somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তিশার বাসর! (বাসররাতের গল্প)

০৩ রা জুলাই, ২০১১ রাত ১১:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

তিশা কখনোই ভাবেনি যে তার জীবনটাতে এমনটা হবে! কেমন যেন স্বপ্নের মত লাগছে সব কিছু! এত হুটহাট মানুষের জীবনে পরিবর্তন হয়! এখনও তিশার মনে হচ্ছে সে হয়ত নানির পানের সাথে লুকিয়ে কাঁচা সুপারি খেয়ে ঘোরের মধ্যে আছে! নিজেকে সে একটা চিমটি কাটে।
উহ! ব্যথা পেলাম তো! তার মানে সবই ঠিক আছে। সবই সত্য!
কিছুক্ষণ আগে তার বিয়ে হয়েছে। পাত্রপক্ষ সন্ধাবেলা দেখতে আসল। কিছুক্ষণ কথাবার্তা হল। সে শুধু শুনেছে ছেলে নাকি সোনার টুকরা! ভাল চাকরি করে! ঘুষ না খেয়েই ভাল বেতন পায়। ছেলে তাকে পছন্দ করেছে। আর এতেই বাবা আনন্দে আত্মহারা! হঠাৎ বাবা এসে তাকে জিজ্ঞেশ করলেন, মা। আমরা চাই তোর এখানে বিয়ে হোক। তোর কি আপত্তি আছে?
তিশা কি বলবে প্রথমটায় বুঝতে পারছিল না। পরে ভাবল বিয়ে তো করতেই হবে। তাছাড়া পাত্রের চেহারা তার অপছন্দ হয়নি। তাই সে দিল হ্যাঁ-বোধক মাথা নাড়িয়ে!

কিন্তু তখন তার মনে তেমন কোন জটিল চিন্তা না আসলেও এখন চরম অস্বস্তিতে তার মাথা ঘুরাচ্ছে! লাল একটা শাড়ি পরে সে বিছানায় চুপচাপ বসে আছে। একটু পরে তমাল (পাত্রের নাম) আসবে। বিষয়টা তিশা এখনো মেনে নিতে পারছে না। চেনে না জানে না এমন একটা লোকের সাথে তাকে একই ছাদের নিচে থাকে হবে!

আচ্ছা তমাল এসে কি করবে! হালুম করে ঝাঁপিয়ে পড়বে নাতো! ইস এসব আমি কি ভাবছি!

তিশার ভাবনা অদ্ভুত থেকে অদ্ভুতুড়ে পর্যায়ে যেতে থাকে!

সম্পূর্ণ অপরিচিত একজন মানুষের সাথে কিভাবে আমি থাকব? একই ছাদ... একই বিছানা ... এ মা কাঁথাটাও তো একটাই...
একটু পর তমাল আসল। দরজা বন্ধ করার সাথে সাথে তিশার বুকটা কেঁপে উঠল। সে চোখ বন্ধ করে রইল। কিন্তু তার কান সম্পূর্ণ সজাগ! সে স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছে তমাল হেঁটে হেঁটে খাটের কোনায় এসে পৌঁছেছে! হঠাৎ তিশার মনে হল কেউ বোধহয় তার শাড়ির আঁচল ধরে টানছে। শিট! এসেই শুরু করল! এ তো দেখছি চরম অসভ্যলোকরে বাবা!
পরক্ষণেই তিশা চোখ মেলে দেখল তার শাড়ি ধরে কেউ টানেনি। আঁচলের এক অংশ খাটের মশারি স্ট্যান্ডের সাথে আটকে গিয়েছিল। আর তমাল তার সামনে বসে আছে। সে তিশাকে অবাক করে দিয়ে বলল, তোমার চোখ দুটো তো অনেক সুন্দর!

২৯টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জুমার নামাজে এক অভূতপূর্ব ঘটনা

লিখেছেন সাব্বির আহমেদ সাকিল, ১০ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০



মসজিদের ভেতর জায়গা সংকুলান না হওয়ায় বাহিরে বিছিয়ে দেয়া চটে বসে আছি । রোদের প্রখরতা বেশ কড়া । গা ঘেমে ভিজে ওঠার অবস্থা । মুয়াজ্জিন ইকামাত দিলেন, নামাজ শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। হরিন কিনবেন ??

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১০ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫৯



শখ করে বন্য প্রাণী পুষতে পছন্দ করেন অনেকেই। সেসকল পশু-পাখি প্রেমী সৌখিন মানুষদের শখ পূরণে বিশেষ আরো এক নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এবার মাত্র ৫০ হাজার টাকাতেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঠিক কোন বিষয়টা মৌলবাদী পুরুষরা শান্তি মত মানতে পারে???"

লিখেছেন লেখার খাতা, ১০ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:২৭


ছবি - গুগল।


ফেসবুক আর ইনস্টাগ্রাম এখন আর শুধু সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম নয়, রোজগার এর একটি চমৎকার প্ল্যাটফর্মও। একটু স্মার্ট এবং ব্রেন থাকলে ফেসবুক/ইনস্টাগ্রাম থেকে রোজগার করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধখানা ভ্রমন গল্প!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১০ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:৩৯


২০০২ সাল বান্দারবানের রিগ্রিখ্যাং-এর এই রিসোর্ট আজ সকালেই আমরা আবিস্কার করলাম! পাহাড়ের এত উপরে এই মোড়টাতে একেবারে প্রকৃতির মাঝে এমন একটা রিসোর্ট থাকতে পারে তা আমরা সপ্নেও কল্পনা করিনি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহনা বলেছিল, তুমি হারাবে না

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ১১ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৫

অহনা বলেছিল, তুমি হারাবে না
অহনা বলেছিল, আমি জানি আমি তোমাকে পেয়েছি সবখানি
আমি তাই নিশ্চিন্তে হারিয়ে যাই যখন যেখানে খুশি

অহনা বলেছিল, যতটা উদাসীন আমাকে দেখো, তার চেয়ে
বহুগুণ উদাসীন আমি
তোমাকে পাওয়ার জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

×