somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মেয়ের নাম শিথি

২৫ শে জুন, ২০১১ রাত ১১:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গত ৬।১২।২০১০ইংরেজী তারিখে আল্লাহর অশেষ দয়ায় কন্যা সন্তানের বাবা হয়েছি ।সে এক অন্যরকম অনুভূতি।আমি কনো লেখক নয়ই যে তার যর্থাথ ভাব দিয়ে পাঠকদের সাথে শিয়ার করব।
তবে ফেসবুক,ইমেল,টেলিফোনে যে সেব বন্ধু ও শুভাকাংক্ষি মোবারক
বাদ দিয়ে আমাকে আনন্দ ও খুশি করেছে তার কিছু এখানে শিয়ার করব ।
উলেক্ষ্য যে দৃগ্য ১০ বছর যাবত আমি সৌদি আরব প্রবাসী ।
সর্ব প্রথম ছোট ভাই মিথুন ভোর ৫টায় টেলিফোন করেঃ হ্যালো ভাই আপনি কন্যা সন্তানের বাবা হইছেন, আমরা চাচা হইলাম ।
পারভিন আপাঃ শিপন,মাসাল্লাহ একেবারেই তুই । সাইম লম্বা এক হাসি দিয়েঃ হে হে কি শুনলাম তুই নাকি বাবা হইলি ?
ফেসবুকে বড় ভাই আবুল বাশারঃ আল্লাহ্‌র কাছে সুক্রিয়া করো ।
রুমাঃ মাসাল্লাহ ।বন্ধু শিমুল বাশারঃ


ইমেইলে আহামেদঃ মুবরুক,রাব্বানা খাল্লি ।অথাৎ মোবারক বাদ,মহান আল্লাহ তাকে বচিয়ে রাখুক ।
এ ভাবে চলতে থাকলো ৪/৫ দিন ,৭দিনের দিন আকিকা দিয়ে নাম করন করতে হবে । শুরু হলো নাম খোঁজার পালা । নাম খোছতে জেয়ে সে কি বিপওি। মেয়ের নাম নাকি বাবার নামের সাথে মিলিয়ে রাখতে হয় ,তাই নাম যাই হোক প্রথম অক্ষর এস কিংবা শ হতে হবে । সে ভাবেই চলছে নাম খোজা- খুজি ।ইসলামিক কোণ এক বই এ পড়ছিলাম ,বাবা মার সন্তানের উপর প্রথম দায়িত্ব হলো সুন্দর নাম রেখে আকিকা দেওয়া ।আরও পড়ছিলাম সুন্দর নাম হয় ঐ সব ,আল্লাহর পছন্দের নাম । যা আল্লাহ কিয়ামতের দিন হাশরের ময়দানে ঐ সুন্দর নাম রাখার কারনে আল্লাহ তালা খুশি হয়ে সন্তানের বাবা-মাকে বলবে যাউ তোমরা জান্নাতে যাও । সে আশায় আমিও মেয়ের নাম খুঁজতে লাগলাম আল্লাহার পছন্দের ইসলামিক নাম সমূহ । আমি তালিকা করতে লাগলাম নামের ।আমেনা,রাবেয়া,ফাতেমা ইত্যাদি । আর বৌকে জানাছি ।বৌর করা
হোশিয়ারি এ রকম কমোন ও পুরানো নাম চলবে না । নাম হতে হোবে আনকমোন ইসলামিক । এখন এ রকম নাম আমি কথায় পাই ? আবার মিথুন, ছোট ভাই খুব উৎসাহ নিয়ে একটু পর পরই এই নাম সেই নাম নিয়ে আসছে ।মিথুন বাড়ির ছোট সন্তান হয়াতে
অর সিধান্তে সবাই প্রায়রিটি দিচ্ছে । যাই হক নাম হলো "সচ্ছো" ।
কিন্তু আমার ভাল লাকছে না ।এটা কেমন নাম হলো । এদেকে আকিকার দিনও চলে এলো নামতো এখন নির্বাচন করতেই হবে ।
শেষে ছোট বোন লিপির নাম করনে আকিকা হলো,রুকাইয়া শিপন
ভাল নামতো হলো এখনতো একটা ডাক নাম দরকার ।

আমি আবার খুঁজতে লাগলাম একটি সুন্দর নাম আমার সো্নামনির জন্য । পেলাম "সামিয়া" মা বলে না এ নাম রাখা যাবেনা ,পাশের বাড়ির মৃদা বাড়ির মেয়ের নাম ।হল বাদ ।
"সুমাইয়া" মোটামুটি চলে যাইহোক প্রথম অক্ষর সঃ তো আছে ।
কিন্ত বাদ সাজলো বোন লিপি, এ নাম চলবে না । কেনো ??
এ নাম চাচাতো বনের মেয়ের নাম ।তাতে কি ঐ মেয়ে থাকবো কই আর আমার মেয়ে থাকব জয়পারায় । না বনের সাফ কথা এ নাম রাখা চলবেনা ।পরে ইরাণী আপা বলবে তার মেয়ের নাম দেখে আমরা আমাদের মেয়ের নাম রাখছি ইত্যাদি ইত্যাদি ।হলো বাদ ।
অনেক খোঁজা- খুঁজি কোরে পেলাম নাম ।নামটি আমার খুবই পছন্দ
হল ।আমি মনে মনে ভীষণ শান্তি পেলাম যাক এবার একটি নাম পাইছি ,আনকমোন এবং সুন্দর ও পরিতির মোধ্যেতো নাই"ই এলাকায়ও নাই । বাড়ীর সবাইকে বললাম আমার মেয়ের নাম "সারা" সবাই খুশি হলো ।ডাকা ডাকিও শুরু হল । অমা কয়দিন পর মামাতো বোন তুলি তেরে এলো ।তার ফুপিকে বলে, ফুপি তোমার
নাতীর নাম শারা রাখতে পারবানা , তুমি যানোনা এটা আমার নাম । মা বলে আমরা রাখি নাই যার মেয়ে সে রাখছে ।
একদিন বাংলাদেশ থেকে বার বার মিস কল ।ফোন গুরাতেই অপাশ থেকে , অই শিপন ভাই খবরদার তোমার মেয়ের নাম সারা
রাখতে পারবে না ।
তুলির সাথে লিপিও আপত্বি করাতে আমার এই পছন্দের নামটিও
ব্যাসতে গেলো ।
কি করব ? কোথায় পাবো আমার সোনামনির জন্য একটি সুন্দর নাম ? এ দিকে দেরি হয়ার কারনে মিথুনের সেই আমার না পছন্দ
নামটিই নিয়েই সবাই ডাকা-ডাকি শুরু করছে । কি করি ?
অনেক ভাবা ভাবির পর বন্দু শিমুল বাশারকে বললামঃ বন্দু
মেয়ের জন্য নাম পাছিনা একটা নামতো দে । শিমুল বললো ,ওকে
আমি দেখছি তবে হ্যাপি টেপি রাখা যাবে না ।
আমি মনে মনে ভাবছি পারলেতো হ্যাপিই রেখেদেই যেনো মেয়েটি
আমার, বড় হয়ে হ্যাপির মতোই হোক ।
হ্যাপির কথা ভেবেই বাদ দিলাম ইসলামিক সুন্দর নাম রাখার প্রয়োজন । পাশাপাশি বাংলাদেশের কিছু বিখ্যাত মেয়ের নাম শেখ হাসিনা,মতিয়ারা চৌধুরি,শাহারা খাতুন,সুলতানা কামাল প্রভতি এ
সব ইসলামিক সুন্দর নাম ধারি মানুষ রুপি জানুয়ার ।যারা ধর্মনিরপেক্ষতা মতোবাদে বিশ্বাস করে । এদের কথা মনে পরাতে
চূড়ান্ত ভাবে বাদ দিলাম ।না নাম নয় তার শিক্ষা দীক্ষা আচার আচরনেই আমার মেয়েটি মানুষ হবে ।হবে ধর্ম ভিরু ,চারিএিক গুনা বলিতে হবে অন্যন্যা ।

এ দিকে বন্দু শিমুল আর কোন নাম দিছেনা ।এক দিন অলস দুপুরে বসে আছি ।শিপনের সাথে শিথিতো দারন মিল
তবে কেনো নয় আমার মেয়ের নাম শিথি । নামটি আমার ভিশন পছন্দ হলো ।এ ভাল লাগা নিয়েই বৌর সাথে শিয়ার করলাম
বৌও খুশি হলো বললো বাহ সুন্দর" শিথি" ।


সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ৮:২১
৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অপরূপের সাথে হলো দেখা

লিখেছেন রোকসানা লেইস, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৩৫



আট এপ্রিলের পর দশ মে আরো একটা প্রাকৃতিক আইকন বিষয় ঘটে গেলো আমার জীবনে এবছর। এমন দারুণ একটা বিষয়ের সাক্ষী হয়ে যাবো ঘরে বসে থেকে ভেবেছি অনেকবার। কিন্তু স্বপ্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×