somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হরতালে সাইক্লিং

২৯ শে জুন, ২০১১ সকাল ১০:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১১ তারিখ সন্ধ্যার শাহবাগের আড্ডায় মুজাক্কির বলল ভাইয়া চলেন কালকে সাইকেল চালাই । ১২ আর ১৩ হরতাল তাই তার এই প্রস্তাব ।
ঠিক আছে বলে ফোন দিলাম কয়েকজনকে । সাড়া দিল রঞ্জু ভাই আর আবুবকর । মুন বলল জয়েন করবে পরে ।
সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে গেলাম সকাল সকাল । বাসাবো বৌদ্ধ মন্দিরের সামনে থাকতে বলেছিলাম আবুবকর আর রঞ্জু ভাইকে । তারা রেডি ছিল । আমি লালবাগ আর মুজাক্কির নাজিমউদ্দিন রোড থেকে রওনা দিলাম । সময়মত রওনাও দিলাম বাসাবো থেকে ।
ডিম, প্রমান সাইজ পরটা গাভীর দুধের চা দিয়ে নাস্তা সারলাম । এরপর গেলাম রঞ্জু ভাইয়ের জমি দেখতে । কি ছোট ছোট রাস্তা । কোন পরিকল্পনা নেই এই রাস্তা তৈরিতে । কিভাবে বাঁচবে আগুন লাগলে তা চিন্তা করতে করতে বের হলাম আমাদের গন্তব্যর দিকে ।
সালাম ডেইরি ফার্মের সামনে দিয়ে কাঁচা-পাকা রাস্তা ধরে এগুতে থাকলাম দক্ষিনগাওয়ের দিকে । বিভিন্ন হাউজিং কোম্পানির সাইন বোর্ড দেখলাম যেখানে গড়ে উঠবে সবার স্বপ্নের বসতী ।
কাচাঁ রাস্তা ধরে আমরা আগালাম এবার আমুলিয়ার দিকে । কিন্তু পথ ভুল করে কিছুটা দূরে মাদারটেক এর দিকে চলে গিয়েছিলাম । সেখানে তালের সাশ দেখে বিরতী দিলাম । খেলাম মজার সাশ । এবার সঠিক পথে ফেরার পালা ।
আমুলিয়া হয়ে চনপাড়া,পূর্বগ্রাম,বাউনাপাড়া, বড় আলু, মাঝিনা নদীর পাড়, রুপগঞ্জ । রপগঞ্জে নির্বাচন চলছে । কত মানুষ আর পুলিশ । উৎসবের আমেজ । সাইকেলে হাওয়া দিলাম । বিভিন্ন দৃশ্য দেখতে রওনা দিলাম মুশুরীর দিকে । পথে নদী আর খাল দেখে গোসলের ইচ্ছা পোষন করছিল আবুবকর আর রঞ্জু ভাই । সহ্য করতে না পেরে এক সময় তারা বলল ভাই থামান এবার গোসল করবো । কি আর করা অগত্যা থামতেই হল ।
ছোট পুকুরে গোসলের পাশাপাশি সাঁতার প্রতিযোগীতা করলো আবুবকর আর রঞ্জু ভাই । ফাষ্ট হল কে বলেন তো ?

ও একটা মজার কথা একটা ছেলে হিন্দিতে কথা বলা শুরু করলো আমার সাথে । আমি কিছুটা কথা বলার ফাঁকে রঞ্জু ভাই যোগ দিল আমাদের সাথে সে দেখি হঠাৎ সে আরবী বলা শুরু করলো । তখন সেই ছেলেঠি পালালো ।
মুভিপাগল আমার তখন থানেদার ছবির " কেয়সা ফুটায়া -কামালকা ডারায়া " ডায়লগটি মনে পড়লো ।
আবার শুরু পালা । নির্বাচনের হিংসার শিকার দেখলাম এক দোকানদার । নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে না বলে মিছিল করতে করতে দেখলাম যে যার মত জিনিস নিচ্ছে দোকান থেকে ।
টান মুশুরী, দক্ষিনবাগ, বাগদেব, গোয়ালপাড়া । গোয়ালপাড়া পৌছে আম কিনলো আবুবকর । ছোট কিন্তু মিষ্টি আম । দারুন সুস্বাদু । আম খেতে খেতে সাইকেল চালাছছিল রঞ্জু ভাই । হঠাৎ একটি স্পিড ব্রেকার দেখতে দেরি করাতে সে ব্রেক করলো ঠিকই কিন্তু ততখনে সাইকেল তার উপরে । সাইকেলের নিচে থাকা অবস্থায় সে আম খাচ্ছিল । যা দেখে ঐখানে থাকা সবাই হেসে উঠল । হাত ছিলে রক্ত বের হচ্ছিল । ঠিক পাশেই ছিল ডিসপেন্সারি । ডেটল , তুলা, ব্যান্ডেজ কিনলাম । আবুবকর ধুয়ে তাতে ব্যান্ডেজ লাগিয়ে দিল ।
এবার মুন ফোন দিল বলল কই আপনারা ? অবস্থান জানালাম আমাদের । সে আমাদের জয়েন করলো । আম দিলাম মুনকে । আম খেতে খেতে দেখি আমরা যেই জায়গাটাতে দাড়িয়ে সেখানে গত বৎসর এসেছিলাম নৌকা ভ্রমনে । আবার আসার কথা বললাম সবাইকে । মজাই হয়ে ছিল সেই নৌকা ভ্রমনটি ।
এবার ইছাপুরা হয়ে মুনের বাড়ি । খিলক্ষেতে মুনের বাসা । মজার রান্না করেছে খাল্লামা আমাদের জন্য । খেলাম মজা করে । মুনের বাসাতে বার-বি-কিউয়ের আদর্শ জায়গা । প্লান করলাম কোন এক পূর্নিমাতে করবো বার-বি-কিউ ।
এবার বাসায় ফেরার পালা । মুনকে ভালবাসা জানিয়ে বিদায় নিলাম ।
ফাঁকা রাস্তাতে সাইকেল চালালাম ইচ্ছে মত । এর মধ্যে ফেইবুক দেখে আমাদের ফোন করলো গুলশান থেকে এই আপু । তার সাথে দেখা করে আমাদের ক্লাব সর্ম্পকে জানালাম । সে আমাদের সাথে পড়ে জয়েন করার ইচ্ছা পোষন করলো । তাকে স্বাগত জানিয়ে বিদায় নিলাম ।
চলে আসলাম শাহবাগে রুমা আপা, টুটু ভাই মাসুদ, কামরুল সহ সবার সাথে শেয়ার করলাম আমাদের দিনের অভিঞ্জতা ।
(ছবি তোলা হয়নি । )
২টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?

লিখেছেন জিএম হারুন -অর -রশিদ, ১৬ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৪



কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?
আমার খুবই জরুরি তার ঠিকানাটা জানা,
আমি অনেক চেষ্টা করেও ওর ঠিকানা জোগাড় করতে পারছিনা।

আমি অনেক দিন যাবত ওকে খুঁজে বেড়াচ্ছি,
এই ধরুণ, বিশ-একুশ বছর।
আশ্চর্য্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই হোটেল এর নাম বাংলা রেস্তেরা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৬ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৭



অনেক দিন পর আমি আজ এই হোটেলে নাস্তা করেছি। খুব তৃপ্তি করে নাস্তা করেছি। এই হোটেল এর নাম বাংলা রেস্তেরা। ঠিকনা: ভবেরচর বাসস্ট্যান্ডম ভবেরচর, গজারিয়া, মন্সীগঞ্জ। দুইটি তুন্দুল রুটি আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজকের ব্লগার ভাবনা:কথায় কথায় বয়কট এর ডাক দেয়া পিনাকীদের আইডি/পেইজ/চ্যানেল বাংলাদেশে হাইড করা উচিত কি? ব্লগাররা কি ভাবছেন?

লিখেছেন লেখার খাতা, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:১৩



অপূর্ব একজন চমৎকার অভিনেতা। ছোট পর্দার এই জনপ্রিয় মুখকে চেনেনা এমন কেউ নেই। সাধারণত অভিনেতা অভিনেত্রীদের রুজিরোজগার এর একটি মাধ্যম হইল বিজ্ঞাপনে মডেল হওয়া। বাংলাদেশের কোন তারকা যদি বিদেশী... ...বাকিটুকু পড়ুন

জলদস্যুরা কি ফেরেশতা যে ফিরে এসে তাদের এত গুণগান গাওয়া হচ্ছে?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭


জলদস্যুরা নামাজি, তাই তারা মুক্তিপণের টাকা ফেরত দিয়েছে? শিরোনাম দেখে এমনটা মনে হতেই পারে। কিন্তু আসল খবর যে সেটা না, তা ভেতরেই লেখা আছে; যার লিংক নিচে দেওয়া হলো।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷

চলুন গল্পটা শুনে আসি৷

বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×