somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

!!!ঘটনার ঘনঘটা!!!

২০ শে মে, ২০১১ দুপুর ১২:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একটা প্রবাদ আছে: Once is "Happenstance", Twice is "Co-Incidence", The third time it’s "Enemy Action" কিন্তু যদি চতুর্থবার ঘটলে যে কী? সেটা জানা নাই। :|


গতকাল রাতে “বরগুনা“ থেকে “ঢাকায়“ ফেরার পথের ঘটনা বলি.... B-)
রাত ২:০০টা : ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে হঠাৎ বাস নষ্ট। বাসের ড্রাইভার বলল সবাই নামেন, ঠেলা দেওন লাগবো। /:) এক এক করে প্রায় সব যাত্রী নেমে ১ ঘন্টা বাস ঠেলা দিলাম বাসের যাত্রীরা। কোন লাভ হল না। শেষে বাসের সকল যাত্রী অন্য ৪/৫টা বাস ধরে ঢাকার উদ্দেশে আবার যাত্রা শুরু করলাম। :#) |-)

ভোর ৫:০০টা : আরিচা ফেরিঘাট। ফেরি ঘাটে ভিড়েছে, সব বাস নেমে যাচ্ছে কিন্তু ঘটনা কী? আমি যে বাসে বসে আছি সেটা নামে না কেন? সমস্যা কী? আবার কী হল? এই বাসে আমরা কয়েকজন আগের বাসের যাত্রী ছিলাম। তারা বলাবলি করছে, “কি যন্ত্রণা- তাড়াতাড়ি না পৌঁছলে ঝামেলায় পড়ে যাব যে।“ কিছুক্ষণ পর বাস চলা শুরু করল। এটাও রাস্তায় বারবার বন্ধ হয়ে গাবতলী পৌঁছল। উফঃ অবশেষে .........

সকাল ৮:৩০ : গুলিস্তান যাব, সেখান থেকে বাসায়। আবার বাসে উঠলাম। বাসে চরম পর্যায়ের ভিড়। অনেক ঠেলা-ঠেলি করে উঠে পড়লাম। কল্যাণপুর আসতে না আসতেই রাস্তার মাঝখানে বাস বন্ধ হয়ে গেল। বাসের যাত্রীরা দ্রুত নেমে যাচ্ছে, তাকিয়ে দেখি বাসের ভেতর ধোঁয়া। আগুন লাগল নাকি বাসে? দিকবিদিক চিন্তা না করে বাস থেকে নেমে দিলাম দৌড়। হায়-হায়!!! আজ কি বাসায় যেতে পারব না? হচ্ছেটা কি এইসব? যত যাই হোক বাসায় তো যেতেই হবে। আরেকটা বাসে উঠে পড়লাম, গন্তব্য গুলিস্তান। /:)

সকাল ৯:০০টা : বাসে বসে-বসে চিন্তা করছি, রাত থেকে একের পর এক ঝামেলা হচ্ছে। একবার দুইবার হলে মানা যায়; তাইবলে তিন-তিন বার। নাহ! কাহিনী তো একটা আছেই! তা না হলে বারবার কেন পথের মাঝে আটকে যাচ্ছি....কাকে যেন ফোন করব বলে মোবাইলটা পকেট থেকে বের করলাম ঠিক সেই মুহূর্তেই ...
!!!!ধাম!!!! :|:|:|
তাকিয়ে দেখি মোবাইলটা হাতে নেই এবং বাসটা দুলছে। দুলছে বললে ভুল হবে, বাস একবার ডানদিকের দুই চাকায় আর একবার বামদিকের দুই চাকায় ভড় করে তীব্র গতিতে ছুটে যাচ্ছে। আমি তো একেবারে স্তব্ধ! হাত-পা নাড়াতে পাড়ছিলাম না। বুদ্ধি প্রায় শুন্যের কোঠায় পৌঁছে গিয়েছিল। ড্রাইভারের মোটামুটি ১০-১৫ সেকেন্ড সময় লেগেছে বাসটাকে থামাতে। এই ক্ষুদ্র সময়টা আমার কাছে মনে হয়েছে কয়েক যুগ। ধরেই নিয়েছিলাম আমি শেষ।
ভাগ্য ভাল বাসটা উল্টে যায় নি; তা হলে কত মানুষ না নিহত হত। তদের মাঝে হয়তবা আমিও রাস্তায় মুখ থুবড়ে পড়ে থাকতাম।

বাস থেকে নেমে দেখি জায়গাটা আসাদগেট। বামদিক থেকে আসা একটি বাস ধাক্কা দেয়ায় এই দুর্ঘটনা। ধাক্কাটা লেগেছিল বাসের বামদিকে পিছনের অংশে।

কোন হতাহতের ঘটনা ঘটে নাই। শুধু বাসের বামদিকে যারা বসে ছিলেন তাদের কারও কারও হাত-পা থেতলে গেছে আর বাকিদের শরীরের কয়েক জায়গায় কেটে গেছে। আমি বাসের ডানদিকে বসা ছিলাম, ডানদিকের অন্যান্য যাত্রীদের মত আমারও তেমন একটা ক্ষতি হয়নি। ধাক্কার কারণে একটু ব্যথা পেয়েছি আরকি।


তারপর একটা CNG ভাড়া করে সরাসরি বাসায়। আর কোন দুর্ঘটনা ছাড়াই বাসায় পৌঁছেছি।

সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আজ অক্ষত অবস্থায় বাসায় ফিরেছি।
দুই দিন আগে বরগুনা গিয়েছিলাম বেড়াতে সাথে আমার আম্মা।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জুন, ২০১১ রাত ১১:২৯
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×