গত কদিন ধরেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়য়ের শিক্ষিকার উপর নির্যাতনের পক্ষে বিপক্ষে অনেক কথাই চলছে। এরি সুর ধরে আমাদের সমাজের নৈতিকতা, মূল্যবোধ, নারীর প্রতি সম্মান আরও অনেক কিছুই চলে আসছে।
আমার বেড়ে ওঠা এই ঢাকা শহরে। এখন গ্রেজুয়াশন করছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই।আমার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার এই দীর্ঘ সময়ে আমি নিজেকে আলাদা ভাবে চিনেছি এই বিশ্ববিদ্যালয়েই। আমি একজন মেয়ে! এই কঠিন সত্যতা মেয়েদের স্কুলে পড়েছি বলেই হয়ত খুব একটা বুঝিনি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার 'বড় ভাই' এমন কি অ্নেক সহপাঠীর আচরণেও আমি বুঝেছি আমি মেয়ে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকা মাত্র একটা মেয়ে বুঝতে পারে তাকে নিয়ে এখন বিস্তর গবেষণা চলছে। কোথা থেকে এলো থেকে শুরু করে রাতে ভাত কি দিয়ে খায় পর্যন্ত সবই আলোচনার বিষয়।এটা যে সরাসরি একজনের বেক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ তা যেনও কেউই বঝেনা।অথচ এরা কিন্ত সবাই সর্বচ্চো শিক্ষায় শিক্ষিত হতে এসেছে। এদের অনেকেরই হয়ত ভালবাসার মানুষ আছে! কিন্তু তাতে কি! যে আছে সে তো আছেই, সে তো থাকবেই! তাই বলে নতুন কাউকে দেখা যাবেনা এমন কি কোথাও বলা আছে! কাম্পাসে একটা মুখ থাকতে হবে না, নতুনদের সাথে খাতির না হলে কাম্পাসে যে ভাবই জমে না! শুধু ছেলেদের কথাইবা বলছি কেন! আমরা কত মেয়েও আছি আমাদের প্রিয় 'ভাই' বা 'বন্ধু'টির জন্য ম্যাচ মেকারের ভুমিকায় অবতীর্ণ হতে। যে বিষয় এক্ সময় আমারই অসহ্য লাগত কি অবলিলায় এখন আমিই সেই কাজ করে যাই! আমি নিজেই তো এখন ভুলে গেছি কি অসহ্য যন্ত্রনাবধ নিয়ে বাড়ি ফিরে মন খারাপ করে বসে থাকতাম।
আর এভাবেই বুঝি প্রতিটি মেয়েকে এক সময় বুঝতে হয়, সে মানুষ হলেও আসলে একজন মেয়ে!
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুন, ২০১১ রাত ১২:২৪