somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চক্ষে পড়িলেই বাধ্যতামূলক পাঠ্য যে পোস্টঃপৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর হাল হকিকত নিয়ে একটি ভয়ংকর পোস্ট

২০ শে মে, ২০১১ রাত ২:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর সন্ত্রাসী গ্রুপ গা শিউরিয়ে দেওয়ার জন্য এই শব্দগুলোই যথেষ্ট।তাদের মনে করলেই হত্যা,ধর্ষণ,ড্রাগ,সিরিয়াল কিলিং,অস্ত্র বিকিকিনি, আর বোমা মেরে নিস্তব্ধ করে দেওয়া কোলাহলময় স্বাভাবিক জীবন যাপন- এই সব গুলো ভয়ংকর জিনিস ই একসাথে চোখের সামনে ভেসে উঠে।কি করেনা এই গ্রুপ গুলো???অপরাধের সব অলিগলিতে বসবাস তাদের।জীবন তাদের কাছে নৃশংসতায় ভরা এক জঘন্য উপাখ্যান।

১।Aryan Brotherhood
আমেরকার সবচেয়ে বড় জেলহাউস গ্যাং গুলোর মধ্যে একটি।এখনকার সবচেয়ে ভয়ংকর সন্ত্রাসী গ্রুপ হিসেবে ধরা হয় এটিকে।যদিও এদের জেল্বন্দিদের সংখ্যা আমেরিকার জেলবন্দিদের মধ্যে ১% এর চেয়েও কম,কিন্তু পুরো আমেরিকার প্রায় ২৬% জেল হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয় এদের কারনে।সবচেয়ে অদ্ভুত আর বিস্ময়কর তথ্য হল এই গ্যাঙের সদস্য হতে হলে আপনাকে অন্য কোন জেল বন্দীকে হত্যা করতে হবে বা প্রহার করতে হবে আপনার শেষ সামর্থ্যটুকু পর্যন্ত।



২।The Mungiki
কেনিয়ার এই গ্যাং টি পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর গ্রুপ হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে শুধুমাত্র নিজেদের মধ্যযুগীয় বর্বরতার জন্য।কেনিয়ার দরিদ্রতম শহরগুলোতে বিশেষকরে নাইরুবিতে এটি নিজের একাধিপত্য স্থাপন করেছে বহু আগেই।পাশ্চাত্যের ঘোরতর বিরোধী এই গ্রুপটি এখনো শত্রুর মাথা কেটে ফেলা,মেয়েদের যোনিছেদ,শত্রুর লাশ কেটে টুকরো টুকরো করে ফেলা এইসব মধ্যযুগীয় কায়দা নিজেদের মধ্যে রেখে দিয়েছে পুরোপুরিভাবে।



৩।Black Guerrilla Family
১৯৬৬ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার জর্জ জ্যাকসন নামে এক ব্যাক্তির হাত ধরে এই গ্রুপটির আত্মপ্রকাশ।তখনকার আফ্রো- আমেরিকান সংঘর্ষের মধ্যে কৃষ্ণাঙ্গদের মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখতেই এই গ্রুপের সৃষ্টি।এরা মার্ক্সবাদী আদর্শে বিশ্বাসী।এই গ্যাঙের বর্তমান সদস্য সংখ্যা প্রায় ৫০০০০। প্রত্যক্ষ ভাবে রাজনীতিতে অংশ নেয়া এই গ্রুপটি ড্রাগ চোরাচালান আর সিরিয়াল কিলিং এর সাথেও জরিত। এই গ্রুপে যোগ দিতে হলে সদস্যদেরকে অবশ্যই কৃষ্ণাঙ্গ ও অন্য সদস্যের নমিনেটেড হতে হবে।



৪।Primeiro Comando da Capital
এটি ব্রাজিলের একটি নবীনতম কিন্তু ভয়ানক দুর্ধর্ষ একটি গ্যাং।১৯৩৩ সালে আট জন প্রিজনার মিলে এই সংঘটনটি শুরু করে।প্রচণ্ড ভাবে সরকার বিরোধী এই গ্রুপটি সবসময় সরকারি স্থাপনাগুলোতে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।শুদুমাত্র ২০০৬ সাল থেকেই সরকারি স্থাপনা গুলোতে ৩০০ বারের মত হামলা চালিয়েছে।পুরো গ্যাং টি চলে সদস্যদের টাকায়।এই গ্যাঙের সবাইকে একটি নির্দিষ্ট পরিমান টাকা দিতে হয়।জেলবন্দিদের জন্য এই পরিমান হল ২৭ ডলারের সমান,কিন্তু জেলের বাইরের সদস্যদের জন্য এটি ২৭০ ডলার।এই টাকার বেশির ভাগ ই খরচ হয় অবৈধ অস্র আর ড্রাগ কেনায়।



৫।Crips
ব্যাক্তিগত ভাবে আমি এই গ্রুপ টিকে আমার সবচেয়ে ভয়ংকর মনে হয়।১৯৬৯ সালে ষোল বছরের এক যুবকের দ্বারা যে গ্রুপটির শুরু সেটির এখন বর্তমান সদস্য সংখ্যা প্রায় ৩০০০০০।আমেরিকার একটা বিশাল অংশ জুড়ে এদের অবাধ রাজত্ব।আশ্চর্যের ব্যাপার হল এরা সবসময় নীল জামা গায়ে দিয়ে থাকেএটাকে তারা গ্রুপের আভিজাত্য মনে করে।আমেরিকার সব ধরনের অপরাধ যেমন মার্ডার,ড্রাগ ডিলিং,ব্যাংক ডাকাতি সবকিছুর সাথেই এই গ্রুপের একটা বিশাল অংশের রয়েছে অবাধ অংশগ্রহণ।





সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মে, ২০১১ রাত ২:০০
২৯টি মন্তব্য ২৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×