somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ক্রিকেট নিয়ে যৌগিক জোকস-২

০৫ ই জুলাই, ২০১১ সকাল ১০:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

(১৪)

এক দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গেল। তাদের নাবালক মেয়েটিকে জিজ্ঞেস করা হল, তুমি কার সঙ্গে থাকতে চাও, মায়ের সঙ্গে?

মেয়েটি বলল, না, মা বড্ড পেটায়!

তাহলে বাবার সঙ্গে?

না, বাবাও ভীষণ পেটায়!

তাহলে কার সঙ্গে থাকতে চাও?

ভারতীয় ক্রিকেট টিমের সঙ্গে। ওরা ভারী ভালোমানুষ, চাইলেও পেটাতে পারে না!





(১৫)

এক ক্রিকেট ভিজিটিং টিম গ্রামে গিয়েছিল সেখানকার লোকদের আয়োজনে এক ক্রিকেট খেলা দেখতে। সেখানে গিয়ে তারা দেখে, সেখানে কোনো স্কোর বোর্ডের ব্যবস্থা নেই । টিমের লোকজন তখন সেই গ্রাম্য আয়োজকদের জিজ্ঞেস করল, আপনারা কোনো স্কোরবোর্ড রাখেন নি, তাহলে খেলার হিসেব রাখেন কী করে?

একজন আয়োজক দাঁত বের কওে হেসে জানাল, দুই দলই মনে মনে হিসেব রাখে, তারপরও যদি দু-একদিন মতান্তর হয়, তখন হাতের কাছে লাঠিসোটা যা কিছু পায়, তাই নিয়ে মাঠে নেমে পড়ে একটা মীমাংসা কওে ফেলে!





(১৬)

এক দুর্দান্ত ব্যাটসম্যান এক ফাস্ট বোলারকে এসে এসে নাজেহাল করে সমানে ছয়-চার পেটাচ্ছিল। এমন সময় প্যাভিলিয়ন থেকে একজন দৌড়ে এসে তার কানে কানে কী যেন বলে যাওয়ার পর থেকেই ব্যাটসম্যানের খেলা পড়ে গেল। তাকে খুব অধৈর্য দেখাচ্ছিল। ফাস্ট বোলার তার বল করার আগে আস্তে আস্তে যখন তার দৌড় শুরু করার জায়গায় যাচ্ছিল, তখন ব্যাটসম্যান চেঁচিয়ে আম্পায়ারকে বলল, আমার বাড়ি থেকে এইমাত্র খবর এসেছে আমার স্ত্রী খুবই অসুস্থ, সে আমাকে এখনই দেখতে চায়। আম্পায়ার সাহেব কি দয়া করে ঐ হতভাগা বোলারটাকে একটু বলবেন, সে যেন তার দৌড়ের জায়গাটাকে আরো একটু ছোট করে!





(১৭)

ব্যাটসম্যান ছক্কা পেটাবার পর বলটা দর্শকদের ভিতরে গিয়ে পড়েছিল। একজন ফিল্ডার আস্তে আস্তে দৌড়ে গেল সেদিকে। বলটা ফেরত চাইল। কিন্তু বলটা কিছুতেই খুঁজে পাওয়া গেল না। দর্শকদের ভেতর বসে ছিল এক কমবয়সী ছোকরা। সে খুব নিরীহ মুখে জানাল, আমার মনে হয়, বলটা বোধহয় এদিকে পড়ে নি। তবে আমি বাড়ি থেকে একটা বল নিয়ে এসেছি, আপনার খুব প্রয়োজন হলে একশ টাকা দিয়ে সেটা কিনতে পারেন। নেবেন?





(১৮)

একটা বিতর্কিত রান আউটের পর আউট হয়ে যাওয়া ব্যাটসম্যান প্যাভিলিয়নের দিকে ফিরে যাচ্ছিল, আম্পায়ারের পাশ দিয়ে যাবার সময় সে বলল, দেখুন, আমি কিন্তু সত্যি সত্যি আউট ছিলাম না!

আম্পায়ার বলল, বটে! সত্যি নাকি মিথ্যা, সেটা কালকের পত্রিকাতেই জানতে পারবে!





(১৯)

দুই ব্যাটসম্যান একজন আরেকজনকে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মনে করে। দুজনেরই ভেতরেই সবসময় চাপা রেষারেষি কাজ করে। একদিন তারা পাশাপাশি হাঁটতে হাঁটতে কথা বলছিল। কথায় কথায় একজন বলল, স্থানীয় এক ক্লাব আমাকে একটা অন্যরকম প্রস্তাব দিয়েছে। তারা চায় আমি তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবে জয়েন করে খারাপ খেলে তাদেরকে যেন জিতিয়ে দেই। এজন্য তারা আমাকে বিরাট অঙ্কের টাকা অফার করেছে। কিন্তু বুঝতে পারছি না, কাজটা ঠিক হবে কিনা!

দ্বিতীয়জন সঙ্গে সঙ্গে বলল, এত চিন্তা করার কী আছে, তুমি তো বিনা পয়সাতেই এই কাজটা বরাবরের মতো করে আসছ!





(২০)

তোড়সে ব্যাট চালিয়ে লাঞ্চ আওয়ারে প্যাভিলিয়নে ফিরল এক ব্যাটসম্যান। সবাই তাকে বাহবা জানাচ্ছে, ফুর্তিও চোটে বেশ খানিকটা ড্রিঙ্ক কওে ফেলল সে। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই সে আবিষ্কার করল সবকিছুই সে তিনটা করে দেখতে পাচ্ছে। মহা মুশকিল! উপায়ন্তর না দেখে মাঠে যাওয়ার আগমুহূর্তে কোচকে ব্যাপারটা খুলেই বলল সে। কাঁদো কাঁদো মুখে বলল, এখন কী করব আমি, সামনে তিনটা বল ছুটে আসছে দেখলে কোন বলটা পেটাব? কোচ তাকে ধমকা ধমকি না করে সান্ত্বনা দিয়ে বলল, অসুবিধা নেই, তিনটা বল ছুটে আসতে দেখলে তুমি ঠিক মাঝখানের বলটাকেই পেটাবে! ঠিক আছে?

ব্যাটসম্যান মাথা নাড়িয়ে সায় দিয়ে ফিরে গেল মাঠে। এবং প্রথম বলেই বোল্ড! প্যাভিলিয়নে ফিরে আসতেই কোচ চেঁচামেচি শুরু করল, আমি তোমাকে না বলেছিলাম তিনটা বলের মাঝখানের বলটা পেটাতে! ব্যাটসম্যান আরো কাঁদে কাঁদো মুখে বলল, ওটাই তো পিটিয়েছিলাম ! কিন্তু তিনটা ব্যাটের ডানদিকের ব্যাটটা দিয়ে পিটিয়েছিলাম যে!





(২১)

নিয়মিত ইংল্যান্ডের পরাজয় দেখতে দেখতে বিরক্ত একটি ব্রিটিশ দৈনিক নিচের প্রশ্নোত্তরটি ছেপেছিল:

প্রশ্ন: আশাবাদের চরম নিদর্শন কী?

উত্তর: ইংলিশ ব্যাটসম্যানের সানস্ক্রিন ব্যবহার করা। জানা কথা যে সানস্ক্রিন পর্যন্ত সূর্যের আলো যাওয়ার আগেই সে আউট হয়ে ফিরবে!

প্রশ্ন: গ্লেন ম্যাকগ্রা ইংল্যান্ডে জন্মালে তিনি কী হতেন?

উত্তর: ব্যাটসম্যান। (মনে রাখবেন, অস্ট্রেলীয় এই বোলারের টেস্টে ব্যাটিং গড় ৭.৩৬ ও ওয়ানডেতে ৩.৮৩)!

প্রশ্ন: ইংলিশ ক্রিকেটারের হ্যাট্রিক মানে কী?

উত্তর: ইংলিশ বোলারদের ডিকশনারিতে এখন আর 'হ্যাট্রিক' বলে কিছু নেই। ব্যাটসম্যানদের কেউ পর পর তিন বলে রান পেলে সেটাই হ্যাট্রিক।

প্রশ্ন: কোনো ইংলিশ খেলোয়াড়ের নামের পাশে ১০০ লেখা থাকলে কী বুঝবেন?

উত্তর: সে অবশ্যই একজন বোলার।

প্রশ্ন: নাসের হুসেন, মার্ক রামপ্রকাশ, গ্রায়েম হিক, অ্যান্ড্রুস স্ট্রাউস, কেভিন পিটারসেনরা দলের বাকিদের চেয়ে কেন এগিয়ে থাকেন?

প্রশ্ন: একজন ইংলিশ ক্রিকেটার কখন নিশ্চিত করে বলতে পারেন, এই ওভারে উইকেট পড়বেই?

উত্তর: যখন তাঁর হাতে ব্যাট থাকে।

উত্তর: যখন তিনি ব্যাট হাতে উইকেটে থাকেন।

প্রশ্ন: মাইকেল জ্যাকসন আর অ্যালেক স্টুয়ার্টের (সাবেক ইংলিশ উইকেট কিপার) মধ্যে মিলটা কী?

উত্তর: দুজনই হাতে দস্তানা পরতেন। যে দস্তানার কোনো ব্যবহার কেউ কখনো দেখেনি।





(২২)

একটা ফ্রি হিট মিস করে ব্যাটস ম্যান বলছিল, 'ইস্, কী একটা চান্স মিস করলাম! মন চাইছে নিজেকেই নিজে পেটাই।

তার আক্ষেপ শুনে সমর্থক দর্শক মন্তব্য ছুঁড়ে দেয়, সে চেষ্টা করো না, তুমি ওটাও মিস করবে।'





(২৩)

এক ক্রিকেট সংগঠক নিজের ক্রিকেট অভিজ্ঞতা নিয়ে এক টক শো' তে বলছে, একটা সময় ছিলো যখন আমাকে ছাড়া আমাদের পাড়ার ক্রিকেট টিম কোন ম্যাচ খেলতেই পারত না। আমি ছিলাম দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং অপরিহার্য সদস্য।

উপস্থাপক: তারপর?

ক্রিকেট সংগঠক: তারপর আর কি? আমাদের পাড়ার আরো একটা ছেলে ব্যাট বল কিনে ফেললো...





(২৪)

প্রশ্ন: ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল আর একটা টি-ব্যাগের মধ্যে পার্থক্য কোথায় বলতে পারেন?

উত্তর: টি-ব্যাগ অন্তত একবার হলেও কাপের ছোঁয়া পায়।





(২৫)

ক্রিকেট হচ্ছে এমন এক খেলা, যে খানে ২২ গজের পিচ, ২২জন প্লেয়ার, ৩জন অ্যাম্পিয়ার আর অসংখ্য কোচ থাকে।





(২৬)

: দোস্ত, আমরা একটা ক্রিকেট ক্লাব করছি। আমাদের ক্লাবে সদস্য হবি?

: হতাম, কিন্তু আমি তো ক্রিকেটের 'ক'ও জানি না।

: আরে, তাতে কোন সমস্যা নাই। আমাদের তো একটা নির্বাচক দরকার।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×