রোদসকাল ছিঁড়ে-কুঁটে গহীন গাঢ় পথে
হেঁটে গেছো তুমি, বড়বেশী ব্যথিত করে।
তোমার না ফেরা পথের ধুলোয়
কোনো এক নারী
সিঁথির সিদুঁর মুছে রেখে এলো।
এঘর ওঘর বিষণ্ন স্তব্ধতার রাত;
তোমার আশায়
কয়েকটি শিশুর চোখ আজও
একেলা একা ডেকে ফেরে
বাতাসে ভাসে মেঘের কান্না।
তুমি আর ফিরবে না বলে
পাখিরা পালকে লুকায়েছে মুখ;
গ্রীষ্মরোদ্দুর ভিজেছে বৈশাখী বাদলজলে।
তুমি আর ফিরবে না বলে
বাড়ীর দরজারা নিঃশব্দে
তুলেছে তুমুল জং-ধরা শব্দের ক্রন্দন।
পুকুরঘাটে বাঁধানো সিঁড়ির উপর
দু'টি আনমনা পাখি কী ভেবে বসেছিলো
কাল সারা সন্ধ্যার অন্ধকার মেখে।
মায়ের যায়নামাযের প্রতিটি জরীর সূতো
ভিজেছে কাল পবিত্র অশ্রুজলে আর
বুকফাঁটা শূন্যতায় উড়েছে হু হু বহুদূর;
বেদনা ফিরেছে তাঁর মৃত্যুলাশের গন্ধমেখে।
তুমি আসবেনা বলে
বাড়ীময় শূন্যতার শশ্মান;
বিগত মুহূর্তগুলো মুছে মুছে ঘাসফুল
আর দেওয়ালে ঝুলানো ছবির মাঝে বেঁধে রাখি আজও।