সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের ডিলার কিংবা ঠিকাদার, এমনকি তাঁদের স্ত্রী কিংবা ভাই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। নির্বাচন কমিশনের এই বিধির কারণে স্বল্পমূল্যে চাল বিক্রি কর্মসূচির ডিলার শামছুল হুদা আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি। তাই স্ত্রী রেহেনা বেগম স্বামীকে তালাক দিয়ে সাধারণ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে গাইবান্ধা সদর উপজেলার ঘঘোয়া ইউনিয়নে। তিনি ওই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বর পদপ্রার্থী। গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বুলবুল আহম্মেদ বলেন, নির্বাচন বিধি অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের ডিলার কিংবা ঠিকাদার, এমনকি তাঁদের স্ত্রী কিংবা ভাই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। এ কারণে রেহেনা বেগম স্বামীকে তালাক দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন। রেহেনা তাঁর স্বামীকে তালাক দিয়েছেন এবং তালাকের কাগজপত্র মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দিয়েছেন। তাঁর মনোনয়নপত্রে স্বামীর নাম লেখার স্থানে ‘প্রযোজ্য নহে’ লেখা হয়েছে। এ ছাড়া ডিলার স্বামী শামছুল হুদার সঙ্গে বর্তমানে তাঁর কোনো সম্পর্ক নেই। এ ক্ষেত্রে তাঁর নির্বাচনে অংশ নিতে আইনি বাধা নেই। তাই তাঁকে বৈধ মেম্বর পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে শামছুল হুদা বলেন, ‘আমার স্ত্রীকে নির্বাচন করতে বাধা দিয়েছিলাম। বাধা না মেনে আমাকে তালাক দিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। তালাক দেওয়ার পর থেকে সে তার বাবার বাড়িতে থেকেই নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছে।’
সদস্য পদপ্রার্থী রেহেনা বেগম বলেন, ভোটারদের অনুরোধ ফেলতে পারিনি। তাই নির্বাচন করছি। আশা করি, জয়ী হবো।
৮ নম্বর ওয়ার্ডের (চরের গ্রাম) সদস্য পদপ্রার্থী আবদুর রউফ অভিযোগ করেন, রেহেনা বেগম নির্বাচনে অংশ নিতে নিকাহ রেজিস্টারকে ম্যানেজ করে পুরোনো তারিখ দেখিয়ে স্বামীকে তালাক দেন। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর স্বামী-স্ত্রী পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।