সারাদিন ত-ব করে কাটালাম বলা যায়। ঘুম থেকে উঠেছি সাড়ে ৯টায়। বাসা থেকে বেরোইনি। পান্তা ভাত খেলাম। টিভি দেখলাম। হিন্দি, বাংলা, ইংরেজি সব। দুই ঘণ্টা টিভি দেখলে নাকি মানুষ বোকা হয়ে যায়। আমিও বোকা হলাম। ছাড়াছিটাভাবে পেটার বিকসেলের গল্প পড়লাম। বারান্দায় বসে একটুক্ষণ দীপেন্দ্রনাথ পড়লাম। বিকালে দশ-পনের মিনিট ঘুমিয়ে উঠে মনে হলো জীবনের কোনো অর্থ নেই। মুখ ধুয়ে এসে এঘর-ওঘর করলাম। ডিসি হিলের গাছের উপরে আকাশের দিকে উড়ে যাওয়া কাক দেখলাম। জীবন কাকের ডাকের মতো চলে যায়। কোথায় যায়? এই প্রশ্ন না করে আগুনের মতো অস্থির হচ্ছিলাম। একটু আগে টিভিতে দেখা নরকের মতো অনেক আগুন।
টিভি থেকে চোখ ফিরিয়ে বাইরে তাকালাম। সন্ধ্যা এসে একেবারে বারান্দা-গোড়ায় দাঁড়িয়েছে। তার গায়ে অসাধারণ এক আলো। এই ভালো। অসম্ভব উজ্জ্বল। স্বপ্নের নারীর মতো উজ্জ্বল। উদ্ভাসিত হলাম আমি। সারাটা দিন অকর্মণ্য, ফালতু, ভ্যাপসা দিন ছিল। আমার গা থেকে, মন থেকে ঝরে ঝরে পড়ে মুছে গেল ভ্যাপসা দিন। আমি আকাশ, গাছ ও মানুষের মধ্যে সেই রং দেখলাম আর সেই রঙে রঙিন হলাম। একটু পর সেই রং পশ্চিমাকাশে বেড়াতে এল। গোধূলীর মতো অবাধ রং। এই রঙে জীবনের বিচিত্র রূপ উপলব্ধি করলাম।
সন্ধ্যা এসে নিভিয়ে দিল আমার আগুন। আমি এখন বের হব। কোথায় যাব তা জানি না। চাকরিতে যেতে পারি, প্রেমিকার কাছেও যেতে পারি। আসলে আমার কোনো প্রেমিকা নেই। লিখতে বসেই কেন যেন এ রকম ভাবতে ভালো লাগল। প্রেমিকার সাথে সন্ধ্যাগুলো কেমন হয়?
৬ জুন, ২০১১