অফিস থেকে ফিরে অনলাইনে পত্রিকা পড়ি প্রতিদিন। সেদিন ও বস্লাম। প্রথম আলোর হেডিং পড়ে মন্টা খারাপ হয়ে গেলো। "বাঁশ ও বালুতে মেঘনা ভরাট"। খবরটা পড়লাম, মন খারাপ করলাম। খবরের শেষে একটা ততোধিক মন খারাপ করা মন্তব্য লিখে রুটিন ব্লগে ঘুরাঘুরি, ফেসবুকে টোকা, গুগল টকে কারা আছে দেখছি।
কিছুক্ষণ পর আবার প্রথম আলোর ওয়েবে ঢুকে দেখি হেডিং হচ্ছে "মেঘ্না ভরাট বন্ধ"। ভুরু কুঁচকে ভাবার চেষ্টা করলাম কোথাও কোন ভুল করলাম কিনা! আগের খবরটা খোঁজা শুরু করলাম। নাহ, আগের খবরটা আছে, আমার মন খারাপ করা মন্তব্যটাও আছে লেখার শেষে। পুরো লেখাটা পড়ার পর বুঝতে পারলাম, ওইদিনের প্রিন্টেড ভারশনের লেখা দেখে জেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর এবং স্থানীয় আইন প্রয়োগকারি সংস্থার উদ্যোগে এত বড় একটা অন্যায়কে রুদ্ধ করা হয়েছে। আর আজকে নাগাদ তো আমরা সবাই পুরো ঘটনাই জানি। মেরিটিমাস কে খুঁজছে এখন প্রশাসন।
পৃথিবির বহুদেশে সংবাদপত্র হচ্ছে জনগনের মুখপত্র। দলীয় মুখপত্র ও আছে এবং সেটায় তারা এক্সপোজড, কোন ক্যামোফ্লেজের তোয়াক্কা না করেই। জনমত গঠন, বিভিন্ন জরিপ চালিয়ে জনতার পালস ক্ষমতাসীন্দের কানে পৌঁছে দেওয়া প্রভৃতি কাজে সংবাদ পত্রই প্রধান ভূমিকা পালন করে বলে জানি। শুধু আমাদের দেশে পত্রিকার মালিক হয় বিভিন্ন শ্রেনীর চোরেরা। কেঊ ভুমিদস্যু "অপবাদ" ঘোছাতে, কেউ ম্যাডাম বা আপার তল্পির বাহক হতে পত্রিকা বের করে। সম্প্রতি "সত্যকে চাপা দেয়া যায়না" থিম নিয়ে বের হয়েছে আরেকটা পত্রিকা। যারা নিজেরাই আস্ত হাইওয়ে বন্ধ করে দিয়ে বানিয়ে ছিলো আকাশ্চুম্বি ভবন। সত্যকে যে চাপা দেয়া যায়না সেটা ওদের চাইতে ভালো আর কে জানে বলুন!
এক লিমনকে নিয়ে র্যাবকে টলমল করে দেয়া প্রথম আলোর সর্বশেষ দায়িত্বশীল সংবাদ হচ্ছে এই মেঘনা দখলের উপর করা প্রতিবেদন। কৃতজ্ঞতা জানাই মিডিয়া মুঘলকে।