somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মেয়েদের নিরাপত্তা আমরা কতটুকু দিতে পারছি???

২৭ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ঘটনাটা কয়েক মাস আগের। ৬ জন তরুণী সেদিন বিকেলে গিয়েছিল রাজধানীর একটি বেশ পুরনো Amusement park এ। তারা সবাই একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ এর ছাত্রী। এই পার্কটি বেশ আগের এবং বর্তমানে দেশে এর চাইতেও অনেক উন্নত Amusement park আছে। বলে রাখা ভাল যে আমি মেডিকেল এর ছাত্র নই। তাই ওদের জীবন সম্পর্কে আমি সম্যক অবগতও নই। তবে যদ্দুর জানি MBBS পড়ার ৫টি বছর তারা তাদের সকল সাধ আহ্লাদ এর সাথে যুদ্ধ করে চলে। তাই হঠাৎ একটু অপ্রত্যাশিত অবসর তাদের মনে নিয়ে আসে দুষ্প্রাপ্য আনন্দ! সবাই মিলে ওরা তাই পার্কটিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। বলা বাহুল্য যে পার্কটি তাদের মেডিকেল কলেজ এর অদূরে। তাইতো সেখানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত।

যেই কথা সেই কাজ! টিকেট কেটে পার্কে ঢুকে পরল ৬ তরুণীর ছোট্ট দল। আগেই বলা হয়েছে, পার্কটি বেশ পুরনো এবং বর্তমানে দেশে এর চাইতেও অনেক উন্নত Amusement park আছে। তাই সেখানে লোকজনের গমনাগমন অনেক কম। প্রথম দিকে কোন সমস্যা হয়নি। খুব মজা করে ওরা ঘুরে বেড়াচ্ছিল পার্কে, উঠছিল ride-গুলোতে। একটি ride-এ তখন তারা চড়ে বেড়াচ্ছিল যখন তারা হয়ে উঠল অন্য আরেকটি দলের নিশানা। ওই দলটি যে নরের দল তা বুঝার জন্য নিশ্চই বিজ্ঞ হওয়ার দরকার নেই। তৎক্ষণাৎ ছেলেগুলোর পকেট থেকে বেড়িয়ে এলো গুটি কয়েক মোবাইল ফোন যেখানে মনের মত করে বন্দী করে নেয়া যায় যেকোনো সময় যে কারো ছবি। আহা! প্রযুক্তির কি স্বাধীন ব্যাবহার!

এতটুকু পড়ে হয়তো অনেকেই ভাবছেন, এগুলোতো হরহামেশা হচ্ছে। ব্লগে লিখার কি হল? আমিও স্বীকার করি, হচ্ছে। তবে আমরা জানি না এই ছবিগুলর ভবিষ্যৎ কি। অনেকেই হয়তো ভাবতেও চান না। অনেকে আবার এটাকে ভাববার কোন বিষয়ই মনে করেন না। সে যাই হোক, ঘটনা এখনো শেষ হয়নি। পরের অংশ লিখছি এখন।

Ride থেকে নেমে মেয়েদের দলের একজন সদস্যা সাহস করে গেলেন ছেলেদের ওই দলের কাছে। বাকিরাও তার পেছন পেছন গেলেন। মেয়েটি সরাসরি charge করে বলল কেন তাদের ছবি তোলা হয়েছে। ছেলেগুলো হেসে জবাব দিল কে বলেছে তারা ছবি তুলেছে। কোন প্রমান আছে? একজন তার মোবাইল ফোনটি মেয়েটির হাতে দিয়ে বলল খুঁজে দেখতে। নাছোড়বান্দা মেয়েটিও তা-ই করার জন্য ফোনটি হাতে নিয়ে check করতে শুরু করল। একটু দেখেই আর রুচি হল না দেখার। ছেলেগুলোর নষ্ট মনের আর নোংরা মানসিকতার সাক্ষ্য বহন করে চলছে এক একটি mobile memory-র folder. এরপর আর কি-ই বা দেখার আছে? প্রযুক্তির কল্যাণে আজ মানুষের অকল্যাণ যে কত সহজে করা যায় তারই প্রমাণ এই ঘটনা। মেয়েগুলোর ছবি দিয়ে ছেলেগুলো কি করবে তা আমরা জানি না। হয়তো কিছুই করবে না। হয়তবা বন্ধুমহলে দেখিয়ে বাহবা নিবে। তারপর delete করে নতুন মেয়ের ছবি সেখানে save করবে নতুন বাহবার আশায়। অথবা mobile memory-তে রাখা নোংরা ভিডিওগুলোর পাশে নোংরাভাবেই স্থান পাবে ছবিগুলোর নোংরা edited version. মাথা বসানো ছবিগুলো তারপর ছড়িয়ে দেয়া হবে এক মুঠোফোন থেকে আরেক মুঠোফোনে। এরপর কারো desktop এ উঠে আসবে data cable নামক সেতু বেয়ে। নোংরামির বিশ্বজনীনতাকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয়ে ছবিগুলো তারপর upload করে দেয়া হবে কোন একটি website এ; যে website-এর মৌলিকতা হল হরেক মানুষের নগ্নতা আর যৌনতা। তারপর??? প্রশ্নটি নিজেকেই করুন প্রিয় পাঠক।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কাঁচা আম পাড়ার অভিযান

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২



গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরের বাড়ীয়া ইউনিয়নের দেউলিয়া গ্রামে আমার প্রায় ৫২ শতাংশ জমি কেনা আছে। সেখানে ছোট একটি ডোবা পুকুর, অল্প কিছু ধানের জমি আর বাকিটা উঁচু ভিটা জমি। বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×