গত পরশু আন্তর্জাতিক ধান গবেষনা কেন্দ্রের (ফিলিপিন্স) ডাইরেক্টর জেনেরাল প্রফেসর জাইগলার আমেরিকাতে এক ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে কিভাবে ধানের উৎপাদন বাড়িয়ে এশিয়া থেকে দারিদ্র্যতাকে দুর করা যায় তা নিয়ে একটা পেপার প্রেজেন্ট করছিলেন। ঐ কনফারেন্সে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ২৫০০ ফান্ডিং এজেন্সীর লোক, রিসার্চার, শিক্ষক, পোস্ট ডক, এবং ছাত্র উপস্হিত ছিলেন... প্রেজেন্টের এক পর্যায়ে, এশিয়াতে কৃষক কত গরীব তা বুঝাতে, বাংলাদেশের উত্তরান্চলের একটা ছবি দেখান যেখানে এক কৃষক ধান কাটার পর, গর্ত করে ইদুরের চুরি করা ধান সংগ্রহ করতে দেখা যায়.... এমন একটা 'বিছিন্ন' ছবি দিয়ে সমগ্র কৃষককে রিপ্রেজেন্ট করা যে কতটা মানবিক, তা আমি বুঝতে পারলাম না। উনারা এই রকমের ছবি যুগ যুগ ধরে দেখিয়ে আসছেন যাতে উনাদের ফান্ডিংটা অব্যাহত থাকে...........।
প্রশ্ন করার সুযোগ আসলেও, সময়ের অভাবে মাত্র একটা প্রশ্নের পরেই বিরতি পড়ে যায়। কিন্তু আমি পোডিয়ামের কাছে গিয়ে ওনাকে বললাম যে, আমার কিছু কমেন্ট আছে....। আমি বললাম, আপনি নিশ্চয় জানেন যে বাংলাদেশ এখন খাদ্যে (ধান) স্বয়ংসূম্পৃর্ন, এমনকি টোকেন হিসাবে কিছু খাদ্য রফতানিও করেছে...। আপনি হয়ত অনেক আগের ছবি দেখিয়েছেন, তা কিন্তু সব কৃষককে রিপ্রেজেন্ট করে না। কিন্তু উনি বার বার মংগার কথা বলতে লাগলেন......এবং খরা প্রতিরোধে সক্ষম (বায়োটেক) ধান উৎপাদন করার উপর জোর দেন। কিন্তু তখন আমি বললাম যে গত কয়েক বছর ধরে কৃষকের ধানের উ্ৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে সেটা কিন্তু প্রায় একই ধানের চারা ইউজ করেই বেড়েছে, যেটা বেড়েছে সেটা হল যে উৎপাদনে যে ইনইফিসিয়েন্সি ছিল (বিদ্যু, সেচ, সার, পরিবহন ইত্যাদি) তা দুর করাতে আজ কৃষক দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসূম্পৃর্ন করেছে.... আপনার প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী বায়োটেক ধান দ্বারা উৎপাদন বাড়ানো যায় সেটা আমিও বিশ্বাস করি কিন্তু সেটা কার্যকর করার আগেই আমাদের কৃষকরা আমাদের দেশের সবার মুখে খাওয়া তুলে দিতে পারছে।
উনারা আমাদের দৈন্য দশা দেখিয়ে যুগ যুগ ধরে সেমিনার সিম্পোজিয়ামে কথা বলে যান কিভাবে আমাদের কে বাচাবেন কিন্তু সবারই নিজস্ব একটা এজেন্ডা থেকেই কথা বলেন .. কিন্তু আসলেই কি দরকার তা বুঝতে চান না..................।