somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ঈমান ইসলামকে মুছে ফেলার এজেন্ডা, আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা মুছে ফেলার নামান্তর

২৮ শে জুন, ২০১১ রাত ৯:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মুসলিম প্রধান বাংলাদেশের সংবিধান থেকে ‘আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা' মুছে ফেলার বিষয়টি কোনো যুক্তিবুদ্ধিতে আসে না। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠে, এমতাবস্থায় সংশ্লিষ্টদের ঈমান থাকে কি না? দেশের নানাবিধ জীবনঘনিষ্ঠ ভয়াবহ সমস্যাবলীর কষাঘাতে যেখানে জনগণের জীবন ওষ্ঠাগত, অনেক ক্ষেত্রে মানুষ দিশেহারা অবস্থায়, সেক্ষেত্রে ঐসব সমস্যা সমাধানের চাইতে ক্ষমতায় এসেই শুরু থেকে সংবিধান থেকে ঈমান, ইসলাম, আল্লাহর নাম ইত্যাদি মুছে ফেলার জন্যে নানা পায়তারা।
আওয়ামী লীগ এসব স্বাথান্বেষী বিদেশী প্রভূদের খুশির জন্য করছে। যদিও বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষ তাদের নির্বাচিত করেছে। আল্লাহর উপর অবিচল আস্থা মুছে ফেলার জন্য নয়। তারা আল্লাহর উপর আস্থা মুছে ফেলার যে ব্যবস্থা করেছে, দেশের জনগনও তাদের ডাষ্টবিনে নিক্ষেপের সমস্থ ব্যবস্থা চুড়ান্ত করেছে। আওয়ামীলীগ ভুল পথে হেটে অভ্যস্থ। অতীত তারা সহজের ভুলে যায়। ভয়াবহ পরিনতির জন্য তারাই দায়ী ছিল এবং হবে। এদেশের কোটি কোটি তওহীদি জনতার ধারণা কি হবে, এমনকি খোদ তার দলের অধিকাংশ নেতাকর্মী বিষয়টিকে কিভাবে নিবেন, সে স মতামত উপেক্ষিত হবার অর্থই হলো, এ সরকার কথায় কথায় গণতন্ত্রের কথা বললেও এর প্রতি তার কোনো শ্রদ্ধাবোধ নেই। অন্যথায় যেই মুষ্টিমেয় লোক সরকার ও সরকার প্রধানকে সংবিধান থেকে আল্লাহর উপর বিশ্বাস ও আস্থা বাদ দেয়ার কথা বলছে, তিনি কেন তাদেরকে একথা বলতে পারছেন না যে, -এটা রেফারেন্ডামের মাধ্যমে শাসনতন্ত্রে সংযোজিত হয়েছিল, পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে সেখান থেকে এটা মুছে ফেলতে হলে রেফারেন্ডাম অনুষ্ঠান করতে হবে। তা না বলে এমনিতেই এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সংবিধান থেকে বাদ দেয়া এবং তাতে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ পুনঃসংযোজনের সুপারিশকে মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেয়ার অর্থই হলো সরকার কর্তৃক এদেশের কোটি কোটি মুসলিম জনতার মতের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া।
আর এই অবস্থান নেয়াটা জাতীয় সংহতির জন্যে যে কত ক্ষতিকর ও ভয়াবহ ইতিমধ্যেই তার লক্ষণ স্পষ্ট হয়ে উঠতে শুরু করেছে। যেই ভয়াবহ পরিস্থিতি ডেকে আনার জন্যেই নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকরীরা এই নন ইস্যুটাকে ইস্যু বানিয়ে জাতির মধ্যে অনৈক্য ও হিংসা-বিদ্বেষের আগুন ছড়িয়ে দিয়ে আসছে। মোটকথা আমরা বলতে চাই দেশের আঙ্গুলে গোনা গুটিকতক লোক যারা ঈমান, ইসলামের ব্যাপারে আস্থাহীন, আন্তর্জাতিক বৈরী শক্তির ক্রীড়নক হয়ে মুসলিম দেশ স্পেনের মতো বাংলাদেশ থেকেও ঈমান ইসলামকে মুছে ফেলার এজেন্ডা নিয়ে কাজ করছে, সরকারের উচিত তাদের খপ্পর থেকে বের হয়ে আসা এবং ইসলাম পরিপন্থী কার্যক্রম থেকে বিরত থাকা।
এদেশকে পরাধীনতার অক্টোপাশে আবদ্ধ করার দুরভিসন্ধিই সফলতার দিকে এগিয়ে যাবে। যেমনটি ঘটেছিল ১৭৫৭ সালে পলাশির আম্র কাননে। এ বাংলা ঐ বাংলার মানুষ এক ভাষায় কথা বলা, একই ধরনের খাদ্য গ্রহণ করা সত্বেও তাদের মধ্যে যেই স্বাতন্ত্র্য বোধটি স্বতন্ত্র ভৌগোলিক সীমান্ত সৃষ্টিতে তাগিদ দেয়াতে একই বাংলা ভাষীরা আজ ভিন্ন স্বাধীন দুই রাষ্ট্রের অধিকারী, সেই বোধটি হলো ঈমান ও ইসলামসঞ্জাত। এ কারণে এ দেশবাসীর স্বাতস্ত্র্যবোধের সেই উৎসকে জাতীয় সংবিধান থেকে মুছে ফেলতে হবে, তা হলে একই রাষ্ট্রের বাসিন্দা হতে বাধা থাকবে না।
স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের আলাদা সীমান্ত রেখার থাকবে না কোনো প্রয়োজন। সংবিধান থেকে আল্লাহর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস কথাটি বাদ দিয়ে ধর্মনিরপেক্ষতা পুনর্বহালের পেছনে তথা কথিত ঐ রামবাম ও নাস্তিক্যবাদীরা উঠেপড়ে লাগার কারণ এখানেই নিহিত। আওয়ামী নেতারা যত তাড়াতাড়ি এটা ও এর পরিণতি উপলব্দি করবেন ততই মঙ্গল। এই ভেবে সত্যিই বিস্ময় জাগে যে, '৪৭ পূর্ব অবিভক্ত বাংলা, অবিভক্ত ভারতে যেখানে হিন্দু, মুসলমানসহ অন্যান্য জাতি-গোষ্ঠীর লোকেরা একত্রে বসবাস করছিল, এমনকি তার পূর্বে যখন গোটাভারত মুসলমানরা দীর্ঘ প্রায় ৮শ বছর শাসন করেছে।
ইংরেজরা ভারত ছাড়ার প্রাক্কালে কাদের বৈষম্যমূলক সংকীর্ণ চিন্তা ও সাম্প্রদায়িক মানসিকতার দরুন মুসলমানরা আলাদা রাষ্ট্রের দাবি তুলতে বাধ্য হয়েছিল সে বিষয়টি প্রথম সৎসাহস নিয়ে অনেকেই আলোচনায় আনতে চায় না। বলাবাহুল্য, সেই অভিন্ন মানসিকতার উত্তরাধিকারী ও তাদের স্থানীয় তলপী বাহকরাই আজ অদূরদর্শিতা বা অজ্ঞতাবশত কিংবা স্বার্থান্ধ হয়ে মুসলিম প্রধান স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান থেকে আল্লাহর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস মুছে ফেলার জন্যে উঠেপড়ে লেগেছে।
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যুদ্ধে নিহত মনোজ দা’র বাবা

লিখেছেন প্রামানিক, ২৫ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

১৯৭১ সালের এপ্রিলের ছব্বিশ তারিখ। দেশে তখন ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ শুরু হয়েছে। উচ্চ শিক্ষিত এবং কলেজ পড়ুয়া ছাত্রদের নিয়েই বেশি সমস্যা। তাদেরকে খুঁজে খুঁজে ধরে নিয়ে হত্যা করছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিয়ে থেতে ভাল্লাগে।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৫ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:১৯

আমার বিয়ে বাড়ির খাবার খেতে ভালো লাগে। আমাকে কেউ বিয়ের দাওয়াত দিলে আমার খুসি লাগে। বিয়ের দিন আমি সেজে গুজে বিয়ে বাড়িতে আয়োজন করা খাবার থেতে যাই। আমাদের এলাকায় বর্তমানে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামুর সামনের পাতার ৯টি পোষ্টে শুন্য (০ ) মন্তব্য।

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৫ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০০



আজকে সকালে একটু দেরীতে ( নিউইয়র্ক সময়, সকাল ৮:২১ ) সামুতে লগিন করলাম; লগিন করে আজকাল প্রথমে নিজের লগিন স্ট্যাটাস পরীক্ষা করি: এখনো সেমিব্যানে আছি। মোট... ...বাকিটুকু পড়ুন

উসমানীয় সাম্রাজ্যের উসমান এখন বাংলাদেশে

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ২৫ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২০



জনপ্রিয় ''কুরুলুস উসমান'' সিরিজের নায়ক Burak Ozcivit এখন বাংলাদেশে। বিগত কয়েক বছর ধরে তার্কির অটোমান সাম্রাজ্যের বিভিন্ন সুলতানদের নিয়ে নির্মিত সিরিজগুলো বিশ্বব্যপী বেশ সারা ফেলেছে। মুসলিমদের মাঝেতো বটেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহর সাহায্য

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৫ শে মে, ২০২৪ রাত ৯:৪০



দুই মেয়ের পরীক্ষা বিধায় আমার স্ত্রীকে লক্ষ্মীপুর রেখে আসতে গিয়েছিলাম। বরিশাল-মজুচৌধুরীর হাট রুটে আমার স্ত্রী যাবে না বলে বেঁকে বসলো। বাধ্য হয়ে চাঁদপুর রুটে যাত্রা ঠিক করলাম। রাত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×