আমি ১৭ মাস ধরে করুনার বুকে হাত রাখিনা, লম্পটের মত হাসিও না
পাছে বাবুর ঘুম ভেঙ্গে যায়-সে তো আবার ঘুমে হাসে।
আমার পাখির নাম করুনা, সেও রাতে হাসেনা-কাশেনা কিংবা সাজেঁনা.....
ঐ ১৭ মাস ধরেই, যদি খোকা কেঁদে উঠে..........?
আমার খোকা- যার চোখের দিকে তাকিয়ে আমি অস্থির বোধ করি,
রুপকথার গান শো্নাই, বলি তারে - শো্ন বাবুন,
আকাশটাকে ডালা বানিয়ে-জুঁই বেলির থালা সাজিয়ে-
পদ্মে্র মাথায় আসন পেতে দিব, পরিস্থানের হাজার পরি দাসি করে নিও,
পাখির মাংস, পদ্ম মধু, সুরার হাড়ি পালকি ভরে দিব,
খোকা নিশ্পাপ চোখে তাকিয়ে থাকে,
এইসব রুপকথা আর গানে চোখ আমার ঘোলা হয়ে আসে।
এমন ঘোলা চোখেই একদিন মা আমার তাকিয়ে ছিলো
এইসব পাখি,পরি, সুরা -হাড়ির গল্প বলেছিল।
আর আমি তাঁর কলিজা খেয়েছি একটু একটু করে।
ঠিক মাকড়শার মতো মা আমাকে বুকে নিয়ে বেড়াতো
আমি দানব বেড়ে উঠি ধিরে এবং একদিন খেয়ে ফেলি মাকে.......
বিষেঁর বাটি হাতে নিয়ে মা বললেন-
ভালো থেকো খোকা- আমার খোকন সো্না, ভালো থেকো।
হাসি মুখেই মা চলে গেলেন, আমার বুকে মাথা রেখে।
অন্ধকার ঘরে দানব আজ চিৎকার করছে সেই কবেকার খোকন সো্না,
তোমার খোলা বুকে আমাকে লুকিয়ে রাখো ,আমি বড্ড ভয় পাই মা।
করুনার পাশে শিশু দানব নিশ্চিন্তে ঘুমায় আর হাসে
আমি অন্ধকারে আতংকে অস্থির হই, মাকে খুঁজে ফিরি.........
ভয়ে আমার দম বন্ধ হয়ে আসে, খোকা করুনার দুধ খেতে শুরু করেছে,
বেড়ে উঠছে আমার সো্নামনি আমার ভবিষ্যতের ইতিহাস।