somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

 বিজ্ঞানের জন্য ভালোবাসা

১৫ ই জুন, ২০১১ দুপুর ১২:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শনিবার হয়ে আরেক শনিবার এসে যায়। ওই একটি নির্দিষ্ট দিনেই দেশের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে হাজির হয় ‘বিজ্ঞানের জন্য ভালোবাসা’র দল। দিনটি স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষার্থীদের বেশ
আনন্দে কাটে। বিজ্ঞানের এই আনন্দযজ্ঞে এসে তাঁদেরও উৎসাহের শেষ নেই। ‘বিজ্ঞানের জন্য ভালোবাসা’ প্রকল্পে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে জড়িত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।তখন বিজ্ঞানের জন্য তাদের আলাদা টান আর ভালোবাসা তৈরি হবে।
লেখাপড়ার পাশাপাশি গণিতচর্চা, পাঠাভ্যাস বাড়ানো ও দেশপ্রেমে শিক্ষার্থীদের তৈরি করতে তাঁর দিন-রাত ভাবনাচিন্তা। এবার খুদে শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে বিজ্ঞানপাঠ দিতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিদ্যালয়গুলোয়। সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাশ্রমে পরিচালিত ‘বিজ্ঞানের জন্য ভালোবাসা’ নামের এই প্রকল্পের আওতায় সাহায্যকারী হিসেবে বেশ কয়েকজন শিক্ষকের পাশাপাশি রয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে অধ্যয়নরত অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী।
প্রতি শনিবার পর্যায়ক্রমে ‘মোবাইল হ্যান্ডস অন সায়েন্স এক্সিবিশন ফর স্কুল’ নামের হাতে-কলমে বিজ্ঞান শেখার এ কর্মসূচি বিভিন্ন বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে।

বিজ্ঞান যে একেবারেই মজার একটা বিষয়, সেটা খুদে শিক্ষার্থীদের জানিয়ে দেওয়ার সুযোগ পেয়েছি। শিশুরাও উৎসাহের সঙ্গে বিজ্ঞান নিয়ে নিজেদের মতো করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। বিদ্যালয়ের আঙিনাজুড়ে থাকে খুদে বিজ্ঞানীদের দাপট। সত্যি এটা আমার জন্য দারুণ এক অভিজ্ঞতা।’
সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত একনাগাড়ে চলে বিজ্ঞান শেখার নানা আয়োজন। অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা নিজ উদ্যোগে অনেকটা উৎসবমুখরতায় সব কটি পর্বে অংশ নেয়। বিজ্ঞানের কৌণিক ভরবেগ, ঘূর্ণনের গতিবেগ, মাধ্যাকর্ষণের ভরকেন্দ্র, ওজোন বস্তু, মানবদেহের অস্থি সংযোজনসহ ২৫ রকমের ‘হাতে-কলমে বিজ্ঞান’ শিক্ষা দেখে দেখে শেখা হয় শিক্ষার্থীদের। এর মধ্যে কোনো কিছু সম্পর্কে প্রশ্ন থাকলে শিক্ষার্থীদের তাৎক্ষণিকভাবে যন্ত্রপাতির উপস্থাপনের মাধ্যমে জবাব দেওয়া হয়। হাতে-কলমে বিজ্ঞান শেখার শেষ পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের পুরস্কৃত করা হয়। পুরস্কার হিসেবে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় বিজ্ঞান ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন বই।
একসময় দিন গড়িয়ে বিকেল নেমে আসে। তিরতির করে নীরবে বাতাস বয়ে যায়। সূর্য লাল আভা ছড়িয়ে পশ্চিমে ঢলে পড়ে। স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা গন্তব্যে ফিরতে নির্দিষ্ট গাড়িতে উঠে বসেন। এরপর শুরু হয় পরের শনিবারের জন্য অপেক্ষা। আর ওই দলের সদস্যরা স্বপ্ন দেখেন, এভাবেই একসময় বিজ্ঞানের আলোয় ভরে যাবে সব কটি বিদ্যালয়, এমনকি পুরো বাংলাদেশ।আনন্দে কাটে। বিজ্ঞানের এই আনন্দযজ্ঞে এসে তাঁদেরও উৎসাহের শেষ নেই। বিজ্ঞানের জন্য তাদের আলাদা টান আর ভালোবাসা তৈরি হবে।

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের উদ্যোগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘শিক্ষাদান মান উন্নয়নবিষয়ক’ এক প্রকল্পের আওতায় দেশের ৫০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হাতে-কলমে বিজ্ঞান শেখাতে বিজ্ঞানের জন্য ভালোবাসা কর্মসূচি শুরু হয়েছে। মুহম্মদ জাফর ইকবালের নেতৃত্বে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় গত ১৬ এপ্রিল প্রথম পর্যায়ে সিলেটের গোলাপগঞ্জের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এ কর্মসূচির সূচনা করা হয়েছিল। প্রতি শনিবার পর্যায়ক্রমে ‘মোবাইল হ্যান্ডস অন সায়েন্স এক্সিবিশন ফর স্কুল’ নামের হাতে-কলমে বিজ্ঞান শেখার এ কর্মসূচি বিভিন্ন বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে।
স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে নিয়োজিত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী কানিজ ফাতিমা বলেন, ‘বিজ্ঞানবিষয়ক ছোট ছোট মজাদার উপকরণ নিয়েই আমাদের পুরো প্রক্রিয়াটি সাজানো হয়েছে। আমরা বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিজ্ঞানের জন্য প্রচুর আগ্রহ দেখেছি। এভাবে সারা দেশে প্রক্রিয়াটি ছড়িয়ে দেওয়ার পর একসময় খুদে বিজ্ঞানীদের একটি দল তৈরি হয়ে যাবে—যা হবে খুবই আনন্দের।’
সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত একনাগাড়ে চলে বিজ্ঞান শেখার নানা আয়োজন। অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা নিজ উদ্যোগে অনেকটা উৎসবমুখরতায় সব কটি পর্বে অংশ নেয়। বিজ্ঞানের কৌণিক ভরবেগ, ঘূর্ণনের গতিবেগ, মাধ্যাকর্ষণের ভরকেন্দ্র, ওজোন বস্তু, মানবদেহের অস্থি সংযোজনসহ ২৫ রকমের ‘হাতে-কলমে বিজ্ঞান’ শিক্ষা দেখে দেখে শেখা হয় শিক্ষার্থীদের। এর মধ্যে কোনো কিছু সম্পর্কে প্রশ্ন থাকলে শিক্ষার্থীদের তাৎক্ষণিকভাবে যন্ত্রপাতির উপস্থাপনের মাধ্যমে জবাব দেওয়া হয়। হাতে-কলমে বিজ্ঞান শেখার শেষ পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের পুরস্কৃত করা হয়। পুরস্কার হিসেবে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় বিজ্ঞান ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন বই।
দেখে দেখে বিজ্ঞান শেখার এমন আয়োজন সম্পর্কে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার মালিক-নাহার মেমোরিয়াল একাডেমি অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী নাহিদা আক্তারের একধরনের আক্ষেপ গত ১৫ মে প্রথম আলোয় ছাপা হয়েছিল। ওই শিক্ষার্থীর ভাষ্য ছিল, ‘এত দিন এগুলো (বিজ্ঞানের যন্ত্রপাতি) শুধু বইয়ের পাতায় দেখছি, আর পড়ছি। প্রতিদিন যদি এভাবে দেখে দেখে শেখা হতো, তাহলে বিজ্ঞানকে আরও সহজে জয় করতে পারতাম!’ এ প্রসঙ্গে স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষার্থী গৌতম দেব বলেন, ‘আমরা চাই নাহিদার মতো দেশের বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞানের যন্ত্রপাতি নিয়ে হাতে-কলমে বিজ্ঞান শিখুক। আর এই বোধটুকু শিক্ষার্থীদের মধ্যে জাগ্রত হচ্ছে—সেটাই বা কম কিসের?’
কী করে যে সময় চলে যায়। একসময় দিন গড়িয়ে বিকেল নেমে আসে। তিরতির করে নীরবে বাতাস বয়ে যায়। সূর্য লাল আভা ছড়িয়ে পশ্চিমে ঢলে পড়ে। স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা গন্তব্যে ফিরতে নির্দিষ্ট গাড়িতে উঠে বসেন। এরপর শুরু হয় পরের শনিবারের জন্য অপেক্ষা। আর ওই দলের সদস্যরা স্বপ্ন দেখেন, এভাবেই একসময় বিজ্ঞানের আলোয় ভরে যাবে সব কটি বিদ্যালয়, এমনকি পুরো বাংলাদেশ।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডেল্টা ফ্লাইট - নিউ ইয়র্ক টু ডেট্রয়ট

লিখেছেন ঢাকার লোক, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:২৬

আজই শ্রদ্ধেয় খাইরুল আহসান ভাইয়ের "নিউ ইয়র্কের পথে" পড়তে পড়তে তেমনি এক বিমান যাত্রার কথা মনে পড়লো। সে প্রায় বছর দশ বার আগের ঘটনা। নিউ ইয়র্ক থেকে ডেট্রিয়ট যাবো,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ল অব অ্যাট্রাকশন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫

জ্যাক ক্যান ফিল্ডের ঘটনা দিয়ে লেখাটা শুরু করছি। জ্যাক ক্যানফিল্ড একজন আমেরিকান লেখক ও মোটিভেশনাল স্পিকার। জীবনের প্রথম দিকে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। আয় রোজগার ছিলনা। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ ছিলনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

চরফ্যাশন

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫৯



নয়নে তোমারি কিছু দেখিবার চায়,
চলে আসো ভাই এই ঠিকানায়।
ফুলে ফুলে মাঠ সবুজ শ্যামলে বন
চারদিকে নদী আর চরের জীবন।

প্রকৃতির খেলা ফসলের মেলা ভারে
মুগ্ধ হয়েই তুমি ভুলিবে না তারে,
নীল আকাশের প্রজাতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কর কাজ নাহি লাজ

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪


রাফসান দা ছোট ভাই
ছোট সে আর নাই
গাড়ি বাড়ি কিনে সে হয়ে গেছে ধন্য
অনন্য, সে এখন অনন্য।

হিংসেয় পুড়ে কার?
পুড়েপুড়ে ছারখার
কেন পুড়ে গা জুড়ে
পুড়ে কী জন্য?

নেমে পড় সাধনায়
মিছে মর... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×