somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

ফকির ইলিয়াস
আলোর আয়না এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্য নয়।লেখা অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]

পারস্পরিক দোষারোপ যখন ক্রান্তিকালকে দীর্ঘায়িত করে

২৮ শে মে, ২০১১ সকাল ৯:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পারস্পরিক দোষারোপ যখন ক্রান্তিকালকে দীর্ঘায়িত করে
ফকির ইলিয়াস
============================================
আবার জাতীয় সংসদ অধিবেশন শুরু হয়েছে। প্রধান বিরোধী দল বিএনপি যোগ দেয়নি। তারা জানিয়ে দিয়েছে, তারা যোগ দিতে পারে যদি বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা সকল মামলা তুলে নেয়া হয়। এই সংসদ অধিবেশনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাজেট পাস হবে। সংশোধন হবে সংবিধানও। তারপরও বিএনপি অধিবেশনে যোগ দিচ্ছে না। বর্তমান সরকারের মেয়াদ এখনো প্রায় আড়াই বছর বাকি। অর্থমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী দুটি বাজেট পেশ হবে শুধুমাত্র ধারাবাহিকতা রক্ষার বাজেট। প্রশ্ন জাগছে, এই ধারাবাহিকতা রক্ষার মানে কি? প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা ইংল্যান্ড সফর শেষ করে আমেরিকা সফর করেছেন। তিনি বিলাতে বেশ কিছু গুরত্বপূর্ণ ব্রিটিশ রাজনীতিকের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। দাবি জানিয়েছেন, মধ্যবর্তী নির্বাচনের। না, ব্রিটিশ রাজনীতিকদের অনেকেই এই দাবির সঙ্গে একমত হননি। তারা বলেছেন, বর্তমান সরকার তার মেয়াদ শেষ করতে না পারলে গণতন্ত্রের পথযাত্রা ব্যাহত হবে। আগামীর যে কোনো সরকারও এভাবে কক্ষচ্যুত হবে। খালেদা জিয়া ইংল্যান্ড থেকে আমেরিকা আসার পথে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের বলেছেন, তার যুক্তরাজ্য সফর শতভাগ সফল এবং দেশের জন্য অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে। সফরকালে ব্রিটিশ সরকার ও বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে একাধিক পৃথক বৈঠককালে খালেদা জিয়া বারবার মধ্যবর্তী নির্বাচনের ইস্যু সামনে নিয়ে এসেছিলেন। বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে খালেদা জিয়া বলেন, আমরা অনেক আগ থেকেই মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবি করে আসছি যৌক্তিক কারণে। সরকার যে সর্বক্ষেত্রে ব্যর্থ তা তারা খুব ভালো করেই জানে। দেশের জনমত এখন মধ্যবর্তী নির্বাচনের পক্ষে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরাও মধ্যবর্তী নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন। জনমতের কথা চিন্তা করে সরকারকেই ক্ষমতা ছেড়ে মধ্যবর্তী নির্বাচন দেয়া উচিত। তারা যদি তা না করে, তাহলে দেশে ফিরে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে মধ্যবর্তী নির্বাচনে বাধ্য করা হবে। তিনি আরো বলেন, সরকার সর্বক্ষেত্রে ব্যর্থ। আইনের শাসন নেই। বিচার বিভাগের ওপর সরকারের লোকজন নির্লজ্জ হস্তক্ষেপ করছে। বিচারবহির্ভূত হত্যাকা- বন্ধ হচ্ছে না। বরং মানুষ গুম বাড়ছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের বাইরে। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ তো দূরের কথা নিম্ন ধ্যবিত্তরাও তিনবেলা খেতে পারছে না। মা-বোনের ইজ্জতের নিরাপত্তা নেই। আওয়ামী লীগ একসময় একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছিল। তখন ছিল একদলের শাসন। আর এখন চলছে একব্যক্তির শাসন। তিনিই প্রধানমন্ত্রী, তিনিই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তিনিই অন্যসব ক্ষমতার মালিক। এই অবস্থায় দেশ বাঁচাতে বিএনপি মধ্যবর্তী নির্বাচনের বিকল্প কিছু দেখছে না। বেগম জিয়া বিলাতে যা বলেছেন তার কতোটা সঠিক তা দেশের মানুষের অজানা নয়। কিন্তু প্রশ্ন আসতেই পারে, তার নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের সময় দেশের মানুষ কেমন ছিল?
হাওয়া ভবনের ইশারায় গঠিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্ণধার কে ছিলেন তা দেশের মানুষের অজানা ছিল না। আর সেই সময়ে যে দানব শক্তিটি দেশে মারাত্মকভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল, তা হচ্ছে জঙ্গিবাদ। দেশে একযোগে বোমা হামলার মাধ্যমে সেই কালোশক্তি জানান দিয়েছিল, এই দেশ কতোটা অন্ধকারে আচ্ছন্ন। বেগম জিয়া লন্ডনে অভিযোগ করেছেন, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম নাকি মইন উ আহমেদ- ফখরুদ্দীন আহমদের সঙ্গে কক্সবাজারে বৈঠক করেছিলেন। এর জবাবে অনেক কথা বলেছেন এইচ টি ইমাম। তিনি বলেছেন, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। তা প্রমাণ করতে হবে। আর না পারলে এ জন্য বেগম জিয়াকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। লন্ডনে খালেদা জিয়ার দেয়া এ সংক্রান্ত বক্তব্যকে মিথ্যাচার অভিহিত করে এইচটি ইমাম বলেন, ‘কোথায়, কোনদিন, কখন বৈঠক হয়েছিল এর প্রমাণ দিতে না পারলে দেশবাসীর কাছে খালেদা জিয়াকে ক্ষমা চাইতে হবে। এ বক্তব্য সর্বৈব মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও অসৎ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত।’ খালেদা জিয়ার বক্তব্য চ্যালেঞ্জ করে এইচ টি ইমাম বলেছেন, কথিত বৈঠক তো দূরের কথা, ২০০৮ সালে কেন, এমনকি তার আগের পাঁচ বছরেও আমি কক্সবাজার যাইনি। সংসদে যাওয়ার প্রশ্নে বিএনপি মধ্যবর্তী নির্বাচন দেয়ার যে শর্ত জুড়ে দিয়েছে, তা প্রত্যাখ্যান করে তিনি বলেন, প্রশ্নই ওঠে না। এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফও বিএনপির সমালোচনা করে বলেন, খালেদা জিয়া কি তাহলে এই বলতে চাচ্ছেন যে, জিয়া যেমন ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় আসেন, তেমনি মইনও ক্ষমতা দখলের যড়যন্ত্র চালিয়েছিলেন?
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেছেন, জনগণের ভোটে নিরঙ্কুশ বিজয়ী সরকারের পক্ষ থেকে আমি বিরোধীদলীয় নেতার এই ধরনের মিথ্যাচার, মনগড়া কল্পকাহিনী ও কুৎসাপূর্ণ অবমাননাকর বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এইচ টি ইমাম আরো বলেন, বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার বক্তব্য কেবল জনগণের বিরুদ্ধে নয়, সাংবাদিক তথা গণমাধ্যমের বিরুদ্ধেও বিষোদ্গার করে তিনি অবমাননাকর বক্তব্য দিয়েছেন। খালেদা বলেছেন, ‘বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য বিদেশী সহযোগীদের মাধ্যমে গণমাধ্যমকে টাকা দিয়ে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।’ গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে এই ধরনের ঢালাও অভিযোগেরও তীব্র নিন্দা জানাই। এইচ টি ইমাম প্রশ্ন রাখেন, বিদেশী কারা? কারা গণমাধ্যমকে টাকা দিচ্ছে? কোনো গণমাধ্যম বা কোনো সাংবাদিক কার কাছ থেকে টাকা নিয়ে সংবাদ পরিবেশন করেছেন তা যদি খালেদা জিয়ার জানা থাকে, তবে সুনির্দিষ্টভাবে অভিযোগ আনতে পারেন। বিদেশের মাটিতে বসে প্রমাণ ছাড়া এভাবে শূন্যে গুলি ছুড়ে সংবাদ মাধ্যম ও সাংবাদিকদের অবমাননা করা আমরা গর্হিত অপরাধ বলে বিবেচনা করি। খালেদা জিয়া বলেছেন, ভারতের সঙ্গে চুক্তি করে নাকি দেশকে ‘করদ রাজ্য’ বানানোর ষড়যন্ত্র হচ্ছে। কিন্তু কোন চুক্তিতে তা হচ্ছে তিনি বলেননি। তিনি হাওয়ায় তলোয়ার ঘোরাচ্ছেন। পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রটি এখন সর্বৈব বিপদে। এই অবস্থায় বেগম খালেদা জিয়া অতীত ভুলতে পারছেন না। পাকিস্তানি ভূত ঘাড় থেকে নামাতে চাইছেন না। খালেদা জিয়া বলেছেন, ফখরুদ্দীন ছিলেন ‘ঠুঁটো জগন্নাথ’ আর মইন পেছন থেকে সবকিছু করতেন। তার এ বক্তব্য থেকে সহজেই ধারণা করা যায়, সাবেক সেনাশাসকের স্ত্রী হিসেবে এই বিষয়টি খালেদা জিয়া ভালো করেই বোঝেন। কারণ বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়া তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সায়েমকে কেবল ‘ঠুঁটো জগন্নাথই’ বানাননি, অস্ত্রের জোরে প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করেছিলেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এইচ টি ইমাম শেয়ারবাজার প্রসঙ্গে বলেছেন, ’৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের পর থেকে বিএনপি ও তার সহযোগীদের ব্যাংক-বীমাসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান করার অনুমতি পেয়েছে। তাই আর্থিক খাতে এদের একচেটিয়া প্রভাব রয়েছে। ইচ্ছা করলেই তারা পুঁজিবাজারে ধস নামিয়ে দিতে পারে। ’৯৬-এর মতো এবারো তারা শেয়ারবাজারের অনিয়মের সঙ্গে যুক্ত। প্রধানমন্ত্রী তাদের ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছেন। এইচ টি ইমাম বলেন, বিএনপির ইতিহাস হত্যা-ক্যু দাঙ্গা-হাঙ্গামা ও ষড়যন্ত্র-চক্রান্তেরই ইতিহাস। জন্মের দিনগুলোতে বিএনপি সামরিক আইনের মধ্যে প্রহসনমূলক হুকুমের হ্যাঁ-না ভোট এবং রাষ্ট্রপতি ও রাবার স্ট্যাম্প পার্লামেন্ট নির্বাচন করেছে। ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে একদলীয় প্রহসনের নির্বাচন, ২০০১ সালে ‘ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং’ সম্পন্ন করে নীলনকশার নির্বাচনের পরিকল্পনা করেছিল কারা? কারা দলীয় লেভেল আঁটা বিচারপতি কে এম হাসানকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান বানানোর জন্য সংবিধান সংশোধন করে বিচারপতিদের অবসরে যাওয়ার বয়সসীমা বাড়িয়ে ছিল। ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে কারা নির্বাচন কমিশনকে দলীয়করণ করার লক্ষ্যে বিচারপতি নামের কলঙ্ক আজিজকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করে জাকারিয়া-মোদাব্বির প্রমুখ পাকিস্তানপন্থী প্রতিক্রিয়াশীলদের দিয়ে নির্বাচন কমিশন সাজিয়েছিল? কারা তালিকায় এক কোটি ৩০ লাখ ভুয়া ভোটার যুক্ত করেছিল? কারা ছাত্রদল-শিবিরের ৩০০ জন ক্যাডারকে নির্বাচন কমিশনের অফিসার পদে অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়েছিল? প্রশাসন-পুলিশ-সেনাবাহিনীকে দলীয়করণ করেছিল কারা? ফখরুদ্দীন-মইনকে ‘বিশ্বাসঘাতক ও বেইমান’ হিসেবে আখ্যায়িত করার ভেতর দিয়েই প্রমাণিত হয়, খালেদা জিয়া পুনরায় ক্ষমতায় বসার নীলনকশা থেকেই মইনকে ৯ জন জ্যেষ্ঠ জেনারেলকে অতিক্রম করে সেনাপ্রধান নিযুক্ত করেছিলেন। এইচ টি ইমাম বলেন, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে খালেদা জিয়া দেশকে বিশ্বসমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করেছিলেন। ‘ব্যর্থ রাষ্ট্র’ এবং ‘সন্ত্রাসী রাষ্ট্র’ হিসেবে বিশ্বদরবারে এর পরিচিত হয়ে উঠেছিল। এখন কি বাংলাদেশকে কেউ ঐসব কলঙ্কিত নামে অভিযুক্ত করে?
এইচ টি ইমাম যেসব কথা বলেছেন, তা মিথ্যে নয়। কিন্তু কথা হচ্ছে, এই যে দোষারোপের রাজনীতি তা থেকে বেরিয়ে আসার উপায় কী? কিভাবে এই জাতি মুক্তি পেতে পারে এই সংকট থেকে? জেনেভা থেকে কানাডা আসার পর এয়ারপোর্টেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কালো পতাকা দেখিয়েছে বিএনপিপন্থীরা। আবার বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, কালো পতাকা প্রদর্শন করা হয়েছে লন্ডন-নিউইয়র্কে। বিদেশের মাটিতে পারস্পরিক এই সংঘাত মোটেই রাষ্ট্রের জন্য সুখকর কোনো সংবাদ বয়ে আনবে না। বরং মানুষ দেখছে ৪০ বছরের স্বাধীনতাপ্রাপ্ত একটি দেশ কতো দুঃখজনকভাবে এই ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। মুখে যতোই বলা হোক না কেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ কতোটা এগিয়েছে তা দেশের মানুষ দেখছেন খুব কাছে থেকেই। অর্থমন্ত্রী বলেছেন-তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দেশ অনেকটা এগিয়েছে তাই, এবার এই খাতে বিশেষ বরাদ্দের কোনো পরিকল্পনা নেই। তিনি আরো বলেছেন, ‘নতুন অর্থবছরের বাজেট হবে বর্তমান সরকারের তৃতীয় বাজেট। এরপর আর বড় কোনো উদ্যোগ নেয়া যাবে না। তাই এবারের বাজেটকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।’ মন্ত্রী জানান, আগামী অর্থবছরের উন্নয়ন বাজেট হতে পারে ৪৭ হাজার কোটি টাকা। জিডিপির প্রবৃদ্ধি ধরা হবে ৭ শতাংশ। তবে বাজেট হওয়ার আগে এসব পরিসংখ্যানে আরো পরিবর্তন আসতে পারে।
এবারের বাজেটের আকার কেমন হচ্ছে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাজারে যে গুজব আছে, তার কাছাকাছিই হবে। একটি গুজব হলো বাজেট হবে ১ লাখ ৪৮ হাজার কোটি টাকার। আরেকটি হলো ১ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকার। বাজেটের পরিধি এবার এ রকমই হবে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, আগামী অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবে সামাজিক নিরাপত্তা খাতসহ কৃষি, বিদ্যুৎ ও শিক্ষাকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হবে। একটি রাষ্ট্রের এগিয়ে যাওয়ার পূর্বশর্ত হচ্ছে পরিকল্পনামাফিক এগিয়ে যাওয়া। আমরা জানি কোনো জনগোষ্ঠীর অগ্রগতির বিশেষ অবস্থায় সম্মিলিত জীবনধারার প্রয়োজনে জনগণের মধ্যে রাষ্ট্রকাঠামো গঠনের তাগিদ এসেছে। আর সেই তাগিদের সুযোগে মানুষই রাষ্ট্র গড়ে তুলেছে। মতানৈক্যে,রাষ্ট্রের অন্তর্গত জনগণের মধ্যে সব সময়ই দেখা গেছে নানা মতবিরোধ। এক পক্ষ অন্য পক্ষের কাছ থেকেও বিরোধের ও আক্রমণের মুখোমুখি হয়। কিন্তু তারপরও মানুষের কাছে রাষ্ট্রস্বার্থই বড় করে দেখা দেয়া জরুরি হয়ে পড়ে। এর মাঝেই জনগণ নিজেদের প্রয়োজনেই নিজেদের রাষ্ট্রকে সংরক্ষণ করেছে। বিকশিত করেছে। উন্নত করতে চেয়েছে। যে জনগণ নিজেদের রাষ্ট্র গঠনে যতো যত্নবান থেকেছে ও দায়িত্বের পরিচয় দিয়েছে, সেই জনগণ ততো বেশি উন্নতি করেছে। আজকের পৃথিবীতেও যে জনগণ নিজেদের রাষ্ট্রকে যতো সুগঠিত করেছে, অভ্যন্তরীণ ও আন্তরাষ্ট্রিক সম্পর্কের দিক দিয়ে সামঞ্জস্যপূর্ণ করেছে, সেই জনগণ শক্তি-সামর্থ্যে, উৎপাদনে, সৃষ্টিতে ও সমৃদ্ধ জীবনযাপনে ততো সফল হয়েছে। আমরা ইউরোপ আমেরিকাকে আবারো উদাহরণ হিসেবে দেখতে পারি। জাতীয় শক্তির কোনো বিকল্প নেই। দোষারোপ যতোই করা হোক না কেন, মানুষ বাঁচাতে হলে পথ খুঁজতে হবে। চারদলীয় জোট পারেনি। মহাজোটও যদি না পারে, তবে জণগণ দাঁড়াবে কোথায়? এই ভাবনা মাথায় রেখেই রাজনীতিকদের অগ্রসর হতে হবে।
নিউইয়র্ক / ২৬ মে ২০১১
---------------------------------------------------------------------------
দৈনিক ভোরের কাগজ / ঢাকা/ ২৮ মে ২০১১ শনিবার প্রকাশিত

ছবি- এন্জেলা হ্যারিসন
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আল্লাহর সাহায্য

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৫ শে মে, ২০২৪ রাত ৯:৪০



দুই মেয়ের পরীক্ষা বিধায় আমার স্ত্রীকে লক্ষ্মীপুর রেখে আসতে গিয়েছিলাম। বরিশাল-মজুচৌধুরীর হাট রুটে আমার স্ত্রী যাবে না বলে বেঁকে বসলো। বাধ্য হয়ে চাঁদপুর রুটে যাত্রা ঠিক করলাম। রাত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডয়েজ ভেলে'র প্রকাশিত এই প্রামাণ্যচিত্রটি বেশ উদ্বেগজনক

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ২৫ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন বাহিনী থেকে প্রশ্নবিদ্ধ কর্মকান্ডে যুক্ত সৈনিকদের ইউ.এন. এর পিস কিপিং মিশনে পাঠানোর বিষয়ে ইউ.এন. এর কর্মকর্তাগণ বেশ উদ্বিগ্ন। এ বিষয়ে ডয়েচ ভেলে ক'দিন আগেই একটি প্রামাণ্যচিত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

নজরুলের চিন্তার কাবা প্রাচ্য নাকি পাশ্চাত্য?

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে মে, ২০২৪ ভোর ৫:০৫


কাজী নজরুলের বড় বিপত্তি তিনি, না গোঁড়া ধর্মীয় লোকের কবি আর অতিমাত্রায় বামের কবি, না হোদাই প্রগতিশীলের কবি। তিনি সরাসরি মধ্যপন্থীর। অনেককেই দেখি নজরুলের কিছু কথা উল্লেখ করে বলেন কাফের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘূর্ণিঝড় রিমাল সর্তকতা।

লিখেছেন কাল্পনিক_ভালোবাসা, ২৬ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৩

প্রিয় ব্লগারবৃন্দ,
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় রিমাল প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে এবং ইতিমধ্যে বাংলাদেশের উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে। সংশ্লিষ্ট অঞ্চলগুলোর ব্লগারদের কাছে যদি স্থানীয় ঝড়ের অবস্থা এবং ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে কোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিংশ শতাব্দীতে পৃথিবীতে চিরতরে যুদ্ধ বন্ধের একটা সুযোগ এসেছিল!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৬ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৩


মনে হয় শুধু মানুষের কল্পনাতেই এমন প্রস্তাবগুলো উপস্থাপন সম্ভব- যদি বাস্তবে হত তবে কেমন হত ভাবুন তো?
প্রত্যেকটি দেশের সমস্ত রকমের সৈন্যদল ভেঙে দেওয়া; সমস্ত অস্ত্র এবং সমর-সম্ভার, দুর্গ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×