somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

:D :D B-) মধু মাসের মধু ফল// আঁকাআঁকি করি চল ;) :-B :-B !:#P :-0

৩০ শে মে, ২০১১ রাত ৯:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


শিরোনামঃ “চুমুকেই তৃপ্তি!”
আকারঃ ১২ইঞ্চি বাই ৬ইঞ্চি, জলরং


জলরং এর কাজ করার পদ্ধতিঃ


সুচনা বক্তব্যঃ
জলরং এর কাজ হতে হয় সফট। দেখলেই একবারে জীবন্ত অনুভূতি আসবে। করার জন্য প্রথমে এই রঙ এর কাজ করারউপযুক্ত পৃষ্ঠায় ছবিটি এঁকে নিতে হবে। জলরং এর কা করা হয় কার্টিজ পেপারে। এ কাজ সবচেয়ে ভাল হয় ‘হ্যান্ড-মেড’ পেপারে। এর জন্যে ‘জলরং’ ই লাগবে।

উপকরণঃ
১। কার্টিজ বাঁ হ্যান্ড-মেড পেপার,
২। জলরং এর টিউব- (আর্টিস্ট ক্যামেল রঙ বেশি ভালো),
৩। জলরং এর কাজ করার জন্য মসলার বাটির মত খোপ খোপ বাটি,
৪। জলরং এর কাজ করার ব্রাশ(তুলি),
৫। রঙ গুলানোর জন্য একটি পরিস্কার বাটিতে পরিস্কার স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি।

ধাপঃ০১
প্রথমে যে জিনিস আঁকবো তা আমি সামনে রেখে নিলাম। আমি ডাইনিং টেবিলের এক কোনায় একটি অফসেট পেপার এর উপর ৪টি আম যে এঙ্গেলে আঁকতে চাই সেভাবে সাজিয়ে নিলাম।

দৃশ্য-০১


তারপরে টেবিলের অন্য পাশে বসে ঝটপট ছবিটি আমার ‘কার্টিজ পেপার’ এর কোয়ার্টার সাইজ খাতার একটি পৃষ্ঠায় এঁকে নিলাম। আমার অংকন কেমন হলো তা যাচাই করার জন্য আমার বিষয়বস্তুর পাশে আমার আঁকা ছবিটিকে দাঁড় করিয়ে যেখানে বসেছিলাম, সেখান থেকে লক্ষ্য করতে থাকলাম কিছুক্ষণ।

দৃশ্য-০২

আঁকা মনঃপূত হলে রঙ বের করে বাটিতে পানি নিয়ে কাজে কামে লেগে গেলাম।

দৃশ্য-০৩


ধাপঃ ০২
জলরং এ কাজ করার সময় বেশ যত্নের সাথে করতে হয়। পাশাপাশি কয়েকটি জিনিস থাকলে একটি একটি করে জিনিসের রঙ করে নিলে ভালো হয়। (অত্যন্ত দক্ষ শিল্পী একসাথে পুরো ছবিটা ঝটপট শেষ করতে পারে। আমি অত দক্ষ না হলেও পারি; কিন্তু-আজ আমি শেখাবো বলে একটি একটি করে করে দেখাচ্ছি।)
প্রথমে রঙ এর প্লেটের ছোট খোপগুলোতে সবুজ, হলুদ, নীল, লাল, খয়েরী, বেগুনী রংগুলো টিউব থেকে একটু একটু করে বের করে নিয়ে রাখি।
প্রথমে আমি একটি আম এ রঙ করে নিচ্ছি। ডান পাশের পেছনের আমটা। তারপরে একে একে বাকিগুলো।
সবুজ কোন ফল, পাতা, গাছ রঙ করতে হলে আগে হলুদ রঙ দিতে হয় বেশি করে। সেটা কাঠ রঙ বা জলরং-উভয় ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
জলরং এর ছবিতে যেকোন রঙ দেয়ার আগে পেনসিলে আঁকা মূল ছবিটায় পরিস্কার পানিতে তুলি সামান্য ভিজিয়ে ভেজা তুলি দিয়ে প্রথমে যে অংশে রঙ করতে যাচ্ছি সেখানে ভেজাতে হয়। আমিও ভিজিয়ে নিলাম। এরপরে রঙ এর প্লেটে পরিস্কার হলুদ রঙ পানি দিয়ে গুলিয়ে নিতে হবে। তারপরে ছবির ভেজা অংশে তাড়াতাড়ি হলুদ রঙ দিয়ে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সেখানে সবুজ রঙ লাগাতে হবে। এজন্য রঙ এর প্লেটের মধ্যে যা যা রঙ লাগবে বলে মনে হয়, তা আগেই গুলিয়ে ঠিক করে রাখলে সুবিধা হয়। মনে রাখতে হবে, জলরং এর ছবিতে ভেজা ভেজা থাকতেই রঙ এর কাজ করতে হয়। পৃষ্ঠা শুকিয়ে গেলে রঙ দিতে গেলেই ছবি হয়ে যাবে পোস্টার এর মত শক্ত। জল রঙ এর আঁকা ছবি হতে হয় কোমল।
ছবিতে ধাপ গুলো দেখে নেই পর পর----

দৃশ্য-০৪ হতে দৃশ্য-১১


















ধাপ-০৩
এর পরে ছবিতে আলো ছায়ার কাজ। আগে বিষয়বস্তুর সাথের ছায়ার কাজ করে নিতে হবে। যেখানে যেখানে আমের গায়ে ছায়া পরেছে বলে মনে হচ্ছে তা ঐ রঙ এর কাছাকাছি রঙ গুলিয়ে আমের গায়ের সেই জায়গাগুলোতে দিয়ে নিতে হবে। সেটা উপরের ছবিগুলোতে দেখা যাচ্ছে খেয়াল করুন।

ধাপ-০৪
বিষয়বস্তুর নিজের ছায়ার কাজ শেষ। এখন তার নিজের অবস্থানের ছায়ার কাজ। দেখুন, ৪টি আমের নিচেই গাঢ় ছায়া পরেছে। এই ছায়ার জন্য কি রঙ দিবেন? আপনার রঙ এর প্লেটের মধ্যে খয়েরী, নীল, সবুজ, লাল রঙ কে মিলিয়ে ময়লা রঙ বানিয়ে সেটি তুলিতে মোটামুটি গাঢ় করে নিয়ে যতটুকু ছায়ার আয়তন মনে হয়, ততটুকু অংশতে অইভাবে দিয়ে যান। ৪টি আমের ছায়া দেয়া শেষ।
চিত্রঃ


ধাপ-০৫
এখন পুরো বিষয়বস্তু ও পরিবেশের আলো-ছায়া ফুটিয়ে তুলতে হবে। যে অফসেট কাগজের উপরে ছবিটি এঁকেছি, সেটাও ফুটিয়ে তুলতে হবে। বন্ধুরা লক্ষ্য করুন, কাগজের সামনের দিকে কাগজের নিচে ছায়া পরেছে। আমিও সেখানে একটু ময়লা রঙ ঘষে দিলাম। তারপরে যেটা লক্ষ্য করবেন, যেকোন বস্তুর সামনের দিকে লাইট পরে বেশি আর পেছনে অন্ধকার।
তাই কাগজের সামনের দিলের খালি জায়গায় হালকা করে ময়লা ঘষে যাই কোণিক ভাবে। তারপরে ছবিটির পিছনের দিকে তুলি দিয়ে কখনো সবুজে বা খয়েরী বা ময়লা হলুদের রঙ্গে তুলি দিয়ে ঘঁষে দেই। এতে করে কাছের আর দূরের বিষয়টি ফুটে উঠবে।

শেষ চিত্রঃ


সবশেষে ছবির নিচে সিগনেচার ও তারিখ দিয়ে দিলাম।

(শেখানোর ইচ্ছায় আজকে কাজের ফাঁকে ফাঁকে ফটোসেশন করতে হয়েছে।)
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে মে, ২০১১ রাত ৯:৩২
৩৮টি মন্তব্য ৩৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারতে পচা রুটি ভাত ও কাঠের গুঁড়ায় তৈরি হচ্ছে মসলা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩০

আমরা প্রচুর পরিমানে ভারতীয় রান্নার মশলা কিনি এবং নিত্য রান্নায় যোগ করে খাই । কিন্তু আমাদের জানা নেই কি অখাদ্য কুখাদ্য খাচ্ছি দিন কে দিন । এর কিছু বিবরন নিচে... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাফসান দ্য ছোট ভাই এর এক আউডি গাড়ি আপনাদের হৃদয় অশান্ত কইরা ফেলল!

লিখেছেন ব্রাত্য রাইসু, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫২

রাফসান দ্য ছোট ভাইয়ের প্রতি আপনাদের ঈর্ষার কোনো কারণ দেখি না।

আউডি গাড়ি কিনছে ইনফ্লুয়েন্সার হইয়া, তো তার বাবা ঋণখেলাপী কিনা এই লইয়া এখন আপনারা নিজেদের অক্ষমতারে জাস্টিফাই করতে নামছেন!

এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঁচতে হয় নিজের কাছে!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৮

চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু।  লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×