প্রথম যখন টাইটানিক দেখি তখনি লিওনার্দোর ভক্ত হয়ে যাই।রোমিও রোমিও চেহারার এই ছেলেটার জাহাজ ধরার জন্য দৌড়ে আসা,প্রেমিকার স্কেচ করতে গিয়ে বারবার খেই হারিয়ে ফেলা,জাহাজ যখন ডুবি ডুবি করছিল প্রেমিকাকে একটি কাঠের টুকরোই উঠিয়ে নিজের ধীরে ধীরে জমে যাওয়া এই সব গুলো দৃশ্যই এখনো দেখতে গিয়ে নিজের অজান্তেই হেসে উঠি, কখনো বা চোখের কোনে চিকচিক করে উঠে জল।
তারপর আসি বাস্কেটবল ডায়েরিয মুভিটির কথায়।এই মুভিতে একজন মাদকাসক্ত ছেলের ভুমিকায় অভিনয় করে লিওনার্দো।ব্যাপারটা অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং ছিল।কিন্তু লিওনার্দো বরাবরই সফল।পুরো মুভিতেই সে যে অভিনয় করে তাতে তার প্রতি ভাল লাগা আরও এক ধাপ বেড়ে যায় আমার।ব্লাড ডায়ামন্ড, ডা বীচ,দা ডিপারটেড এর ব্যাপারেও আমার একই মত।
স্করসিসের সাটার আইল্যান্ড অবশ্য আমার কাছে একটা চমক হিসেবেই এসেছে।পুরো মুভিতে কাহিনির এত মারপ্যাঁচ যে মুভিটা খালি আমি দেখিনি রীতিমত গিলেছি।লিওনার্দোর করা টেডি ডেনিএলস চরিত্রটি পুরো মুভিটা জুড়ে এতটাই সাবলীল ছিল যে মুভিটা তিন তিনবার দেখেছি এখন পর্যন্ত(ভাল কথা আমার অবশ্য মুভি একবারের বেশি দেখায় এলারজি আছে। কিন্তু এই মুভিতে এইটা কই গেল আল্লাই মালুম )।
হলিওডে এখনকার ডিরেক্টরদের মধ্যে নোলানকে আমি বস মেনে নিয়েছি অনেক আগেই।নোলানের মুভিতে কেপ্রিও এটা শুনেই মাথা নষ্ট,আমার প্রত্যাশা হয়ে গিয়েছিল আকাশচুম্বী।প্রত্যাশার এতটুকু ব্যাতয় হয়নি ইন্সেপসন মুভিটাতে।নতুন মুভিগুলোর মধ্যে লাস্ট এই মুভিটা পুরোটা সময় জুড়ে একটা ঘোরের মধ্যে রেখেছিল।মুভিটা দেখে মুখ হা হয়ে গেছে, চোখ কপালে উঠে গেছে।দেখার পর খালি মনে হল আহা... কি দেখলাম??মুভিটা অসাধারন,সাথে সাথে অসাধারন লেগেছে কেপ্রিও কে।
অবশেষে এই আমি পুরোদুস্তুর কেপ্রিও ভক্ত।তার সম্পর্কে আমার একটা জিনিস মনে হয় সবসময় তার সব রকম চরিত্রের সাথে মানিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা অসাধারণ।তার করা ক্যারেক্টার গুলো একটার চেয়ে আরেকটার অনেক পার্থক্য কিন্তু সে সবজায়গায় সফল সমান ভাবে।
[sb]ব্লগে আর কে কে টাইটানিকের এই রোমিও ভক্ত আছেন,হাত তোলেন দেখি।ভাল কথা তাই বইলা অন্য হিরোরে ভালা লাগলে জানাইতে ভুইলেন না।দেখা যাক কোন জনে ফার্স্ট হয়??অনেকটা ব্লগিয় হিরোজরিপ আরকি।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মে, ২০১১ সকাল ১০:১৬