“আমার একুশ আজ বিশ্বের একুশ”
একুশের ভাষা
চেয়ে দেখ সবাই
শহীদের রক্তে জম্ম নিয়েছিল একটি গাছ
তা আজ আমাদের দিচেছ ফুল আর ফল
তাইতো আমার একুশ আজ বিশ্বের সবার।
বাহান্নের ২১ শে ফেব্র“য়ারী থেকে
চিৎকার ভেসে আসে
“আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারী
আমরা কি ভুলিতে পারি?”
যায় না ভুলা মায়ের ভাষা
শোধ হয় না বাবার দোয়া
কেড়ে নেয়া যায় না মুখের ভাষা
এ কি জানতো না ওরা?
ওরা মনে করেছিল ইচ্ছা করলেই
স্তব্ধ করে দেয়া যাবে আমাদের মুখের কথা।
ওরা পাড়ে নাই ওরা পাড়বে না
আমরা পেড়েছি আমরা পাড়বো।
আমরা ভয় পাই না রক্ত জড়াতে
৫২, ৭১ এ রক্ত জড়িয়ে
ছিনিয়ে এনেছি “স্বাধীনতার সূর্য”।
বাহান্নের ২১ শে ফেব্র“য়ারী থেকে
চিৎকার ভেসে আসে
বাংলায় ‘বল মুক্তভাবে, লেখ মুক্ত হস্তে’ এই রব।
যখন-
মায়ের কোলের ছোট্র শিশুটি কেঁদে
জানায় ক্ষুদার কথা,
বাবার কোলের ছোট্র শিশুটি বায়না ধরে
বাবা এটা-ওটা দাও,
তখন-- তড়িঘড়ি
মা তার স্তনের সমস্ত দুধ নিংগ্রে সন্তানের মুখে ঢালে
বাবা তার সাধ্যমত যা পারে সন্তানের কাছে আনে।
কত বড় শক্তি আমার মায়ের ভাষার!
ভাবতে অবাক লাগে
সেই ভাষাকে কোন পাষন্ড, বর্বরেরা স্তব্ধ করে দিতে চেয়েছিল?
তারা মনে হয় জানতো না
যখন পানিতে পড়ে সাঁতার না জানা কোন ব্যক্তি বলে
‘আমাকে বাঁচাও।’
যখন একজন আরেক জনের ভালবাসা পাওয়ার জন্য
লজ্জার মাথা খেয়ে বলে
‘আমি তোমাকে ভালবাসি ।’
এ ধরনের ভাষার গভীরতা কতুটুকু?
তবুও জানাই তাদের ঘৃণধন্যবাদ
যাদের অত্যাচারে আজ ২১শে ফেব্র“য়ারী ‘বিশ্ব মাতৃভাষা দিবস’।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুন, ২০১১ রাত ১২:৫১