সাত দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ার পর অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মানলেন বালাগঞ্জের কালিয়ারগাঁও গ্রামে স্বামীর দেওয়া আগুনে পুড়ে যাওয়া গৃহবধূ মিলন বেগম। গতকাল সোমবার দুপুর একটায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
ছোট বাইচ্চাটার লাগি আমি বাঁচতাম চাই। বাইচ্চাটারে এতিম বানাইয়া কই থইয়া যাইতাম—এটি ছিল হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে মিলন বেগমের শেষ আকুতি। পারিবারিক কলহের জের ধরে গত ২০ জুন রাতে গৃহবধূ মিলনের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন স্বামী বাদশা মিয়া। এ ব্যাপারে মিলনের ভাই বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বালাগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। ঘটনার পরপরই পুলিশ মিলনের স্বামী বাদশা মিয়াকে গ্রেপ্তার করে।
২০০৪ সালে তাঁদের বিয়ে হয়। উভয়ের মধ্যে বনিবনা না হলে ২০০৯ সালে তাঁদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। পরে আত্মীয়স্বজন ও মুরব্বিদের মাধ্যমে প্রায় দুই মাস আগে আবারও তাঁদের বিয়ে হয়। এরপর কিছুদিন সব ঠিকঠাক চললেও ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে মনোমালিন্য ও কলহ। ২০ জুন রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় মিলনের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন বাদশা। প্রতিবেশীরা এসে আগুন নেভানোর আগেই গায়ের বেশির ভাগ অংশ পুড়ে যায় মিলনের।
বালাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত্রকর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রীর গায়ে আগুন দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন বাদশা মিয়া।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৪:২৮