নারায়ণগঞ্জে কবি শাহেদ কায়েসের ওপর হামলার ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে।
Published : 26 Jul 2013, 03:52 PM
বৃহস্পতিবার দুপুরে মেঘনা নদীর নলচর বালু মহাল এলাকায় একদল সন্ত্রাসী সোনারগাঁওয়ে সুবর্ণগ্রাম ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শাহেদকে তুলে নিয়ে যায়। পরে বিকেলে কুমিল্লার মেঘনা থানার রামপুরা এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে একটি বালু উত্তোলনকারী ইজারাদার প্রতিষ্ঠানের ছয় জনের নাম উল্লেখ করে সোনারগাঁ থানায় ওই মামলা করেন শাহেদ।
সোনারগাঁও থানার ওসি আতিকুর রহমান জানান, মামলায় ইজারাদার প্রতিষ্ঠান শাহজালাল এন্টারপ্রাইজের জাকির হোসেন, মহসিন, ওয়াসিম, জাকারিয়া, ওসমান মেম্বার ও হোসেনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত পরিচয় আরো ২০/২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এর মধ্যে ওয়াসিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি।
এদিকে শুক্রবার সকালে এ ঘটনায় দায়ীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চ।
মঞ্চের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বি অভিযোগ করেন, কুমিল্লার স্থানীয় সাংসদ সুবিদ আলী ভূঁইয়া ও বালু মহালের ইজারাদার সেলিনা ইসলামের নির্দেশেই শাহেদ কায়েসকে অপহরণ করে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়।
তিনি বলেন, অবৈধ বালু উত্তোলনে বাধা দেয়ায় শাহেদ কায়েসসহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে সোনারগাঁও ও কুমিল্লা সদর থানায় সাতটি মিথ্যা মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
মানববন্ধনের ব্যানারেও শাহেদ কায়েসের ওপর হামলার অভিযোগে সুবিদ আলী ভূঁইয়া ও সেলিনা ইসলামকে গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সংগঠনের সদস্য সচিব কবি হালিম আজাদ, জেলা সিপিবি সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সভাপতি এ বি সিদ্দিক, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট সভাপতি প্রদীপ ঘোষ বাবু, সাবেক সভাপতি ভবানী শংকর রায়, গণসংহতি আন্দোলনের নেতা তরিকুল সুজন, সংস্কৃতিকর্মী আফসার বিপুল প্রমুখ বক্তব্য দেন।
তবে ত্বকী মঞ্চের অভিযোগ অস্বীকার করে রাত পৌনে ৯টার দিকে সাংসদ সুবিদ আলী ভূঁইয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও বিভ্রান্তিকর। বালু উত্তোলনের সঙ্গে কে বা কারা জড়িত সে সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না।