প্রায়শই আলোছায়া কেঁপে যায়
কবিতার পারাপারে যেতে যেতে থামি
আর দেখি,সুর যার নেই সেও স্নানঘরে ঢুকে গান গায়।
প্রাক-পুরাণিক যাযাবরী দিনের মতন শব্দেরা আঁতুড় ঘরে
খাবি খায়,যেন জলস্বরে জলফুল নড়ে
শোনা যায় ঢেউ-ভাঙ্গা স্টিমারের ভোঁ, অঙ্কুরোদগমের
মতো কিছু শব্দ মাথা তোলে, কবিতা দূরের।
অধরা শব্দেরা তবু ডানাভাঙ্গা গাঙচিল হয়ে
নেমে আসে মননের তীব্র হাওয়ার ভেতর
মনে হয় ওই তো হেমন্ত,নিকানো উঠানের গন্ধ
সম্ভাষের বিধিলিপি পানিউড়ি পাখিদের স্বর।
কবিতা কখনো তবু বড়বেশী লুকোচুরি খেলে
উপমা,উৎপ্রেক্ষা সব জলে ডুব দেয়
ভূলুণ্ঠিত পাতার মতন দোলে
উঁকিঝুকি দেওয়া কোনো প্রেমিকার ছলে।