স্যাঁতসেঁতে দেয়ালের নোনা গন্ধ চিরে
থুথ্থুরে দেউড়িটি ঠায় দাঁড়িয়ে
আজ কত শত বর্ষ- তার সাক্ষ্য দিতে
কেউ নেই প্রলম্ব বাতাবি বিটপ ব্যাতীত-
আমাদের মূঢ় বর্তমানে।
বামের গোময় গন্ধে সচকিতকারী
গোয়াল ঘরটি স্থান দেয়নি কভু
নাযারেথের নবজাতক যিশু;
কেবল সাপের কন্দর আর
পেটেঙ্গা গাছ ব্যতীত গাভীর
জাবর কাটার নিসর্গিক শব্দই বিরাজ
করে সেখানে।
দুই প্রান্তের শিথিল গোলায়, খড়ের পালায়
সোনালী স্মৃতির পিলসুজ বোনে দীর্ঘশ্বাস।
মায়াবতী চাচীমার পাটকিলে শাড়ির আভাস
শরতের মেঘে মেঘে ভেসে আসে
পেয়ারা গাছের বেয়াড়া ডালের আড়াল থেকে-
যিনি এই এক্ষুণি অমোঘ নিয়তির মতো
ভাঙ্গা কুলোটায় হোঁচট খেয়ে সামলাতে
সামলাতে নিজেকে আর নিজের আন্তরিক
অনুভূতির দমক- স্নেহের ধূলো জড়িয়ে দেবেন
তনুর তপ্ত রন্ধ্রে, রোমে, সর্বস্বতায়।
এরপর
এরপর এক পাললিক উঠোন
উঠোন জুড়ে মুরগির বিষ্ঠা,
গড়ানো খাঁচা, নারকেলের ছোবড়া মাড়িয়ে
মাড়িয়ে ইঁদারার রশি, জলের ছিটা
আর বর্ষিয়সী গুবাক গাছের বরাভয় নিংড়ানো
ধুপছায়া দহলিজ-
এক, দুই, তিনটে সিড়িঁর কৃষ্ণ খাঁজে
শহুরে জুতোর খসখসে শব্দে করে সচকিত,
ঠিক গিয়ে উল্ট পড়বো
মাঝের ঘরের বয়েসী জাজিমের উষ্ণতায়-
মাটিতে গড়ানো ছিটকিনির ধাতব টঙ্কারে
ঠিক তখনি মিশ্রিত হবে হাসির ঝিলিকে
উচ্ছ্বসিত কন্ঠস্বর:
'মধু- ডাবের পানিটুকু খেয়ে নাও।'