somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কিংকর্তব্যবিমূঢ়!!!!!!! অল্পের জন্য চোখের জল ধরে রাখতে পেরেছি। :(

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি শপিং করার জন্য বিগ বাজারের পাশে হাঁটছিলাম।
তখন দেখলাম দোকানের ক্যাশিয়ার ৫ অথবা ৬ বছরের একটা ছোট বাচ্চার সাথে কথা বলছে।
ক্যাশিয়ারঃ আমি দুঃখিত। তোমার কাছে পুতুল কেনার জন্য যথেষ্ট
টাকা নেই।
ছোট ছেলেটি আমার কাছে এল
আর জিজ্ঞেস করল। আঙ্কেল? দেখেনতো আমার কাছে কি সত্যিই
যথেষ্ট পরিমান টাকা নেই?
আমি তার টাকা গুলো গুনে দেখলাম।
আর পুতুলের দাম ও দেখলাম।
আসলেই তার থেকে সামান্য কম টাকা ছিল।
আমি বললাম সত্যিই তোমার কাছে পুতুল কিনার জন্য যথেষ্ট পরিমাণ টাকা নেই।
ছেলেটির মন খারাপ হল।
তবুও সে ঐ পুতুলটি ২ হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে রাখল।
আমি ওর কাছে গেলাম আর তারপর জিজ্ঞাস করলাম,
তুমি কাকে দেওয়ার জন্য পুতুলটি কিনতে চাও?
ছেলেটি বলল এই পুতুলটি সবচেয়ে বেশি পছন্দ করে আমার বোন।
আমি ওর জন্মদিনে ওকে এটা গিফট দিতে চাই।
আমার মায়ের কাছে পুতুলটি দিব
যাতে সে পুতুলটি আমার বোনের কাছে পৌঁছে দেয়।
তার ২ টি বিষণ্ণ চোখ দেখে আমি জিজ্ঞাস করলাম,
তোমার বোন কোথায় গেছে?
তখন সে মন খারাপ করে বলল,
আমার বোন আল্লাহর কাছে চলে গেছে।
আব্বু বলেছে আম্মুও খুব তাড়াতাড়ি সেখানে যাবে।
তাই আমি ভাবলাম পুতুলটা আম্মুকে দিয়ে বোনের কাছে পাঠিয়ে দিব। আমার নিশ্বাস কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে এল।
ছেলেটি আবার বলতে লাগলো
আমি আব্বুকে বলেছি যাতে আম্মুকে যেতে না দেয়।
আল্লাহর কাছে গেলে আমাদের কথা ভুলে যায়। আমার কথা আমার বোন ভুলেই গেছে। দেখাও করেনা।
তারপর আমাকে একটা ফটো দেখিয়ে বলে,
আমার এই ফটোটাও আম্মু সাথে দিয়ে দিব
যাতে আমার বোন আমাকে না ভুলে যায়।
আমি আমার আম্মুকে অনেক ভালোবাসি।
আম্মুকে যেতে দিতে আমার কষ্ট হচ্ছে।
কিন্তু আব্বু বলেছে আমার বোনের দেখা শুনার জন্য আম্মুকেও যেতে হবে।
এসব বলতে বলতে নির্বাক ২ টি চোখে পুতুলটির দিকে তাকিয়ে রইল।
তখন আমি তার টাকা গুলোর সাথে আরও কিছু টাকা যোগ
করি আর তা কে বলি,
চলো আমরা টাকা গুলো আবার গুনে দেখি।
হয়তো এখানে পুতুল কেনার জন্য
যথেষ্ট টাকা আছে।
গুনে দেখার পর ছেলেটি অনেকখুশি হয়। তখন সে পুতুলটি কিনে নিয়ে চলে যায়।
আমি আমার শপিং গুলো শেষ করে বাসায় আসি।
এরপরে আমার ২দিন আগের লোকাল একটি নিউজপেপার এর
দিকে চোখ গেল। যেখানে একটা আর্টিকেল ছিল যে
একটি ট্রাক ড্রাইভার মাতাল হয়ে ট্রাক চালায় আর একটি কারকে ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলেএকটি ছোট মেয়ে মারা যায় আর তার
মা গুরুতরআহত হয়।


তাহলে কি সেই পরিবারের ছিল
ছেলেটি আমার সাথে যার মলে দেখা হয়েছিল???
এরপরে আমি নিউজ পেপার চেক করতাম। ১দিন পরে দেখলাম ঐ মহিলাটিও মারা যায়।
আমি নিজেকে থামাতে পারিনি তার ফেয়ারওয়েলে যেতে। আমি একটি সাদা গোলাপ কিনলাম।
গিয়ে দেখলাম মহিলাটি কফিনেরভেতর ছিল।
তার পাশে সেই পুতুলটা যেটা একটা ছোট ছেলে তার বোনকে দিবে বলে কিনেছিল।
এবং মহিলাটির বুকের মাঝে সেই ছেলেটির
ফটো। আমার আর বুঝতে বাকি রইল না।
মা এবং বোনের জন্য ছেলেটির ভালোবাসা কল্পনার থেকেও
বেশি। এত ভালোবাসা একটা মাতাল কেড়ে নিল
সামান্য একটু সময়ে!!!

পুনশ্চ: এটা একটি ইংরেজি গল্পের বাংলাঅনুবাদ। এমন কেনহয় এই পৃথিবীতে?
যে মানুষ অপরাধ করে সে সাজা না পেয়ে অন্য
মানুষদের তার অপরাধের জন্য মূল্য দিতেহয়।
এমন কেন হয় যে একটা মাতাল ড্রাইভার এর জন্য একটি অবুঝ
বাচ্চা তার সব চেয়ে আপনজনকে হারায়? কেন
যে এমন হয় ??? এই কেন এর উত্তর হয়তো আমাদের
কারো কাছে নেই। হ্যাঁ আমাদের কাছে এরপ্রতিকার
রয়েছে।

চলুন আমরা আজ থেকে প্রতিজ্ঞা করি
যেন কোন মৃত্যু আর সড়ক দুর্ঘটনায় না ঘটে ৷


ফেসবুক থেকে সংগ্রহ করা।
পরা শেষে বুঝলাম আর একটু হলেই আমার চোখ দিয়ে পানি পরত।
তাই শেয়ার করলাম আমার প্রিয় ব্লগে।
১০টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারতে পচা রুটি ভাত ও কাঠের গুঁড়ায় তৈরি হচ্ছে মসলা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩০

আমরা প্রচুর পরিমানে ভারতীয় রান্নার মশলা কিনি এবং নিত্য রান্নায় যোগ করে খাই । কিন্তু আমাদের জানা নেই কি অখাদ্য কুখাদ্য খাচ্ছি দিন কে দিন । এর কিছু বিবরন নিচে... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাফসান দ্য ছোট ভাই এর এক আউডি গাড়ি আপনাদের হৃদয় অশান্ত কইরা ফেলল!

লিখেছেন ব্রাত্য রাইসু, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫২

রাফসান দ্য ছোট ভাইয়ের প্রতি আপনাদের ঈর্ষার কোনো কারণ দেখি না।

আউডি গাড়ি কিনছে ইনফ্লুয়েন্সার হইয়া, তো তার বাবা ঋণখেলাপী কিনা এই লইয়া এখন আপনারা নিজেদের অক্ষমতারে জাস্টিফাই করতে নামছেন!

এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঁচতে হয় নিজের কাছে!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৮

চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু।  লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×