somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দক্ষিণ এশিয়ায় মৌলবাদের উত্থান ঃ প্রসঙ্গ বাংলাদেশ

২৭ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


উৎস :- শাহরিয়ার কবির লেখা

বাংলাদেশে ধর্মীয় মৌলবাদের সাম্প্রতিক উত্থান ঘটেছে জেনারেল এরশাদের আমলে যখন সংবিধানের অষ্টম সংশোধনীর মাধ্যমে ইসলামকে ‘রাষ্ট্রধর্ম’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। অবশ্য এর ক্ষেত্র তৈরি করেছিলেন তাঁর পূর্বসূরি জেনারেল জিয়া, যিনি সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে বাংলাদেশের চার মূলনীতির তিনটি ‘ধর্মনিরপেক্ষতা,’ ‘বাঙালি জাতীয়তাবাদ’ ও ‘সমাজতন্ত্র’ খারিজ করে ‘আল্লাহর সার্বভৌমত্ব’ প্রতিষ্ঠার কথা বলেছিলেন। গণতন্ত্রের বিকৃত ব্যাখ্যা দিয়ে জেনারেল জিয়া একাত্তরের চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী মৌলবাদীদের নিয়ে দল করেছেন এবং মন্ত্রিসভায়ও ঠাঁই দিয়েছেন। যারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে তিরিশ লক্ষ বাঙালি হত্যা এবং আড়াই লক্ষেরও বেশি নারী ধর্ষণে সহায়তা করেছিল এবং নিজেরাও সমানভাবে অংশ নিয়েছিল একাত্তরের সেই সব ঘাতক দালাল যুদ্ধাপরাধীদের এভাবেই বাংলাদেশের মাটিতে পুনর্বাসিত করা হয়। মুক্তিযুদ্ধোত্তর বাংলাদেশে এভাবেই সা¤প্র্রদায়িক ও মৌলবাদী রাজনীতির পুনর্জন্ম ঘটে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সামরিক জান্তা এবং তাদের এদেশীয় সহযোগী জামাতে ইসলামী, মুসলিম লীগ, নেজামে ইসলামী প্রভৃতি দল বাংলাদেশে গণহত্যা, নারী নির্যাতন ও যাবতীয় ধ্বংসযজ্ঞ সাধনের জন্য আদর্শিক হাতিয়ার হিসেবে ইসলামকে অবলম্বন করেছিল। তারা মনে করে ‘ইসলাম’ ও ‘পাকিস্তান’ সমার্থক শব্দ, যে কারণে একাত্তরে তারা বলতে পেরেছিল, ‘পাকিস্তান না থাকলে দুনিয়ার বুকে ইসলামের নাম নিশানা থাকবে না।’
মৌলবাদের মূল বৈশিষ্ট্য হচেছ মানুষের চেতনায় ধর্মের নামে এক ধরনের উন্মাদনা সৃষ্টি করা, যাতে মানুষ হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে হত্যা ও ধর্ষণ সহ যাবতীয় অপরাধকে পবিত্র কর্তব্য বলে বিবেচনা করে। মৌলবাদের নৃশংসতম রূপ আমরা প্রত্যক্ষ করেছি একাত্তরে বাংলাদেশে। আমরা তখন দেখেছি হত্যা নির্যাতনের বহুমাত্রিক নিষ্ঠুরতা কিভাবে হার মানিয়েছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন ইউরোপে নাৎসী ও ফ্যাসিস্ট বাহিনীর বর্বরতাকে। (এই বর্বরতার সা¤প্রতিক দলিল হচেছ একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির প্রকাশনা ‘একাত্তরের দুঃসহ স্মৃতি।’) যদিও একাত্তরে বাংলাদেশের মাটিতে শোচনীয় পরাজয় বরণ করতে হয়েছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এবং তাদের এদেশীয় মৌলবাদী সহযোগীদের, কিন্তু পরাজয়ের গ্লানি তারা কখনও ভুলতে পারেনি। একাত্তরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারত ছিল আমাদের প্রধান মিত্র। বাংলাদেশ ভারত যৌথ কমাণ্ডের কাছেই আÍসমর্পণ করেছিল পাকিস্তানি জেনারেল নিয়াজীর নেতৃত্বাধীন নব্বই হাজারেরও বেশি সৈন্য। একাত্তরের শোচনীয় পরাজয়ের প্রতিশোধ নেয়ার জন্য পাকিস্তান আক্রমণের লক্ষ্য হিসেবে বেছে নিয়েছে ভারত ও বাংলাদেশকে। ভারতের ক্ষেত্রে তাদের নীতি হচেছ রাষ্ট্রীয় সংহতি বিপণœকারী বিভিন্ন বিচিছন্নতাবাদী আন্দোলনকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান এবং ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে ব্যাহত করা। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও পাকিস্তান একইভাবে এখানকার মৌলবাদী সহযোগীদের বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও অর্থ সহ সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করছে, যাতে সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতি মানবিক ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং ধর্মীয় সহনশীলতার আদর্শ থেকে বাঙালিদের বিচ্যুত করে এখানে পাকিস্তানি ধাঁচের একটি সহিংস মৌলবাদী ও সমরবাদী রাষ্ট্র কায়েম করা যায়। বাংলাদেশে জামাতে ইসলামী ও তাদের সহযোগী অপরাপর মৌলবাদী দলগুলো প্রকাশ্য জনসভায় বাংলাদেশকে আফগানিস্তান ও পাকিস্তান বানাবার হুমকি দিচেছ, বিভিন্ন মাদ্রাসায় তালেবানদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিচেছ এবং এই সব প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত তালেবান, হরকতুল জেহাদ প্রভৃতি ঘাতক বাহিনী হামলা করছে, হত্যা করছে প্রগতিশীল রাজনৈতিক নেতা-কর্মী, বুদ্ধিজীবী ও সংস্কৃতিসেবীদের।
বাংলাদেশে মৌলবাদীদের আক্রমণের প্রধান লক্ষ্য নারী সমাজ, সংখ্যালঘু ধর্মীয় স¤প্রদায় ও জাতিসত্তাসমূহ, বিভিন্ন এনজিও, বাঙালি সংস্কৃতি এবং সাধারণভাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অনুসারী গোটা বাঙালি জাতি। প্রধান বিরোধী দল বিএনপির সঙ্গে প্রকাশ্য জোট গঠনের ফলে বাংলাদেশের মৌলবাদীরা এতই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে যে গত জুলাইয়ে (২০০০) তারা স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা করতে চেয়েছিল তাঁর জনসভাস্থলে একাধিক শক্তিশালী বোমা স্থাপন করে, যার দায় স্বীকার করেছে হরকতুল জেহাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত গ্রেফতারকৃত কেডাররা। ’৯৯-এর জানুয়ারিতে এরাই হত্যা করতে গিয়েছিল নির্মূল কমিটির সভাপতি এবং দেশের বরেণ্য কবি শামসুর রাহমানকে।
একাত্তরের প্রতিশোধ গ্রহণের বিষয়টি ছাড়াও পাকিস্তানের সুদূরপ্রসারী এক পরিকল্পনা রয়েছে দক্ষিণ এশিয়া থেকে শুরু করে মধ্য এশিয়ার মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলোতে। বাংলাদেশ সহ সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে প্রতিষ্ঠা লাভকারী মধ্য এশিয়ার পাঁচটি মুসলিম প্রধান দেশে পাকিস্তান এক ধরনের খিলাফত কায়েম করতে চায় যার বৈশিষ্ট্য হবে জঙ্গী মৌলবাদ। বাংলাদেশে তাদের এজেন্টরা তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী হলেও মধ্য এশিয়ায় পাকিস্তান তেমন কোন অবস্থান গ্রহণ করতে পারেনি মূলত ভৌগোলিক কারণে। মধ্য এশিয়ার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ নিরবচিছন্ন করার জন্য ভারতের জম্মু কাশ্মীর রাজ্যের উত্তরাঞ্চলের কিছু ভূখণ্ড তাদের প্রয়োজন। গত বছর কাশ্মীরে কারগিল যুদ্ধের প্রধান কারণ ছিল সিয়াচেনের উপর পাকিস্তানের কর্তৃত্ব স্থাপন। কারগিলের পরাজয় পাকিস্তানকে আরও বেপরোয়া করে তুলেছে, যার বলি হতে হয়েছে সেখানকার নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নেওয়াজ শরীফকে। পাকিস্তানে জেনারেল পারভেজ মোশাররফ ক্ষমতায় আসার পর কাশ্মীরের জঙ্গী মৌলবাদীদের সহযোগিতা প্রদান বৃদ্ধি পেয়েছে এবং প্রায় প্রতিদিনই ভারতের সঙ্গে কাশ্মীর সীমান্তে সংঘর্ষ চলছে, যার শিকার হচেছ সেখানকার নিরীহ মানুষ। আফগানিস্তান থেকে সোভিয়েত সৈন্য প্রত্যাহারের পর পাকিস্তান যে চার লাখ সশস্ত্র তালেবান তৈরি করেছিল তাদের একটি বড় অংশকে জেহাদ করার জন্য তারা পাঠিয়েছিল কাশ্মীরে। গত বার বছরে কাশ্মীরে পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে পাকিস্তানের জেহাদ রফতানীর মাশুল হিসেবে। শুধু প্রাণহানী নয়, গত বার বছরে জঙ্গী মৌলবাদ কাশ্মীরের কয়েক হাজার বছরের ধর্মীয় স¤প্রীতির ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, অর্থনীতি ও জনজীবন ধ্বংস করে দিয়েছে। বাংলাদেশেও পাকিস্তান অভিন্ন লক্ষ্যে কাজ করছে। অতি স¤প্রতি বাংলাদেশে পাকিস্তানের প্রধান অনুগত দল জামাতে ইসলামীর সাংসদ দেলোয়ার হোসেন সাঈদী বগুড়ার এক জনসভায় বলেছেন, ‘কাশ্মীর যেদিন পাকিস্তান হবে সেদিন বাংলাদেশও পাকিস্তান হবে।’ (দৈনিক যুগান্তর, ১৯ অক্টোবর ২০০০)
পাকিস্তানের ক্রমবর্ধমান মৌলবাদী সন্ত্রাস, বাংলাদেশ ও ভারতের মৌলবাদী ও বিচিছন্নতাবাদীদের মদদদান এবং জ্বেহাদ রফতানীর প্রয়াস প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতি যেমন বিনষ্ট করছে একইভাবে ভারতে হিন্দু মৌলবাদের পুনরুত্থানের পথ সুগম করছে। বাংলাদেশের মুসলিম মৌলবাদীরা যেমন মনে করে ‘পাকিস্তান’ ও ‘ইসলাম’ সমার্থক শব্দ, ভারতের হিন্দু মৌলবাদীরাও তাই মনে করে, যার কারণে ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিম স¤প্রদায় শঙ্কিত। এভাবেই দক্ষিণ এশিয়ায় মৌলবাদ প্রায় দেড়শ কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা, মানবিক মূল্যবোধ, গণতান্ত্রিক চেতনা ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দক্ষিণ এশিয়ায় মৌলবাদের প্রধান শক্তি হচেছ রাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতা ও প্রশ্রয়। বাংলাদেশে জেনারেল জিয়া, জেনারেল এরশাদ ও বেগম খালেদা জিয়ার আমলে বাংলাদেশে রাষ্ট্র ও সমাজের ইসলামীকরণের নামে পাকিস্তানিকরণের যে উদ্যোগ আমরা লক্ষ্য করেছি মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বপ্রদানকারী, ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সামান্য কিছু পরিবর্তন ও সংশোধন ছাড়া এর মূলধারা অব্যাহত রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে গত জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থলে মৌলবাদীদের বোমা স্থাপনের ঘটনায় সরকারের টনক নড়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার চার বছর পর একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এবং তাদের সহযোগীদের বিচারের প্রয়োজনীয়তার কথা এখন সরকারীভাবে বলা হচেছ। স¤প্রতি জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাকিস্তান স¤পর্কে কিছু কঠিন সত্য কথা ¯পষ্টভাবে বলে গণতন্ত্রের প্রতি তাঁর অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। কিন্তু এখনও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কোনও সক্রিয় উদ্যোগ সরকারীভাবে নেয়া হয়নি, এখনও মাদ্রাসার সংখ্যা বাড়ানো হচেছ, যেখানে তৈরি হচেছ আফগানস্টাইলের তালেবান। এখনও দূর হয়নি সংখ্যালঘু ধর্মীয় ও জাতিসত্তাসমূহের শংকা ও বঞ্চনা। প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে জামাতে ইসলামী ও তাদের সহযোগীরা যেভাবে শেকড় গেঁড়ে বসে আছে, যেভাবে তারা বানচাল করে দিচেছ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের যাবতীয় উদ্যোগ তাদের অবস্থান এখনও অক্ষুণœ রয়েছে।
এ কথা সত্য যে পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ক্ষমতা দখলের পর পাকিস্তানপন্থীরা একুশ বছর ধরে বাংলাদেশের রাষ্ট্র ও সমাজের যে পাকিস্তানিকরণ করেছে সদিচছা থাকলেও একা সরকারের পক্ষে চার বছরে তা সংশোধন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। এ কাজের জন্য দেশের সুশীল সমাজেরও সক্রিয় উদ্যোগ গ্রহণ প্রয়োজন। কিন্তু সুশীল সমাজের পক্ষেও তা সম্ভব হবে না সরকার যদি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তাদের অবস্থান ¯পষ্ট না করে। আমরা এখনও জানি না মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মূর্ত দলিল বাহাত্তরের সংবিধানে বর্ণিত রাষ্ট্রের চার মূলনীতির প্রতি আওয়ামী লীগ কতটা আন্তরিক। আমরা জানি না আগামী নির্বাচনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কিংবা পাকিস্তানের কাছে পাওনা আদায়ের বিষয়টি আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ঘোষণার অন্তর্ভুক্ত হবে কি না।
মৌলবাদ সব সময় সুযোগ নেয় দারিদ্র্য, অশিক্ষা, হতাশা, সামাজিক কুসংস্কার, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সন্ত্রাসের। মৌলবাদের শত্র“ হচেছ গণতন্ত্র, ইহজাগতিকতা, ধর্মীয় সহনশীলতা, মানবিক মূল্যবোধ ও বিজ্ঞানমনষ্কতা। সরকার যদি আন্তরিকভাবেই মৌলবাদের বিরোধিতা করতে চায় এ বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখতে হবে। ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। বাংলাদেশে যতদিন একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার না হবে মৌলবাদের ক্রমবর্ধমান বিকাশ রোধ করা যাবে না। ধর্মভিত্তিক রাজনীতি সাংবিধানিকভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে বাহাত্তরের সংবিধানে যেমনটি ছিল।
পাকিস্তানের জন্মের পর থেকে বাংলাদেশের সুশীল সমাজ সা¤প্রদায়িকতা ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে, ধর্মের রাজনৈতিক ব্যবহারের বিরুদ্ধে এবং গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষে সর্বদা সোচচার রয়েছেন, যা দক্ষিণ এশিয়ায় এক উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে মৌলবাদীরা যেমন একই গ্রন্থিতে আবদ্ধ, এই সব দেশে মৌলবাদের বিরুদ্ধে সোচচার সুশীল সমাজকে এক মঞ্চে দাঁড়ানো জরুরি হয়ে উঠেছে। সীমিত পর্যায়ে হলেও পাকিস্তানের গণতন্ত্রকামী মানুষ মৌলবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করছেন। হামুদুর রহমান কমিশনের আংশিক প্রতিবেদন প্রকাশের পর সেখানকার সুশীল সমাজ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারও দাবি করছে। ভারতেও রয়েছে মৌলবাদ ও সা¤প্রদায়িকতাবিরোধী সংগ্রামের বিশাল ঐতিহ্য। মৌলবাদ ও সা¤প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের অপরাপর প্রতিবেশী দেশের সুশীল সমাজও আন্দোলন করছে। বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান সহ সার্কের সদস্য দেশসমূহের সুশীল সমাজকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে দেড়শ কোটি মানুষের এই অঞ্চলে গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি নিরাপদ করার জন্য।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

রাফসানের মা হিজাব করেন নি। এই বেপর্দা নারীকে গাড়ি গিফট করার চেয়ে হিজাব গিফট করা উত্তম।

লিখেছেন লেখার খাতা, ১১ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩


ছবি - সংগৃহীত।


ইফতেখার রাফসান। যিনি রাফসান দ্যা ছোট ভাই নামে পরিচিত। বয়স ২৬ বছর মাত্র। এই ২৬ বছর বয়সী যুবক মা-বাবাকে বিলাসবহুল গাড়ি কিনে দিয়েছে। আমরা যারা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ এঁটেল মাটি

লিখেছেন রানার ব্লগ, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৫৬




শাহাবাগের মোড়ে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলাম, মাত্র একটা টিউশানি শেষ করে যেন হাপ ছেড়ে বাঁচলাম । ছাত্র পড়ানো বিশাল এক খাটুনির কাজ । এখন বুঝতে পারি প্রোফেসরদের এতো তাড়াতাড়ি বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসুন সমবায়ের মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচন করি : প্রধানমন্ত্রী

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১২ ই মে, ২০২৪ ভোর ৪:১০



বিগত শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নিজ সংসদীয় এলাকায় সর্বসাধারনের মাঝে বক্তব্য প্রদান কালে উক্ত আহব্বান করেন ।
আমি নিজেও বিশ্বাস করি এই ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খুবই আন্তরিক ।
তিনি প্রত্যন্ত অন্চলের দাড়িয়ারকুল গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাইলট ফিস না কী পয়জনাস শ্রিম্প?

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১২ ই মে, ২০২৪ সকাল ৭:৪০

ছবি সূত্র: গুগল

বড় এবং শক্তিশালী প্রতিবেশী রাষ্ট্রের পাশে ছোট ও দূর্বল প্রতিবেশী রাষ্ট্র কী আচরণ করবে ? এ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক অধিক্ষেত্রে দুইটা তত্ত্ব আছে৷৷ ছোট প্রতিবেশি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছেলেবেলার অকৃত্রিম বন্ধু

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ১২ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৯

খুব ছোটবেলার এক বন্ধুর গল্প বলি আজ। শৈশবে তার সাথে আছে দুর্দান্ত সব স্মৃতি। বন্ধু খুবই ডানপিটে ধরনের ছিল। মফস্বল শহরে থাকতো। বাবার চাকুরির সুবাদে সেই শহরে ছিলাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

×