এইসব নিস্তব্ধতা আর চলমান সময়ের কড়িকাঠে
ভিড় করে অতীত-
মা মা করে যেদিন থেকে ডাকতে শুরু করেছি
সেই দিন থেকে আজ পর্যন্ত-
যেদিন প্রথম বর্ণমালার বই বাবা হাতে দিল,
যেদিন প্রথমবারের মত বড়বুবু স্কুল চেনাল,
যেদিন প্রথম লিখতে শিখলাম,
যেদিন প্রথম বেন্চের ফ্রক পরা মেয়েটির দিকে তাকিয়ে মিটমিটি হাসলাম,
সেই থেকে আজ পর্যন্ত
কত না স্ম্বৃতি !
সাদা কালো কিংবা রঙিন- সবই তো অতীত ।
মাঝপাড়ার মেয়েটির সাথে ভাব হলো
লেখা হয়ে গেলো প্রথম প্রেম-পত্র,
রোদে বৃষ্টিতে যার শেষ পর্যন্ত হাত বদল হওয়া হলোনা কখনই,
সেই মেয়েটি চোখের আঙিনায় কি দারুণ পর হয়ে গেল--
আমি অতসব বুঝিনা তখন,
অল্প বয়স, ফুটবল মাঠে তখন আমার অনেক কদর....
সান্ধ্য নিয়ম ছিল বাড়ি জুড়ে- বাবা ফিরতেন,
তখন পাশের বাড়ির রমাদি পড়ত সুর করে-
দারুন লাগত সেই সুর আর সেই রমাদিকে,
আজও ভাবি-
কৈশরের সেই রমাদিই কি তবে আমার প্রথম প্রেম?
গোলমেলে ছিল ব্যাপারটা-
কলেজের রাঙানো সময়ে রমাদি ভুল হয়ে গেল,
বৃষ্টি আর জোছনার সাথে বন্ধুত্বটা তখন থেকেই..
কেন জানি আজ ধেয়ে আসছে সব-
ভালোলাগার মানুষগুলো
কিংবা ফিরিয়ে দেয়া প্রিয় মুখগুলো
আজ ধেয়ে আসছে দ্রুত-
আজ তাই এই অস্হির সময়ের কাছে আমার
অসহায় আত্মসমর্পণ,
হতে পারে এটা আত্মকথন
হতে পারে অতীতের বর্ণমালার সে এক নীরব দহন ।