চোখ বুঝলেই শুরু হয়ে যায়
সময়ের পরিভ্রমন
মুহূর্তে সময় পেরিয়ে চলে যাই
বেশ কিছু বছর পিছনে,
এ যেন এক ও অজস্রবার
শৈশবের স্মৃতিচারন
যেসব কিশলয় স্মৃতি নিজের
অজান্তেই লুকিয়ে ছিল মনে।
দেখতে পাই দোলনায় দোল
খেতে থাকা কিশোরীটিকে
যে অবাক বিস্ময়ে দেখছিল
শীতের সূচনায় পাতার বৃষ্টি,
অথবা সাদা কালো কবুতরটি-যে
ঘরে ফিরতো কিশোরীর ডাকে
অসুস্থ কিশোরীর ঘরের জানালায়
দেখা যেত যার নিষ্পলক সৃষ্টি।
অথবা সেই কিশোরটিকে- যাকে ঘিরেই
কিশোরীর যত পাগলামী
কিশোরের নিষ্পাপ বন্ধুত্ব আর
দুজনের শত দুরন্ত কোলাহল,
বন্ধুতায় মিশে যেত তাদের
খুনসুটি আর অজস্র দুষ্টুমী
কিশোরীর হঠাত্ দূরে চলে যাওয়া
আর কিশোরের চোখে বর্ষার ঢল।
ফিরে যাই আরো অতীতে, প্রানবন্ত
কিশোরীর খুব কাছে
ঝড়ো হাওয়া অথবা প্রচন্ড
বর্ষায় যে ছুটে যেত বাইরে,
কিশোরটি এসে দেখতো সে
দু'হাত মেলে দাড়িয়ে আছে
অথবা ঘাসে মাথা রেখে নক্ষত্র
দেখে হারিয়ে যাওয়া দূরে।
আজ কিশোরী অনেক পরিণত,
ব্যস্ততা তার পায়ে পায়ে ছোটে
এখনো সে সাজতে ভালোবাসে..
ভালোবাসার মানুষ ছাড়াই ঘোরে
চপলতার স্বভাব এখন নেই,
নীরবতার মাঝেই সময় কাটে
তারপরো সে রাতের তারা খোঁজে,
ঘুমভাঙ্গা আকাশ দেখে ভোরে॥