আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কাকে বলে তা গতকাল টের পেলাম। গতকাল (১২/০৩/২০১৩) হরতালের কারনে আমার হাতে অখন্ড অবসর। তাই চলে গেলাম বাংলা একাডেমীতে কিছু রেফারেন্স বুকের জন্য। বই পাওয়াতো দূরের কথা; আমাকে গলদঘর্ম হতে হলো এ জন থেকে এজন ...এ টেবিল থেকে ও টেবিল। এ গ্রন্থগার সর্বসাধারনের জন্য উন্মুক্ত নয়, এটা শুধুমাত্র বাংলা একাডমীর সদস্য, গবেষক, রিচার্স ফেলোদের ব্যবহারের জন্য। আমি দৌড়াচ্ছি..কেউ একজন বললেন-গ্রন্থগারিক বরাবর একটা আবেদন করুন, আমি করলাম কিন্তু তিনি সেটা নিলেন না। বললেন-আমরা বাইরের কাউকে এই সুবিধাটা দিতে পারছিনা, ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষ অনুমতি দিলে সেটা সম্ভব।
এদিকে সারাদিনের বাজেট থেকে দু'ঘন্টা সময় চলে গেল। কি করা যায়।
আমি বেপরোয়া, এছাড়া আমার কোন উপায়ও নেই। আমাকে এই বইগুলো পেতেই হবে। কারন যে বই গুলো আমার প্রয়োজন তা বাজারে নেই, এমনকি যিনি বই লিখেছিলেন তার পরিবারের কারো কাছে নেই।
বই না পেলে আমার লেখার এখানেই যবনিকা টানতে হবে, যা কিনা গত দু'বছর আমাকে ভাবিয়ে তুলেছে। আমার নিবন্ধের ৪০ শতাংশ শেষ করেছি, আর হয়তো লেখাই হবেনা। সেই কষ্ঠ আমাকে দারুনভাবে তাড়া করতে লাগল।
অবশেষে বই পেলাম। প্রধান গ্রন্থগারিক এসে আমাকে জিলাপীর প্যাচ থেকে উদ্ধার করলেন। তার কাছে আমি কৃতজ্ঞ।
হাসান ইকবাল
১৩ মার্চ ২০১৩, ঢাকা
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৩৬