somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আজ ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিব।

১৬ ই মে, ২০১১ রাত ১:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজ ১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ৩৫ বছর আগে ১৯৭৬ সালের এইদিনে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চে নেতৃত্ব দিযে়ছিলেন। আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ডাকে সারা দেশের লাখো মানুষ গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যা আদাযে়র সংগ্রামে ফারাক্কা অভিমুখে মিছিলে অংশ নেয়। দেশের প্রাকৃতিক বিপর্যযে় জনদুর্ভোগের আশঙ্কায় মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী জনগণকে সঙ্গে নিযে় ফারাক্কা অভিমুখে মিছিল করে ভারত সরকারের কাছে প্রতিবাদ জানান। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মহলের কাছে বিষয়টি তুলে ধরেন তিনি।
প্রতিবেশী ভারত কলকাতা বন্দরের নাব্যতা বৃদ্ধির অজুহাতে ফারাক্কায় বাঁধ নির্মাণ করে ভাগীরথী নদীতে গঙ্গার পানি প্রবাহ ঘুরিযে় দেযা়র উদ্যোগ নেয়। ফলে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পদ্মা নদী (যা গঙ্গারই মূল প্রবাহ) মৃত নদীতে পরিণত হওযা়র শঙ্কা দেখা দেয়। বাংলাদেশের উত্তর এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কৃষি, শিল্প, মৎস্য সম্পদ, বনজ সম্পদ এবং জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের উপক্রম হয়। ভারত ১৯৫১ সালে ফারাক্কায় বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর গঙার পানি বন্টন নিযে় আলোচনা শুরু করে। ১৬ মে ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীরা এক যৌথ ঘোষণায় বলেন যে, গঙ্গায় কম পানি প্রবাহের কালে (পিরিয়ড) সঠিক পানি বন্টন নিযে় তারা একটা চুক্তি করবেন। ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের এক সম্মেলনে এ সিদ্ধান্ত নেযা় হয় যে, উভয় দেশ একটি চুক্তিতে আসার আগে ভারত ফারাক্কা বাঁধ চালু করবে না। যদিও বাঁধের একটি অংশ পরীক্ষা করার জন্য বাংলাদেশ সরকার ১৯৭৫ সালে দশ (২১ এপ্রিল ১৯৭৫ থেকে ২১ মে ১৯৭৫) দিনের জন্য ভারতকে পরীক্ষামূলকভাবে গঙ্গা হতে ৩১০ থেকে ৪৫০ কিউসেক পানি অপসারণ করার অনুমতি দেয়। কিন্তু ভারত ১৯৭৬ সালের শুষ্ক মৌসুম পর্যন্ত গঙ্গা হতে ১১৩০ কিউসেক পানি অপসারণ করে পশ্চিমবঙ্গের ভাগিরথী - হুগলি নদীতে প্রবাহিত করে।
এর প্রতিবাদে মাওলানা ভাসানী ফারাক্কা অভিমুখে ১৯৭৬ সালের ১৬ মে লংমার্চ কর্মসূচি পালন করেন। এরপর থেকে এ দিনটি ফারাক্কা দিবস হিসেবে পালিত হযে় আসছে।
ফারাক্কা দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বাণী দিযে়ছেন প্রধান বিরোধী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বাণীতে তিনি বলেন, ফারাক্কা দিবসের তাৎপর্য প্রাসঙ্গিক। ১৯৭৬ সালে রাজশাহী থেকে ফারাক্কা অভিমুখে মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানীর লংমার্চ আধিপত্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে ন্যায্য পাওনা আদাযে়র সংগ্রাম আজও দেশবাসীর মনে অনুপ্রেরণা যোগায়। তিনি আরো বলেন, ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবাহিত ৫৪টি অভিন্ন নদীতে ভারত আর্ন্তজাতিক আইন-কানুন ও কনভেনশনের তোযা়ক্কা না করে একতরফাভাবে বাঁধ, গ্রোযে়ন, স্পার নির্মাণ করছে। ফলে নদীর ধারা ব্যাহত হচ্ছে। ভারতের সর্বশেষ টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগে বাংলাদেশ মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পডে়ছে।
এদিকে দিবসটি পালন উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন নানা কর্মসূচি পালন করবে। জাতীয়তাবাদী কৃষকদল সোমবার ভাসানী মিলনায়তনে আলোচনা সভার আযো়জন করেছে।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কৃষ্ণচূড়া আড্ডার কথা

লিখেছেন নীলসাধু, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০২



গতকাল পূর্ব নির্ধারিত কৃষ্ণচূড়ায় আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম আমরা।
বছরের একটি দিন আমরা গ্রীষ্মের এই ফুলটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে প্রকৃতির সাথে থাকি। শিশুদের নিয়ে গাছগাছালি দেখা, ফুল লতা পাতা চেনাসহ-... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×