কিন্তু কিছুদিন ধরে আর বাইরে রাতে বের হইনা। কারন কালো কাপড় পরা সিনেমার হিরোগুলা (বাস্তবে কুকুরের ছানা) যা শুরু করেছে তাতে আর লাইফ রিস্ক নিয়ে রাতের নিরবতা উপভোগের কোনো ইচ্ছা থাকেনা। কেউ হয়তো একটু ভুল বুঝতে পারেন কেনো এই হিরোদের কুকুরের সাথে তুলনা করলাম? আসলে আমারই ভুল হয়েছে এদের কুকুরের সাথে তুলনা করা চলে না। কুকুর অনেক প্রভুভক্ত একটি প্রাণি, এরা সাধারনত প্রভুর বাড়ি পাহারা দেয়। কোনো চোর বা অপরিচিত কাউকে দেখলে চিৎকার করে সবাইকে জানিয়ে দেয়। কিন্তু এই হিরোর বাচ্চারাতো তা করেনা। বরং সব রাঘব বোয়ালদের রেখে সাধারন মানুষের উপর হিরোগিরি দেখায়। বর বর সন্ত্রাসীদের থেকে মাসোহারা নিয়ে তাদের বানাচ্ছে সাধারন, আর সাধারন মানুষকে বানায় ১০-১৫ টি মামলার আসামী।
তবে আমাদের দেশের জন্য তাদের অবদান আমি কখনই অস্বীকার করবো না। একটি ভয়ানক অবস্থা থেকে দেশকে ভালো পরিস্থিতিতে তারা এনেছেন। তাই বলে তো এমন হতে পারেনা যে তার প্রতিদান স্বরুপ তারা দেশটাকে মাথায় তুলে নিবেন। তারাই হবেন বিচারপতি, আবার তারাই হবেন জল্লাদ। তাদের কোনো অধিকার নেই লিমনের স্বাভাবিকভাবে বেচে থাকার ইচ্ছাকে গলাটিপে হত্যা করার, তাদের কোনো অধিকার নেই মেধাবী ছাত্র শুভকে হত্যা করা বা তার ভাইকে গুলিবিদ্ধ করার। শুভ কিংবা লিমন নয় এমন আরো অনেকনাম হয়তো আমরা ভবিষ্যতে জানতে পারবো যারা কোনো দোষনা করেও পাবে অপরাধীর সাজা শুধু মাত্র এই এলিট ফোর্সের কারনে। হয়তো খবরের কাগজও পাবে পাতা ভরানোর মত মুখরোচক আইটেম।
কিন্তু আমি কোনো নিউজ আইটেম হতে চাইনা। চাইনা Talk of the Country হতে। কারন আমি নিজেকে বা আমার পরিবারকে সমাজ বা দেশের কাছে ছোট করতে চাইনা। চাইনা কোনো নতুন বিতর্কের জন্ম দিতে। তাইতো এখন রাতে বের হইনা। কারন হিরোরা যে ওৎ পেতে আছে আমাদের মত ভিলেনদের সায়েস্তা করতে। কারন এই দেশে নিষ্পাপ থাকাও যে অনেক বড় পাপ।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুন, ২০১১ ভোর ৫:০৬