হিয়াল শব্দটি এসেছে শিয়াল থেকে।
অফিসে আমার বস আজ গল্পটা বললেন। বসকে আমি দুই চোখে দেখতে পারি না। কিন্তু তিনি আমাকে অত্যন্ত স্নেহ করেন। জোর করে বসিয়ে গল্পগুজব করেন। তার বেশিরভাগ গল্পই অখাদ্য, শুনতে ইচ্ছা করে না। গল্পশোনার বিনিময়ে তিনি চা নাস্তা খাওয়ান। তবে আজকের গল্পটা ভাল লেগেছে। অনেকে গল্পটা শুনে থাকতে পারেন। শুনলে শুনছেন কি করা যাবে।
‘এক ব্যাডা বাজাইরদা ব্যামালা সদায় পাতি কিন্না বাড়তে যাইতে আছে। যাইতে যাইতে পোতের মইদ্দে এক জাগায় পাতিহিয়ালের গুর উপড়ে স্লিপকাটছে । গুর উপড়ে পইর্যা বাজারের পোটলা পুটলি লইয়া খাইছে পাছাড়। পাছাড় পোছার খাইয়া যদ্দুর পাড়ছে সদায় পাতি টোহাইয়া বাড়তে গেছে। সবতো আর নেতারে নাই, গুর উপড়েরতা বাতছাত দিয়া যদ্দুর পাড়ছে নেছে।
ওই পোত দিয়ে আরেক ব্যাডাও বাজার লইয়া যাইতে আছে। দেহে একজাগায় গুর উপড়ে চাউল, ডাউল, পেইজ, রোসোন কেডা জানি রাইক্কা গেছে। তখন হে চিন্তা করলো কি, এইহানে মনে হয় মানষে মানদটানদ করে। হেও হের সদায়দিয়া কিছু চাউল, তরি-তরকারি থুইয়া গেছে।
দুই তিন দিন পর, হেই পাছাড় খাওয়া ব্যাডা ওই রাস্তাইদ্দা আবার যাইতে আছে, দ্যাহে হিয়ালের গুর চারপাশে মানষে নানারকম তরিতরকারি, খাওনের জিনিসপত্র দিয়া ভইর্যা ফালাইছে। তখন হে ওইখানে শালু কাফুড় টানাইয়া একটা মাজার বানাইলো। হেই জাগার নাম হইয়া গেলো, হিয়াল শাহ মাজার।’
‘এটা কোন জায়গার ঘটনা স্যার?’
‘এইডা কোনো জায়গার ঘটনা না। এইডাতো গল্প, গল্প। চা খাবা?’
আমি মাথা নাড়ালাম।