somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইনু-মেনন কবুল করলেন

০১ লা জুলাই, ২০১১ ভোর ৬:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মাঠে বিরোধিতা করলেও সংসদে রাষ্ট্র ধর্ম, বিসমিল্লাহ কবুল করলেন ইনু-মেননসহ মহাজোটের শরীক জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টির পাঁচ এমপি। আসন বাঁচাতে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে রাষ্ট্র ধর্ম ও ইসলাম বহাল রাখা নিয়ে আপত্তি সত্ত্বেও ভোট দিলেন পক্ষেই। বিলের ওপর সংশোধনী প্রস্তাব দেয়া এবং তা কণ্ঠভোটে নাকচ হওয়ার পর সংবিধান সংশোধন বিলে ভোট দেয়া না দেয়া নিয়ে প্রথমে ইতস্তত করলেও সংসদ সদস্য পদ রক্ষার জন্য সরকারের শরিক জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টির পাঁচ এমপি এবং সংরক্ষিত আসনের একজন সদস্য বিলের পক্ষে ভোট দেন। বিভক্তি ভোটে বিল পাসের প্রক্রিয়া শুরুর আগে স্পিকার হ্যাঁ ভোটের জন্য নির্ধারিত লবির নম্বর বলে দেন। তবে না ভোটের জন্য তিনি কোন নম্বর নির্ধারণ করে দেননি। এ বিষয়ে মঈনুদ্দিন খান বাদল নির্দেশনা চাইলে স্পিকার বলেন যারা না ভোট দেবেন তারা নিজ নিজ আসনে বসে থাকলেই হবে। এসময় আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির সদস্যরা নির্ধারিত লবিতে চলে যান। এসময় জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টির সদস্যরা নিজ নিজ আসনে বসে থাকেন। প্রথমে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকবেন। তবে আওয়ামী লীগের নেতারা তাদের পরামর্শ দেন তাদের হ্যাঁ অথবা না ভোট দিতে হবে। ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকার সুযোগ নেই। আর না ভোট দিলে সংসদের নিয়ম অনুযায়ী তারা সংসদ সদস্য পদ হারাবেন। কারণ জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টির নেতারা আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকা নিয়ে নির্বাচন করেছিলেন। কিছু সময়ে এ নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে শরিক দলের নেতাদের টানাপড়েন চলে। পরে প্রবীণ সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, আবদুর রাজ্জাক, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, এডভোকেট ফজলে রাব্বী, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও এলজিআরডি মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম তাদের ভোট দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন। হাসানুল হক ইনু তাদের অনুরোধে তার দলের এমপিদের নিয়ে প্রথমে ভোট দিতে যান। এরপর আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত আসনের একজন সদস্য সুপারিশ করে ন্যাপের আমিনা আহমেদকে ভোট দেয়ার জন্য লবিতে নিয়ে যান। সিনিয়র নেতাদের অনুরোধে সবশেষে রাশেদ খান মেনন বিলের পক্ষে ভোট দেন।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অলীক সুখ পর্ব ৪

লিখেছেন স্প্যানকড, ২৮ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৫

ছবি নেট

শরীর থেকে হৃদয় কে বিচ্ছিন্ন করে দেখতে চেয়েছি
তুমি কোথায় বাস করো?
জানতে চেয়েছি বারবার
দেহে ,
না,
হৃদয়ে?
টের পাই
দুই জায়গাতে সমান উপস্থিতি তোমার।

তোমার শায়িত শরীরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পজ থেকে প্লে : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

লিখেছেন বন্ধু শুভ, ২৮ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:১৫


.
একটা বালক সর্বদা স্বপ্ন দেখতো সুন্দর একটা পৃথিবীর। একজন মানুষের জন্য একটা পৃথিবী কতটুকু? উত্তর হচ্ছে পুরো পৃথিবী; কিন্তু যতটা জুড়ে তার সরব উপস্থিতি ততটা- নির্দিষ্ট করে বললে। তো, বালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিরোনামে ভুল থাকলে মেজাজ ঠিক থাকে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৮ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:৫৫


বেইলি রোডে এক রেস্তোরাঁয় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে একজন একটা পোস্ট দিয়েছিলেন; পোস্টের শিরোনামঃ চুরান্ত অব্যবস্থাপনার কারনে সৃষ্ট অগ্নিকান্ডকে দূর্ঘটনা বলা যায় না। ভালোভাবে দেখুন চারটা বানান ভুল। যিনি পোস্ট দিয়েছেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

চলুন দেশকে কীভাবে দিতে হয় জেনে নেই!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:৫১

চলুন দেশকে কীভাবে দিতে হয় তা জেনে নেই৷ এবার আপনাদের সাথে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি ঘটনা শেয়ার করবো৷ আমি কোরিয়ান অর্থনীতি পড়েছি৷ দেশটি অর্থনৈতিক উন্নয়নে ১৯৭০ সালের পর থেকে প্রায় আকাশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৮

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ২৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪৪


আজকের গল্প হেয়ার স্টাইল ও কাগজের মোবাইল।






সেদিন সন্ধ্যার আগে বাহিরে যাব, মেয়েও বায়না ধরল সেও যাবে। তাকে বললাম চুল বেধে আসো। সে ঝটপট সুন্দর পরিপাটি করে চুল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×