somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হোম দৃষ্টিকোণ দেশকে সঠিক ধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে দেশকে সঠিক ধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে

১৬ ই মে, ২০১১ দুপুর ১২:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


লেখক: মাহবুব-উল-আলম খান | রবি, ১৫ মে ২০১১, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪১৮


জাতি আজ এক ক্রান্তিকালে; ধর্ম ব্যবসায়ীরা, ফতোয়াবাজরা মাঠে নেমেছে। পেছনে জামায়াত-বিএনপির ইঙ্গিত তো আছেই। বিডিআর হত্যা ষড়যন্ত্র দিয়ে এই অশুভ তত্পরতার শুরু। একের পর এক নাটকের রিহার্সেল হচ্ছে। বিরোধী দলের এখন এক নম্বর ও প্রধান এজেন্ডাই হচ্ছে সরকারকে ফেলে দেয়া, সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার বানচাল করা। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারপ্রক্রিয়া সুষ্ঠু গতিতে এগোচ্ছে বলে মনে হয় না। এই কাজটি শুরু করার আগে সব ধরনের আটঘাট বেঁধেই নামা প্রয়োজন ছিল। যা হোক, কাজটি সুষ্ঠুভাবে যাতে সম্পন্ন হয় এ ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। বিরোধীদলীয় নেত্রী সপরিবারে ওমরাহ হজ্জ ও চিকিত্সা শেষে দেশে ফিরেছেন বেশ ক’দিন আগে। এসেই নতুন নতুন কর্মসূচি দিচ্ছেন। এখন আবার আমেরিকা পাড়ি জমায়েছেন। সেখানেও নানাবিধ কর্মকাণ্ডের জন্য গেছেন মনে হচ্ছে। সরকার এক মুহূর্তও স্থির থাকতে পারবে না। সরকারের সব কর্মকাণ্ড কেমন অসমন্বিতভাবে চলছে। বিরোধী দলের এখন একমাত্র এজেন্ডা হলো কীভাবে কত তাড়াতাড়ি সরকারকে ফেলে দেয়া যায়। তাদের নানাবিধ নেতা-নেত্রীর কথাবার্তায় তাই পরিষ্কার। দেশ ও জাতির কল্যাণের জন্য তাদের কোনো এজেন্ডা হাতে আছে কি না বোঝা যাচ্ছে না। ২০০১-২০০৬ পর্যন্ত গ্রাম-গঞ্জে শত অত্যাচার, অবিচার, অন্যায়, অনিয়ম, হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠনের কোনো বিচার শুরু হতে দেখা যাচ্ছে না। অপরাধের বিচার না হলে, অপরাধীর শাস্তি না হলে আইনের শাসন কায়েম হবে না।

গত ০৪/০৪/২০১১ইং মৌলানা ফজলুল হক আমিনী হরতাল পালন করলেন। এতে বিএনপি-জামায়াতের সমর্থন ছিল। মির্জা ফখরুল বলেন, আমিনীর হরতালেই সরকার কাহিল। তারা সবাই অর্থাত্ বিএনপি-জামায়াত চারদল, মৌলবাদী, জঙ্গিরা সবাই মিলে হরতাল দিলে সরকারের অবস্থা কী হবে? আমিনীর বাহিনী হরতালে কেরাত, লাথি, লাঠি ও নানাবিধ অস্ত্রের যে প্রদর্শনী দেখালেন মনে হচ্ছে তারা বিশেষ একটি এজেন্ডা, কারো ইঙ্গিতে সারাদেশে অরাজকতা সৃষ্টির কুউদ্দেশে মাঠে নেমেছেন। প্রস্তাবিত নারীনীতিতে যেখানে কোরআন-সুন্নাহর বিরুদ্ধে কিছু নেই, তারপরও হরতাল ডাকা শয়তানের কাজ ছাড়া আর কিছু নয়। দেশের নারী সমাজকে ঐক্যবদ্ধভাবে এসব হঠকারিতা মোকাবিলা করা ফরজ কাজ। বিএনপি, অন্যান্য দলের সব বোনের আকুল আহ্বান, মৌলবাদীদের এই দেশ ধ্বংসকারী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়ান। ক্ষমতার জন্য আপনাদের নেতা-নেত্রীকে উপযুক্ত পরামর্শ দিন। আমাদের দুর্ভাগ্য রক্ত দিয়ে অর্জিত স্বাধীনতার ৪০ বছর বয়সের ৩০ বছরই শাসন করেছে সামরিক শাসকরা। এরা পাকিস্তানি ধ্যান-ধারণা লালন-পালন করেছে। অনিয়ম, অন্যায়, হত্যা, লুণ্ঠন ও দুঃশাসনকে এরা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে। স্বাধীনতার তিন বছরের মাথায় জাতির জনককে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে যে অশুভ, পশ্চাদমুখী ধারা শুরু হয়েছে জাতিকে মূল সুস্থ ধারায় ফিরিয়ে আনা কঠিন হয়ে পড়েছে। ২৯ ডিসেম্বর ২০০৮-এর নির্বাচনে বিজয়ী মহাজোটের সামনে এখন কঠিন চ্যালেঞ্জ। প্রত্যেকটি মন্ত্রণালয়ের কাজকে সুষ্ঠু গতিতে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। অভিজ্ঞ ও দক্ষ রাজনীতিবিদদের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে নিয়োজিত করতে হবে। ৫ বছরের অর্ধেক সময় পেরিয়ে গেছে। মন্ত্রিসভায় পরিবর্তন একান্ত অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। রাজনীতিতে, প্রশাসনে গুণগত পরিবর্তন সময়ের দাবি। দক্ষ ও কমিটেড আমলা ছাড়া দিনবদলের স্বপ্ন বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। খালেদা জিয়া বলেন, তিনি সব খবর রাখেন। আমলাদের প্ররোচিত করার চেষ্টা করছেন। অতএব, সাধু সাবধান। গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত কর্মস্থলে নিয়োজিত কর্মকর্তাগণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের সাথে খাপ খাওয়াতে না পারলে কাজের সুষ্ঠু গতি ব্যাহত হবে, বাধাগ্রস্ত হবে। তাই দক্ষ ও কমিটেড আমলাদের উপযুক্ত ও গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন জরুরি হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে সরকারপ্রধানের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সরকারকে এসব চিন্তা করতে হবে। সরকারের মহতি প্রচেষ্টাগুলো যাতে বাধাগ্রস্ত না হয়, বিলম্বিত না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।

কৃষিতে, শিক্ষায়, শিল্পে, তথ্যপ্রযুক্তিতে, নারী অধিকার উন্নয়নে, খাদ্যে, বিদ্যুতায়নে, যোগাযোগে যে গতিধারা, অন্যান্য ক্ষেত্রে তেমন গতিধারা পরিলক্ষিত হচ্ছে না। সব মন্ত্রণালয়ের কর্মকাণ্ডে গতিশীলতা আনতে হবে। নির্বাচনী অঙ্গীকার যথা সময়ে শেষ করা অপরিহার্য। জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়িত করতে হবে। মানুষের কল্যাণে গৃহীত কর্মসূচি দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। বিরোধী দল সরকার পতনের ডাক দিয়েছে। মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবি করে, অরাজকতার মাধ্যমে দেশে অচলাবস্থা সৃষ্টি করতে চায়। এদেশের মানুষ ২০০১-২০০৬-এর অন্ধকার যুগে আর ফিরে যেতে চায় না। মানুষ চায় উন্নয়ন ও কল্যাণ। সরকার দিনবদলের স্বপ্ন দেখেছে। কিন্তু দিনবদলের স্বপ্ন বাস্তবায়নের কারিগর কোথায়? ২০০১-২০০৬-এর কারিগর দিয়ে মহাজোট সরকারের স্বপ্ন বাস্তবায়ন অবাস্তব কল্পনা। ঘাপটি মেরে থাকা কুশীলবরা ধীরস্থির মস্তিষ্কে সব স্যাবোটেজ করছে ও করবে। সরকারের নীতি-নির্ধারকদের নজরে কি এসব আছে? না থাকলে সাবধান হোন। নির্বাচনী অঙ্গীকার দ্রুত বাস্তবায়ন করে জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে। জাতির জনকের অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়ন করে এদেশের দুঃখী মানুষের মুখে ফোটাতে হবে অনাবিল হাসি। লাইনচ্যুত এ জাতিকে ফিরিয়ে আনতে হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারায়। আমাদের সব প্রয়াস মানুষের কল্যাণে, উন্নয়নে ও একটি আধুনিক ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্য।


০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=কবিতাগুলো যেনো এক একটি মধুমঞ্জুরী ফুল=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৩ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:২০



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনের মাধুরী মিশিয়ে যে কবিতা লিখি
কবিতাগুলো যেনো আমার এক একটি মঞ্জুরী লতা ফুল,
মনের ডালে ডালে রঙবাহারী রূপ নিয়ে
ঝুলে থাকে কবিতা দিবানিশি
যে কবিতার সাথে নিত্য বাস,
তাদের আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিরে দেখা - ১৩ মে

লিখেছেন জোবাইর, ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:০৩

১৩ মে ২০০৬


দমননীতির অদ্ভুত কৌশল
সরকার নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী দলের ওপর দমন নীতির আশ্রয় নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দ্রুত বিচার আইন ও পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে দমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাঁচা আম পাড়ার অভিযান

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২



গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরের বাড়ীয়া ইউনিয়নের দেউলিয়া গ্রামে আমার প্রায় ৫২ শতাংশ জমি কেনা আছে। সেখানে ছোট একটি ডোবা পুকুর, অল্প কিছু ধানের জমি আর বাকিটা উঁচু ভিটা জমি। বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

×