যেতে থাকে ...আমি আনমনে কখনো হাসি কখন আবার ...
সারাদিনের ক্লান্তি শেষে যখন ৪ তলার ৩ রুমের ফ্ল্যাট টায় ঢুকতাম, ততক্ষনে আমার ঘরের দক্ষিন আর পশ্চিম এর জানালার ছোট্ট আকাশটা রঙ্গিন হয়ে সেজে উঠত। আমি বারান্দার দেয়ালে ঠেস দিএ দাড়িয়ে দিন-রাতের মিলনের উৎসবে মাতোয়ারা কমলা রঙের আকাশ টাকে দেখতাম। দিন ধীরে ধীরে মুখ লুকোচ্ছে রাতের বুকে। আমার বুক তখন তরতর করে কেপে উঠত অন্ধকারে মুখ লুকানোর অপেক্ষায়।
অপেক্ষা, অভিমান আর...হয়ত লজ্জায় ঠোঁট যেন কেপে কেপে উঠত। শাওয়ারে গিয়ে ঠান্দা, গরম আবার ঠাণ্ডা পানি.. ক্লান্তি মুছার অক্লান্ত চেষ্টা...ক্লান্তি যেন ঘুচতে চায়না, বুকটা ফাকা ফাকা মনে হত; তখন বুজতামনা কিসের অপেক্ষায়... এখন বুঝি...। কলিং বেলের টুংটাং শব্দের
এক দৌড়ে গিয়ে দরজা খুলতাম। তোমার স্রান্ত দুই চোখ, নোনতা ঘামে ভেজা মিষ্টি মুখ...। মুহূর্তে আমার ক্লান্তির অবসান।
তখন শুরু হত তোমার ক্লান্তি ধোয়ার অপচেষ্টা। এটা করি সেটা করি আর সাথে চলে আমার এলোমেলো, অগোছালো আর প্রসঙ্গবিহিন কথার তুড়ী। আচ্ছা তুমি কি আমার পাগলামি দেখে বিরক্ত হতে... নাকি ঠোঁট বাকিএ হাঁসতে... জানা হলনা
তুমি আবার অফিস এর কাজ গুছাতে বেস্ত হয়ে পরতে... আর আমি রাত বারার অপেক্ষায়
কখন তুমি রাতে না খাওয়ার বায়না ধরবে আর আমি রাতে না খাওয়ার কুফল হিসেবে ১০১ টা ডাক্তারি পরামর্শ সহ আরও অনেক লোভ দেখাবো...।এবং তুমি অবধারিত হার টা মেনে নিবে।
আমার হাত তখন তোমার চামচ এর কাজ করে, আমি তোমার মুখে খাওয়ার তুলে দিলে খেতে খেতে বাংলা অভিদানে কুখাদ্দের জন্য যে কয়টি শব্দ রয়েছে তার সব কইটা তোমার মুখে বর্ষিত হতে থাকে যদিও তোমার চোখ বলত অন্য কথা।
দেশবিদেশের নানান খবর নিতে বেস্ত তোমার বুকে মাথা রেখে আমিও টিভিতে চোখ রাখতাম। না আইসল্যান্ড এর অগ্ন্যুৎপাতের আগুনে কত এলাকা পুরে গেছে তা আমাকে একটুও বিচলিত করতনা। আমি ভাবতাম তোমার এই বুকে এত উষ্ণতা কত্থেকে এলো,সারাদিন কাঠফাটা রোদে পথে পথে ঘুরে ঘুরে তুমি কী আমার জন্য বুকে করে উষ্ণতা জমা করে নিএ এসেছ? কথায় পাওয়া যায় উষ্ণতা..বলে গেলে না ত...? এখন খুব জানতে ইচ্ছে করে...
আকাশে চাঁদ ভাসছে...মনে আছে? ছাদের পুব কোনের রেলিং এ বসে বসে কত পূর্ণিমার রাত আমরা কাটিয়ে দিয়েছি? দক্ষিণা বাতাস তোমার গা ছুঁয়ে আমার গায়ে উছলে পরতো; মনে হত তোমার গা ছোঁয়া বৃষ্টির পানিতে ভিজছি আমি। এখন কি তোমার গা ছুঁয়ে বৃষ্টি পরে...?
আমার হাত টা ধরে তুমি গুনগুন করে গান ধরতে... মাঝে মাঝে তুমি হটাৎ আনমনা হয়ে যেতে,গান বন্ধ হয়ে যেত, তুমি কি যেন খুঁজতে ... কি খুজতে, বাড়ী?
খুজলেই যখন আরেকটু বড় দেখে খুজলে না কেন? আমার তো খুব বেশি জায়গা লাগতনা... কেন এত স্বার্থপর হয়ে গেলে...।ঠিকানা পর্যন্ত জানিএ গেলেনা...
রাত অনেক গভীর...আমার অপেক্ষা শেষ হয়েছে , আকাশে অজস্র তারার বাতি...আমি এখন চোখ ভরে তোমাকে দেখব। যদিও জানা নেই কোনটা তোমার বাড়ী...ঠিকানা যে দিয়ে যাওনি......
আলোচিত ব্লগ
আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।
আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন
মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার
মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন
বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের
আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন
ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান
উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!
এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন