somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিভিন্ন হারবাল প্রতিষ্ঠানের অশ্লীল পোস্টারে ছেয়ে গেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা ও উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থান

২১ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১২:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিভিন্ন হারবাল প্রতিষ্ঠানের অশ্লীল পোস্টারে ছেয়ে গেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা ও উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থান। এসব পোস্টারের কারণে পরিবার-পরিজন নিয়ে বাড়ির বাইরে বের হয়ে অনেকেই বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকাসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বেশ কিছুদিন ধরে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা কথিত হারবাল প্রতিষ্ঠান জমজমাট ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকাতেই অন্তত এক ডজন হারবাল প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান শহরের বিভিন্ন স্থানে দোকান ভাড়া নিয়ে বিশাল আকারের সাইনবোর্ড টাঙিয়ে এত দিন ব্যবসা করে এলেও সম্প্রতি পোস্টার সাঁটানোর প্রতিযোগিতায় নেমেছে। তারা অফিস-আদালত, ঘরবাড়ি, এমনকি স্কুল-কলেজের দেয়াল ও গেটে এসব পোস্টার সাঁটিয়ে চলছে। এসব পোস্টারে যৌন রোগ ও সেক্স নিয়ে অশ্লীল বাক্য লেখা রয়েছে। চুয়াডাঙ্গার স্থানীয় কারবারি ছাড়াও যশোর, খুলনা, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন হারবাল প্রতিষ্ঠানের পক্ষে প্রচুর পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। এমনকি আঞ্চলিক পত্রিকাতেও বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা শহরের বাসিন্দা হাশেম আলী জানান, অশ্লীল পোস্টারের কারণে নিজের সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ির বাইরে বের হতে ইতস্তত করতে হয়। গৃহবধূ নুরুন্নাহার বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে সবেমাত্র বানান করে পড়তে শিখেছে। হারবাল কোম্পানির রঙিন পোস্টার দেখে সে-ও বানান করে পড়ে জানতে চায় এসব কিসের পোস্টার।’
শহরের দৌলতদিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকার ভেষজ ইউনানি চিকিৎসালয়ের হাকিম আবুল বাশার বলেন, ‘আমরা সহজ ভাষায় মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করি। পরবর্তী সময়ে এ ব্যাপারে শালীনতা বজায় রাখার চেষ্টা করব।’
জেলার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন কামরুল হুদা বলেন, ‘হারবাল কোম্পানির পোস্টার নিয়ে আমি নিজেও মাঝেমধ্যে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ি। এসব কোম্পানির কারবার যথাযথ হচ্ছে কি না, তা দেখার জন্য আলাদা দপ্তর আছে। ওই দপ্তর কেন্দ্রীয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে থাকে। তবে আমি চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চপর্যায়ে কথা বলব।’
সত্যি কথা বলতে কি শুধু চুয়াডাংগাতেই নয় প্রায় সারাদেশে এরকম পোস্টার দেখা যায়। যা দেখে অনেককে বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়। আসলে এইরকম প্রতিষ্ঠানগুলো মানুষকে ইমোশনাল ব্লাকমেইল করছে।
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×