somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অসুস্থ্য আমি এবং রাত

১৬ ই মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজ তিনদিন যাবত অসুস্থ্য । সব কিছুকে ভীষণ ভারী মনে হচ্ছে । মানুষকে, মানুষের অস্তিত্বকে । হাঁটা চলা সব কিছু যেন অযৌক্তিক । শুতে গেলে মন বিদ্রোহী হয়ে ওঠে । আবার হাঁটতে গেলে শরীর ভারী মনে হয় । যদিও একবারও হোচট খেয়ে পড়ে যাইনি, আল্লাহর অশেষ কৃপা! তার পরও মন বলে পড়ে যাব ।

অসুখটা হল গলা ব্যাথা, সাথে হালকা জ্বর । জ্বরটা অবশ্য সব সময় না মাঝে মাঝে এসে হানা দেয় । এতে আমার কোন সমস্যা হচ্ছে বরং ভালোই লাগছে । কারণ, গরমের দিন হালকা শীত শীত ভাব । কম্বলের উত্তাপ ভালোই । কিন্তু গলা ব্যাথা নিয়ে পড়ছি মহা ফ্যাসাদে । কিছু খেতে পারিনা আবার লালা গিলতে খুব কষ্ট হয় । মাছের কাঁটা বিঁধলে যেমন হয়। ডাক্তারের কাছে গেলাম প্রথম দিন দিল নাপা এক্সট্রা, গ্যাস্ট্রিক ইত্যাদির ওষুধ । আরো কি একটা ওষুধ নাম মনে নেই । দুই দিন খাওয়ার পরও সেই আগের মত। সারার কোন লক্ষণ নেই । আবার গেলাম বলল এন্টিবায়োটিক দেয়া যাবেনা আরো দুই একদিন দেখতে হবে । আমি বললাম ঠিক আছে আপনি যা দেন। তবে এমন ওষুধ দেন যাতে আমার অসুখটা সারে। সহ্যের সীমা অতিক্রম করেছে গলা ব্যথাটা । দিল ডাইক্লোফেনাক ১০০ এম জি , আবার সেই নাপা ,গ্যাসের ওষুধ তো আছেই। একদিন খেলাম । কিছুই হয় নাই আবার গেলাম এবার গিয়ে আমি নিজ থেকেই বললাম ডাক্তার সাহেব: এন্টিবায়োটিক ছাড়া বোধহয় উপায় নাই ।

রাতে খাবারের পর যথারীতি ডাক্তারের কথা অনুযায়ী ওষুধ খেয়ে ঘুমানোর চিন্তা করলাম । জ্বরটা এবার মাথাচাড়া দিয়ে আসছে । কম্পিউটারের সামনে বসার ক্ষমতা নাই । অথচ ঘুমানোর পূর্বের রুটিন হল একবার পত্রিকা পড়া । মশারী টানিয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করলাম, ঘুম এসে গেল । মনে আনন্দ । আমি ভাবছিলাম ঘুম আসবেনা । ঘুমের মধ্যে নানা স্বপ্ন দেখছি ।

একটা কথা বলতে ভুলে গেছি এবার ঢাকা থেকে আসার সময় ফেলুদা সমগ্রের ১ম খন্ড, আর সৈয়দ শামসুল হক এর সন্ধ্যাকাল নিয়ে এসেছি । সন্ধ্যাকাল অবশ্য আসার পরের সন্ধ্যায়ই খতম করে ফেলছিলাম । কিন্তু ফেলুদা তো আর সন্ধ্যাকালের মত না । ইয়া বড় ৬৯৪ পৃষ্টার বই । অসুস্থ্য হওয়ার দুই দিন আগ থেকে শুরু করছিলাম এখন ৫৫০ পৃষ্টায় আছি । এ বইগুলো কিনার সময়কার একটা মজার অভিজ্ঞতা আছে । এবারই আমার এক ক্লোজ বন্ধুর সাথে গেলাম ২১শে বই মেলায় । আসার সময় দেখলাম আমার বন্ধুটির হাতে অনেকগুলো বই । কিন্তু আমি একটা বইও কিনিনি । আমি বই কিনিনি দেখে বন্ধুর মন খারাপ। তাই তাকে খুশি করতে গিয়ে বললাম যে বই কিনব । এবং এমন বই কিনব যে গুলো কোন দিন পুরান হবে না । অর্থাৎ যখনই পড়ব মনে হবে নতুন বই পড়ছি । কিনা শুরু করলাম । কিনতে কিনতে শেষে দেখি উনার থেকে আমার বেশী না হলেও কম না । প্রায় কাছাকাছি । বই কিনতে কিনতে খেয়ালই করিনি যে আমাদের ম্যানি ব্যাগের স্বাস্থ্যের অনেক আগেই ভাটা পড়ছে এমন কি আসার ভাড়াটা পর্যন্ত নাই ।

যাক ঘুমের ভিতরে স্বপনের কথা বলছিলাম । স্বপ্নে দেখি আমি ফেলুদা ,না না ফেলুদা না । ফেলুদার মত গোয়েন্দা হয়ে গেছি এবং একটা কেইস এর তদন্ত করছি । কিন্তু ফেলুদার মত হয়না লালমোহন গাঙ্গুলী উরফে জটায়ুর মত (জটায়ু হলেন ফেলুদা বইয়ের একটা চরিত্র যিনি অদ্ভুত সব রহস্য-উপন্যাস লেখেন ) খালি গুলমাল লেগে যায় । এভাবে কতক্ষণ দেখার পর দেখলাম যে না আমি ফেলুদা না আসলে আমি সত্যজিৎ রায় । অর্থাৎ ফেলুদার লেখক এর মত । আমার মনে হচ্ছে আমি গোয়েন্দা উপন্যাস লিখে যাচ্ছি । কিন্তু সত্যজিৎ রায়ের মত এতো সুন্দরভাবে হচ্ছেনা । বার বার চেষ্টা করার পরও । খালি প্যাচ লেগে যায় আগের কথা পরে আসে পরের কথা আগে চলে যায় । বিশাল এক ফ্যাসাদের মাঝে ছিলাম ।

হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে গেল মনে করলাম যাক বাঁচা গেল । কী প্যাঁচের মাঝেই না পড়ছিলাম । ভেন্টিলেটরের দিকে লক্ষ্য করলাম যে হালকা আলো আসছে মনে মনে খুশি হলাম সকাল হয়ে গেছে ভেবে । বালিশের কাছে মোবাইল ছিল হাতড়িয়ে বের করে দেখি ১.১২ বাজে । দেখে তো আমার মাথা খারাপ । এতো স্বপ্ন দেখলাম । এতো পাণ্ডুলিপি লেখলাম । আর সময় গেল মাত্র ১ ঘন্টা ।

আসলে ঐ আলোটা ছিল চাঁদের। আগেই বলা দরকার ছিল আমি শুতে এসেছিলাম ১২.০০ টায় । বিছানা ছেড়ে কম্পিউটার ওন করলাম। তার পর ফেইস বুকের নোট প্যাডে গিয়ে লেখা শুরু করলাম ।

আমার এ লেখা হচ্ছে টাইম পাস করার একটা অজুহাত । আর সত্যিই আমার টাইমটা অনেক সুন্দর ভাবে কেটেছ ।কারণ এখন রাত ৩.৫৬ ।

লেখাটি ১০/০৫/১১ ইং রোজ মঙ্গল বার রাত ১.৩০ মিনিটের ।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মে, ২০১১ রাত ১২:১৬
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

---অভিনন্দন চট্টগ্রামের বাবর আলী পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয়ী---

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:৫৫





পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেছেন বাবর আলী। আজ বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টায় এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন তিনি।

রোববার বেসক্যাম্প টিমের বরাতে এ তথ্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সমাধান দিন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩১




সকালে কন্যা বলল তার কলিগরা ছবি দিচ্ছে রিকশাবিহীন রাস্তায় শিশু আর গার্জেনরা পায়ে হেটে যাচ্ছে । একটু বাদেই আবাসিক মোড় থেকে মিছিলের আওয়াজ । আজ রিকশাযাত্রীদের বেশ দুর্ভোগ পোয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে গরু দুধ দেয় সেই গরু লাথি মারলেও ভাল।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২০ শে মে, ২০২৪ রাত ১২:১৮


০,০,০,২,৩,৫,১৬, ৭,৮,৮,০,৩,৭,৮ কি ভাবছেন? এগুলো কিসের সংখ্যা জানেন কি? দু:খজনক হলেও সত্য যে, এগুলো আজকে ব্লগে আসা প্রথম পাতার ১৪ টি পোস্টের মন্তব্য। ৮,২৭,৯,১২,২২,৪০,৭১,৭১,১২১,৬৭,৯৪,১৯,৬৮, ৯৫,৯৯ এগুলো বিগত ২৪ ঘণ্টায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×