বিষধর সাপ ঘুরে বেড়াচ্ছে দেশের এখানে সেখানে। ওরা সংখ্যায় অনেক। ঘুরছে দলবদ্ধ হয়ে, ধ্বংসাত্মক লক্ষ্য নিয়ে। পরিকল্পিতভাবে নিঁখুত ছক এঁটে এদের ছড়ানো হয়েছে চতুর্দিকে, সুনির্দিষ্ট সব টার্গেট দিয়ে। প্রাণঘাতি সাপ কখন কাকে ছোবল মারবে সন্তর্পণে চলছে চুলচেরা হিসেব-নিকেশ। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঠেকাতে, প্রজন্ম যোদ্ধাদের রুখে দিতে শুরু হয়ে যাওয়া বাঙালির দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধকে ব্যর্থ করে দিতে একদিকে চলছে পরিকল্পিত নারকীয় তান্ডব, চলছে চক্রান্ত-ষড়যন্ত্রের নিপূণ জাল বুনন। জালের সন্তর্পণ বিস্তৃতি, অপরদিকে জন-মাঠে ছেড়ে দেয়া মানুষরূপি বিষাক্ত সর্প দল। এদের বিষছোবলের প্রথম লক্ষ্য প্রজন্মযোদ্ধা সেনাপতিরা। লক্ষ্য দেশপ্রেমী বুদ্ধিজীবি রাজনীতিক আলেম সম্প্রদায়; এমনকি টার্গেটে রয়েছে এদের মিত্রপক্ষীয় উল্লেখযোগ নেতৃস্থানীয় পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ পর্যন্ত।
লক্ষ্য- চলমান বিশৃঙ্খলার পাশাপাশি চরম নৈরাজ্য ও অরাজকতার দিকে দেশকে ঠেলে দিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানো, যুদ্ধাপরাধী দল ধর্মান্ধ ধর্মব্যবসায়ী সকল অপশক্তিকে। পরিস্থিতির গভীর পর্যবেক্ষণ তাৎক্ষণিক ও সময়োচিত এবং প্রয়োজনে কঠোরতম ব্যবস্থা নিতে হবে সরকারকে বেপরোয়া মনোভাব নিয়ে। আর বাঙালির নবজাগরণের কা-ারি দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানী প্রজন্মযোদ্ধা নেতৃত্বকে থাকতে হবে সদা হুঁশিয়ার, উচ্চারণে-চলনে, বলনে হতে হবে সদা বিচক্ষণ। এগুতে হবে সুপরিকল্পিতভাবে দূরদর্শিতা নিয়ে। কোটি বাঙালি রয়েছে তাদের সাথে।