কুরআন পড়া ও তদানুযায়ী আমল করা
যিয়াদ ইবনু লাবীদ (রাযি) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী (সা) একটি বিষয় নিয়ে আলাপ করলেন। তিনি বললেন, সেটা ইলম উঠে যাবার সময় সংঘটিত হবে। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! কি করে ইলম উঠে যাবে ? আমরা তো কুরআন পড়ছি, আমাদের সন্তানদেরকে কুরআন শিক্ষা দিচ্ছি। আমাদের সন্তানেরা তাদের সন্তান-সন্ততিদেরকে কুরআন শিক্ষা দিতে থাকবে! রাসূল (সা) বললেন, যিয়াদ! তোমার মা তোমার জন্য ভারাক্রান্ত হোক। আমি তো তোমাকে মাদীনার একজন বিজ্ঞ ও জ্ঞানী মনে করতাম। এসব ইয়াহুদী ও নাসারাগণ তো তাওরাত ও ইন্জিল পড়ছে। অথচ তারা তদানুযায়ী কাজ করছে না। -মুসনাদে আহমাদ, ইবনু মাজাহ, ঈমাম তিরমিযীও অনুরুপও যিয়াদ (রাযি) হতে বর্ণনা করেছেন।
হাদীস সহীহ। মিশকাত তাহক্কীক আলবানী হা/২৭৭।
ব্যাখ্যা: রাসূল (সা) যিয়াদকে বললেন, তুমি আমার কথা না বুঝেই কথা বলছো। কুরআন শুধু পড়া ও এতে যে ইলম আছে তা জানাই যথেস্ট নয়। কুরআন পড়তে হবে, এর ইলম হাসিল করতে হবে, এর উপর পরিপূর্ণ আমাল করতে হবে। মূল উদ্দেশ্যই আমাল বা বাস্তবায়ন করা। যদি বাস্তবায়নই করা না হয় তাহলে কুরআন উঠে যাওয়া হলো না? কুরআনের উপর বাস্তব আমল করতে হবে। আমল করতে হলেই আগের দু’টো কাজ অধ্যয়ন ও এর ইলম হাসিল করতে হবে।