somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সংবিধান লইয়া বিতর্ক!

২৮ শে মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আসসালামু আলাইকুম,
সংবিধান কোনো চিরস্থায়ী কিতাব নহে। সময়ের সাথে সাথে তাহারও পরিবর্তন করিতে হয়। উহাই স্বাভাবিক। সম্প্রতি আমাদের হাইকোর্ট রায় প্রদান করিয়াছেন যে দিয়েছে ৫ম এবং ৭ম সংশোধনী অবৈধ। বেশ ভালো কথা। কিন্তু তাহার পর হইতেই এক শ্রেণীর প্রগতিশীল ধুয়া তুলিতে আরম্ভ করিয়াছেন েয :
কেন সংবিধানে বিসমিল্লাহ এবং রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম রাখতে হবে? হাইকোর্টের রায় অনুসারে সংবিধান সংশোধন করা না হলে ৩০ লাখ শহীদের সাথে বেইমানি করা হবে।

১৯৭২ সালের সংবিধানে যাইতে চাহিতেছেন---তাহা ভালো। বেশ ভালো। সময়ের সাথে সাথে সবকিছুরই পরিবর্তন ঘটিয়া থাকে। আগে ভাবিতাম দেশের প্রগতিশীলগণ পুরাতন সব কিছুরই পিরিবর্তন চাহেন এখন দেখিতেছি না তাহা হইতেছে না। বরং তাহারা কোনো কোনো বিষয়ে '''মৌলবাদীগণের'' মতনই আচরণ করিয়া থাকেন। মৌলবাদীগণের তো দোষের সীমা নাই। তাহাদের কথা বাদ দিতেছি!!!

১৯৭২ সালের সংবিধানের ৮ এর ১ নং অনুচ্ছেদে বলা হইতেছে : জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা--এই নীতিসমূহ রাষ্ট্রপরিচালনার মূলনীতি হইবে। আপনারা ধর্মনিরপেক্ষতাকে ফিরাইয়া আসিবার জন্য চিৎকার করিতেছেন তাহাতে আপত্তি নাই। কিন্তু সমাজতন্ত্রের বিষয়ে নীরব রহিয়াছেন কেন? যেখানে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন নামক রুশ সামাজিক সাম্রাজ্যবাদ হইতে শুরু করিয়া দুনিয়ার প্রায় সকলখানে এই মতবাদের পতন ঘটিয়াছে সেইখানে কি সমাজতন্ত্র কায়েম রাখিতে চাহেন? ধর্মনিরপেক্ষতা বাদ না দিলে যদি ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের সহিত বেঈমানি করা হইয়া থাকে তাহা হইলে তো সমাজতন্ত্রকেও বাদ দিবার উপায় নাই। কেননা তাহাও ১৯৭২ সালের সংবিধানে রহিয়াছে।
দেশের সংবিধানে গণতন্ত্রের কথা রহিয়াছে। যে-দেশের ৮৫ ভাগ জনগণ মুসলমান সেই দেশের সংবিধানে 'বিসমিল্লাহ' বা রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকিতে পারিবে না কেন? আর থাকিলে কি কি ক্ষেত্রে তাহা উন্নতির জন্য বাধা সৃষ্টি করিবে---দয়া করিয়া তাহারা কি একটু জানাইবেন?
আগেই বলিয়াছি েয সংবিধান কোনো ধর্মীয় কিতাব নহে যে তাহা সবসময়ই একইরকম থাকিবে।
ব্যক্তিকে লইয়াই সমাজ, দেশ, রাষ্ট্র। ব্যক্তির যদি ধর্ম থাকে তাহা হইলে রাষ্ট্রের ধর্ম থাকিতে আপত্তি কোথায়?
বাংলাদেশ একটি মুসলিম প্রধান দেশ। ভারত একটি হিন্দু-প্রধান দেশ। মায়ানমার একটি বৌদ্ধট্রধান দেশ। এইসব বয়ানে কি মিথ্যা প্রকাশিত হয়।
মার্কিন রাষ্ট্রপতি তাহার প্রতিটি ভাষণের শেষে ''গড ব্লেশ আমেরিকা'' বলিলে সমস্যা হয় না। আর আমাদের রাষ্ট্রপতি/প্রধানমন্ত্রী বিসমিল্লাহ বলিয়া ভাষণ শুরু করিলেই সব লন্ডভন্ড হইয়া যাইবে?
দেশের মুক্তিযোদ্ধাগণ ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করিয়াছিলেন একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্য। তাহাদের বেশিরভাগই মুসলিম পরিবারের সন্তান। কাজেই বিসমিল্লাহ বা রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম---তাহাদের আত্মার জন্য শ্রদ্ধা ছাড়া অন্য কিছু হইবে না।
সকলে ছহি-ছালামতে থাকিবেন।
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইসলামে পর্দা মানে মার্জিত ও নম্রতা: ভুল বোঝাবুঝি ও বিতর্ক

লিখেছেন মি. বিকেল, ১৯ শে মে, ২০২৪ রাত ১:১৩



বোরকা পরা বা পর্দা প্রথা শুধুমাত্র ইসলামে আছে এবং এদেরকে একঘরে করে দেওয়া উচিত বিবেচনা করা যাবে না। কারণ পর্দা বা হিজাব, নেকাব ও বোরকা পরার প্রথা শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×