ম্যাডাম বাইরে যাওয়ার পর হঠাৎ একদিন ফেসবুক এ পাই।সাহস করে একটা ম্যাসেজ ও পাঠাই।আমাকে খুব অবাক করে দিয়ে ম্যাডাম অল্প কিছু ক্ষণের মাঝেই রেপ্লাই দেন।দেখলাম আমাকে বেশ মনে আছে......। একবার আমাকে পরীক্ষার হল এ বললেন তুমিতো খাতায় ভাল লিখ,মনযোগ দিয়ে পড়াশোনা কর না কেন?এমনি আরও কত টুকরো টুকরো সৃতি । শুধু আমার সাথে না ।হয়ত আমাদের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সবার সাথেই ম্যাডাম এর এমন সৃতি রয়েছে।
ম্যাডামকে প্রথম দেখেই আমার যা মনে হয়ে ছিল যে উনি আদর্শ মা।চোখে মুখে কেমন যেন মায়া আর মা মা ভাব।সবাইকেই নিজের সন্তানের মত যত্ন করতেন যেটা ইউনিভার্সিটিতে খুব কমে দেখা যায়।অনেকেই হয়ত ভাববেন একটা খুব বাজে দুর্ঘটনা ঘটেছে তাই হয়ত এইসব লিখছি।কিন্তু শপথ করে বলতে পারি।ঢাবি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রতিটা স্টুডেন্টই একি কথা বলবে।স্বামী(হাসান সাইদ) দ্বারা নির্যাতিত হয়েছেন ৫ ই জুন।আর সবাই ব্যাপারটা জানতে পারল মাত্র গতকাল।অবাক হবার মত ব্যাপার...।
ল্যাব এইড হসপিটাল এ আছেন নাকি উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে গেছেন জানি না?শুনেছি উনার চোখ নাকি উপড়ে ফেলছে পিশাচ স্বামী ।সেই চোখে আলো ফিরে পাবে নাকি সেটাও জানি না।খুব ভয় হয় যদি ম্যাডাম আর চোখে না দেখতে পায় ,কে আমাদের দিকে মাতৃ স্নেহ নিয়ে তাকাবে?
ম্যাডাম এর ছোট্ট একটা মেয়ে আছে।আনুশেহ!.........।।ফুটফুটে পরীর মত......। ও কেমন আছে কে জানে?
কিছু কিছু ব্যপার খুব বাজে ভাবে মনে দাগ কাটে.........।আমার কাছে কেন যেন মনে হচ্ছে মানুষ কে আমি আগের মত সম্মান দিতে পারব না?কারো দিকে মায়া ভরা দৃষ্টি নিয়ে তাকাতেও পারব না......।সবাইকেই হাসান সাইদ মনে হবে...।।
বাইরে ভোরের আলো ফুটছে......।কিন্তু আমার কাছে দুনিয়াটা খুব কালো মনে হচ্ছে... । আর মানবজাতিকে মনে হচ্ছে পিশাচ......।।