শিহাব বিছানায় শুয়ে ছটফট করছিল। বারবার শুধু মনের মাঝে ভেসে উঠছিল নিপার কান্না ভেজা মুখখানা। চোখ মুছছিল আর বলছিলদ শিহাব এমন তো কথা ছিল না। অনেক ক্ষণ শিহাব কথা বলছিল না। শুধু নিপার দিকে এক পলক তাকিয়ে শুধু নিচের দিকে তাকিয়ে ছিল। এভাবে কেটে যায় বেশ কিছুটা সময়। নিপা সহ্য করতে না পেরে শিহাবের জামার কলার চেপে ধরে বলছিল- তুমি একটা অমানুষ। শিহাব মুখ তুলে বললো হাঁ আমি একটা অমানুষ। তারপর নিপা কিছু বুঝে ওঠার আগেই শিহাব চলে গেল। নিপা আনমনে শিহাবের চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকলো। শিহাব জানতেও পারলো না- নিপার ভালবাসার গভীরতা কতটুকু। তবে শিহাব রাতে বিছানায় এসে প্রথম অনুভব করলো কেউ না কেউ তাকে ভালবাসে। মনে পড়ে যায় প্রথম দেখার দিনগুলো।
শিহাব ও নিপা পরস্পর দুর সম্পর্কের আত্মীয়। শিহাব সকল কাজের কাজী হলেও মেয়েদের দেখলে সে যেন গর্তে ঢুকে যায়। শিহাব যেমন গ্রামের ক্ষেত তেমনি নিপা শহুরে আধুনিকা উঠতি বয়সের কিশোরী কন্যা। নিপা শিহাবদের বাড়ীতে বেড়াতে এলেই শিহাবকে পেয়ে বসে। শিহাব পারলে বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। কিন্তু পারে না। নিপা কিভাবে যেন শিহাবকে হাতেই কাছেই পেয়ে যায়। শিহাব ভেবে পায়না- নিপার কাছ থেকে শিহাব যতই দুরে থাকতে চায় নিপা যেন ততই শিহাবের কাছে চলে আসে। একদিন সন্ধ্যায় শিহাব হারিকেন জ্বালিয়ে পড়ছিল। নিপা ঘরে প্রবেশ করেই বলল-
জানি আপনি অনেক ভাল ছাত্র, তাই বলে মেহমানকে সময় না দিয়ে পড়তে বসাটা মেহমানকে অবজ্ঞা করার সামিল।