সকালে পত্রিকার পাতায় চোঁখ বুলাতেই মনটা খারাপ হয়ে গেলো। বেশ কয়েকটি নেতিবাচক সংবাদ এই মন পীড়ার কারণ। বাসে বাড়তি ভাড়া আদায় বন্ধে মালিকদের নিয়ে বৈঠকে মন্ত্রীর হম্বিতম্বির পর রণে ভঙ্গ দিলেন যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন। বাস মালিকদের হুমকিতে বাড়তি ভাড়া আদায়ের দায়ে ৫০০ টাকা জরিমানাসহ রুটপারমিট বাতিল ও একমাসের কারাদন্ত প্রদানের কথা বললেও এখন বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগে শুধুমাত্র বাসের চলাচলাচলের অনুমতি বাতিল করা হবে; যা ভুক্তভোগী যাত্রীদের কোন কাজে আসবেনা। এটা তাদের চোঁখে ঢুলি পড়িয়ে ঘানি ঘুড়াবার নামান্তর
এদিকে ডিএসইর তদন্তে প্রকাশ পেয়েছে শেয়ারবাজারকে অস্থির করে তুলবার জন্য চার কোম্পানী কারসাজি করে দর অস্বাবাভিক বাড়ানো হয়েছে। এই চারটি কোম্পানী আইন লঙ্ঘন করে পুঁজিবাজারে শেয়ার লেনদেন করেছে যার মধ্যে দুটি কোম্পানী নিজেরাই সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন করে আর্থিক প্রতিবেদনে মিথ্যা তথ্য দিয়ে শেয়ারের দাম বাড়াতে ভূমিকা রেখেছে। এই চারটি কোম্পানী হলো লিগেসি ফুটওয়্যার, অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং ও দুলামিয়া কটন। এসব কোম্পানীর প্রতিটি দূর্বল মৌলভিত্তি জেড ক্যাটাগরির আওতাভূক্ত।
বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্র অর্জনের একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত জনশক্তি রপ্তানি। দেশের এই গুরুত্বপূর্ণ খাতটি এখন দুর্নীতিবাজ দালালদের নিয়ন্ত্রণে। দেশের জনশক্তি রপ্তানির কোন আইনে দালাল বা মধ্যস্বত্বভোগী বলে কিছু না থাকলেও গ্রামগঞ্জ ও শহরে ছড়িয়ে আছে পঞ্চাশ হাজার প্রত্যক্ষ এবং সমপরিমাণ পরোক্ষ মোট এক লক্ষ দালাল যারা অবৈধভাবে বছরের পর বছর ধরে জনশক্তি রপ্তানির নিয়ন্তণ করছে। এই সকল দালালের ফাঁদে পা দিয়ে প্রতারিত হচ্ছে গ্রাম গঞ্চের সহজ সরল মানুষ।
অনেক ঘাত প্রতিঘাত মোকাবেলা করে শেষ পর্যন্ত পদ্মা সেতু নির্মানের কাজ শুরু হবার একটা উজ্জল সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে এক শ্রেণীর মতলববাজ ও দুর্নীতিবাজরা ইতিমধ্যে তাদের নখে সান দিতে শুরু করেছে। ক্ষতিপূরণ লাভের মতলবে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পূর্ব নাওডোবা ইউনিয়নে পদ্মা সেতুর জন্য অধিগ্রহণকৃত ফসলি জমি ও ভিটায় নতুন স্থাপনা তৈরির হিড়িক পড়েছে। বেশি ক্ষতিপূরণ পাওয়ার আশায় এই এলাকায় গত ছয় মাসে গড়ে উঠেছে প্রায় তিন হাজার নতুন কাঁচা ঘর এমনকি প্রকল্প এলাকার বাইরের লোক অধিগ্রহণকৃতি ভুমির মালিকদের কাছ থেকে ভাড়া নিয়েও ঘর নির্মাণ করেছে।
ঢাকা ওয়াসার লেগুনে অবৈধ মাছ চাষঃ পাগলায ঢাকা ওয়াসার কৃত্রিম জলাশয়ের (লেগুনে) বিষাক্ত পানিতে ওয়াসার কিছু দুর্নীতিবাজ ও ফন্দিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রত্যক্ষ মদদে প্রতিবছর অবৈধভাবে মাছ চাষ করে মাছ চাষ ও বিক্রি নিয়ন্ত্রণকারী স্থানীয় নেতারা। এক সময় মাঠে নামে ওয়াসা। লেগুনে বিষ ঢেলে মাছ নিধন করে। খরচ হয় কয়েক লক্ষ টাকা যার বৃহত অংশ যায় সেই সকল দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের পকেটে।
এদিকে উল্লাপড়ায় আবার দেখা দিয়েছে অ্যানথ্রাক্সরোগের প্রদূর্ভাব। এপর্যন্ত আটজন আক্রান্ত হবার খবর পাওয়া গেছে। অপরদিকে পবিত্র রমজানকে সামনে রেখে ভোজ্যতেলের বাজার অস্থির হয়ে উঠতে শুরু করেছে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ঘিরে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে চরমপন্থিরা মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে।
পপসম্রাট আজম খান শংকামুক্ত নন এখনও এমন খবর দিয়েছে একটি পত্রিকা অপর একটির দাবী তার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। আমরা এই গুণী শিল্পীল আশু রোগমুক্তি কামনা করছি। একশ্রেণীর দুষ্ট ও ফন্দিবাজ অতি মুনফালোভী ব্যবসায়ীর কারণে মধুমাসে প্রাণঘাতী রাসায়নিক মিশ্রণযুক্ত ফল খেয়ে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে দূরারোগ্য কিডনি, লিভার ও হৃদরোগে। এত সমস্যা ও দুর্নীতির মাঝেও আমরা বেঁচে বর্তে আছি এটা সৃষ্টিকর্তার অপার অনুগ্রহ। আসুন সেই দয়ালু মহা পরাক্রমশীল সৃষ্টিকর্তার প্রতি আমরা আমাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মে, ২০১১ দুপুর ১:৫১