somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কোহিনূর থেকে হারুন! এরপর কে?

১০ ই জুলাই, ২০১১ দুপুর ১২:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সরকারীদল ও বিরোধীদলের রাজনৈতিক বিরোধের জের ধরে পুলিশ বাহিনীর কিছু উচ্চাভিলাসী কর্মকর্তারা নিজ স্বার্থ হাসিলের জন্য বেআইনী কাজ করতে দ্বিধা করছেনা। সরকার বদলালেও পুলিশের চরিত্র বদলায় না। নিজেদের অপকর্মের জন্য চাকরী জীবনের বদনাম ঘুচানোর অপকর্মে লিপ্ত থাকলেও এরা পার পেয়ে যান রাজনৈতিক লেজুরবৃত্তির কারনে। রাজনীতিবিদদের রাস্তায় পিটিয়ে বিএনপি আমলে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছিলেন ডিসি কোহিনুর। তেমনটি এবারও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের নজর কাড়তে মরিয়া পুলিশ কর্মকর্তা হারুনসহ আরো কয়েকজন। বিএনপি ও চারদলীয় জোটের ডাকে ৪৮ ঘন্টার হরতালে আবারও আলোচনায় পুলিশের সেই কর্মকর্তা তেজগাঁ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার হারুন নুর রশীদ। তিনিসহ তার সাথে থাকা আরো কয়েকজন কর্মকর্তা ও কনস্টবেল সবার সামনে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদীন ফারুককে মারতে উদ্যত হন এবং এক পর্যায়ে তাকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাতসহ কিলঘুষিও মারেন। যা বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে ও প্রিন্ট মিডিয়ায় এ দৃশ্য দেখা যায়। জাতীয় সংসদের স্পিকার ও প্রেসিডেন্টের এলাকায় বাড়ি হওয়ার সুবাদে তিনি পুলিশ বিভাগে দাপটের সাথে চাকরী করছেন। অনেক সময় পুলিশের সিনিয়র অফিসারদেরকেও তিনি কেয়ার করেন না। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রাজধানীর কোতয়ালীর এডিসি থাকা অবস্থায় এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে তিনি ১০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেছিলেন। ওই ব্যবসায়ী টিভিতে সাক্ষাতকার দিয়ে ঘটনাটি প্রকাশ করে দেন। এ অভিযোগ পাওয়ার পর ওই বিভাগের তৎকালীন ডিসি তৌফিক ঘটনার তদন্তে সত্যতা পেয়ে শাস্তি হিসাবে এপিবিএনে তাকে বদলি করেন। সেখানে যোগদান না করে তদবিরের মাধ্যমে তিনি ওই আদেশ বাতিল শেষে পুণরায় তেজগাঁও জোনে পোষ্টিং নেন। পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, হারুন অতি উৎসাহী ভূমিকা নিয়ে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপকে পেটানোর ঘটনায় পুলিশের ঊর্ধ্বতন মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি তদন্তের জন্য একজন জয়েন্ট কমিশনারের নেতৃত্বে একটি ৩ সদস্যের কমিটিও করা হয়েছে। তারা ওই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে খতিয়ে দেখছেন বলে জানা যায়। পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, হারুনের এই অতি উৎসাহী ভূমিকা পুলিশের ভাবমূর্তিকে ম্লান করে দিয়েছে। আলোচিত এই পুলিশ কর্মকর্তা হারুন ১৯৯৮ সালে ছাত্রলীগের বাহাদুর-অজয় কমিটির সদস্য ছিলেন। মুক্তিযোদ্ধার সনদ দিয়ে বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে চাকরি নেয়ার পর থেকেই বিভিন্ন অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। নানা অপকর্ম করেও অদৃশ্য কারণে তিনি বরাবরই ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যান। গুলশানে এসি থাকাকালে তিনি একটি নামকরা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে মোটা টাকা ঘুষ নিয়ে আরেকটি প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানের আমদানিকৃত বিপুল পরিমাণ গুঁড়া দুধ ভেজাল বলে আটক করেছিলেন। ওই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল। জানা যায়, এক মাস আগে হারুন ঢাকা আল ইব্রাহিম ডেভলপার কোম্পানীর মালিক শাহনাজ আফরিন সুমা’র হয়ে মোহাম্মদপুর ১৪/৭,বাবর রোডের একটি বাড়ি দখল করে নেন। এর আগে বাড়ীর মৃত মালিক শেখ ইসহাক আলীর একমাত্র ছেলে শেখ সাজেদুল ইসলামকে রাতের বেলায় পুলিশ দিয়ে থানায় ধরে নিয়ে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে ক্রসফাঁয়ারের ভয় দেখায় এবং দখল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে তিনি বাড়ির মালিককে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠান। মোহাম্মাদপুর থানার ওসি বিষয়টির বিরোধীতা করলে তাকেও শ্বাসানো হয় বলে জানা যায়। এখানেই শেষ নয়, ১৯৯৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হলে থাকাকালে তার বিরুদ্ধে শিশু অপহরণ করে হলে আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগ ছিল। ওই সময় ঘটনাটি পত্রিকায় ছাপাও হয়েছিল বলে জানা যায়। কিন্তু এতো কিছুর পরেও বিরোধী দলের ডাকা হরতাল প্রতিরোধে হয়তো সরকারের রাজনৈতিক উপর মহল থেকে পুলিশের এই নব্য কোহিনুরদেরকে আরো উৎসাহিত করতে পারে এবং আগামীতে এদের উত্থান আরো বেড়ে যেতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট অভিজ্ঞমহল আশংকা ব্যাক্ত করেছে।

৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেভাবে শরণার্থীরা একটি দেশের মালিক হয়ে গেলো!

লিখেছেন মাঈনউদ্দিন মইনুল, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৬



এবার একটি সেমিনারে প্রথমবারের মতো একজন জর্ডানির সাথে পরিচয় হয়। রাসেম আল-গুল। ঘনকালো মাথার চুল, বলিষ্ট দেহ, উজ্জ্বল বর্ণ, দাড়ি-গোঁফ সবই আছে। না খাটো, না লম্বা। বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। প্রতিটি সেশন... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিউ ইয়র্কের পথে.... ২

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২


Almost at half distance, on flight CX830.

পূর্বের পর্ব এখানেঃ নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্লেন থেকে বোর্ডিং ব্রীজে নেমেই কানেক্টিং ফ্লাইট ধরার জন্য যাত্রীদের মাঝে নাভিশ্বাস উঠে গেল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামুতে আপনার হিট কত?

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৩



প্রথমে মনে হল বর্তমান ব্লগাদের হিটের সংখ্যা নিয়ে একটা পোস্ট করা যাক । তারপর মনে পড়ল আমাদের ব্লগের পরিসংখ্যানবিদ ব্লগার আমি তুমি আমরা এমন পোস্ট আগেই দিয়ে দিয়েছেন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

ল অব অ্যাট্রাকশন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫

জ্যাক ক্যান ফিল্ডের ঘটনা দিয়ে লেখাটা শুরু করছি। জ্যাক ক্যানফিল্ড একজন আমেরিকান লেখক ও মোটিভেশনাল স্পিকার। জীবনের প্রথম দিকে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। আয় রোজগার ছিলনা। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ ছিলনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×