somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভালোবাসা বনাম কঠিন বাস্তবতা! :((:((:((

১৪ ই মে, ২০১১ সকাল ১০:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


কি যে হলো আমার একদমই বুঝতেছি নাহ!!

আমি তো কখনও এত আবেগপ্রবন ছিলাম না, ছিলাম না বাস্তব জগত থেকে এত দূরে। তবে কেন আবেগপ্রবন এই ব্যাপারগুলো আমাকে আজ এত বেশি স্পর্শ করে যাচ্ছে?

সব কিছুর মুলে কে? আমি না তুমি? যেকোন জনই হতে পারে! হয়তবা কেউই না হতে পারি আমরা!!

তুমি কি একবারও মনে করতে পারো সেই আমাদের শুরুটা! কিভাবে কিভাবে কথায় কথায় হলো পরিচয়, সেখান থেকে বন্ধুত্ব! আজ এত দূর! কিন্তু বিশ্বাস কর, তুমি সেদিন বলেছিলে যে আমরা দুজন কি খুব ভালো বন্ধু হতে পারি না? অনেক ভেবে চিনতে আমি বলেছিলাম, হ্যাঁ পারি তো অবশ্যই। আমার ভাবনা দেখে তুমি আবার জিজ্ঞাসাও করেছিলে, কোন সমস্যা? হয়ত বড় কোন সমস্যা না থাকার কারনেই আমি বলেছিলাম, না! কোন সমস্যা বলে কি মনে হচ্ছে?

আমি সেদিন হিসেব করিছিলাম খুব ভালো করেই যে, তোমার আমার মধ্যে কি কি কারণে কোন সিরিয়াস রিলেশন হওয়া সম্ভব না। যার হাজারটা যুক্তিযুক্ত কারনও আছে এবং তুমিও সেটা খুব ভালো করে জানো! তবে কেন তুমি আজ আমাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছ তোমার দিকে, তোমার ভিতরে, তোমার অতল গহ্বরে? কেনো? আমি জানতে চাই? হয়তো এর কোন সুনির্দিষ্ট কারন তোমার কাছেও নাই! মানুষের জন্মগত কিছু আকর্ষনের কারনেই হয়তবা ফলের কথা না ভেবে আপাত খনিক সুখের মোহে এত দূরে আসা! হয়তোবা অন্য কিছু! আমি জানি না!

আমি তোমাকে অনেক অনেক ভাবে সরাসরি বা অনেক সময় রুপক অর্থে বোঝানোর চেষ্টা করেছি যে সিরিয়াস কোন চিন্তা ভাবনা করার কোন ইচ্ছা বা সামর্থ বা অবস্থা আমার এখন নাই। অনেকবার অনেকভাবে বলার, বুঝানোর চেষ্টা করেছি। তুমি খুব ভালো করে ব্যাপারটা বুঝতেও পেরেছ বলে আমার বিশ্বাস। তবে কেন আজ এত ব্যাপারটাকে টেনে এত দূরে নিয়ে যাবে?

ধীরে ধীরে তুমি আমাকে বলেছ, আমাকে জানিয়েছ, তোমার বুকের ভিতর অনেক দিনের অনেক ঘাত প্রতিঘাতের আঘাতের কারণে জমে থাকা একরাশ কষ্টের কথা। আমি আমার জায়গা থেকে চেষ্টা করেছিলাম তোমার ওই কষ্টগুলোকে খনিকের জন্য হলেও দূর করে দেওয়ার। কিন্তু প্রতিবারই, প্রতিটি মুহুর্ততে আমি তোমাকে বোঝাতে চেয়েছি বাস্তবতার কথা, কঠিন বাস্তবতার কথা। কিন্তু কেন তুমি একটুও বোঝ না? তোমার দুঃখগুলো দূর করাটাই কি আমার অনেক বড় অপরাধ ছিলো?

তুমি আমাকে একটা জিনিস বার বার বোঝানোর চেষ্টা করেছ যে তুমি কখনও ভালোবাসা নামক জিনিসটা পাও নাই। তুমি চাও যে তোমাকে খুব গভীরভাবে তোমাকে কেউ ভালোবাসুক, তোমাকে কাছে টেনে নিক, তোমাকে আগলে রাখুক সারাটা জীবন। আর তাই আমি তোমাকে অনেক অনেক বার বলেছি, আজও বলি, ভালোবাসার একজন মানুষ খুজের নিতে, বিশ্বাস কর সে তোমাকে অনেক অনেক বেশী সুখে রাখবে। যেটা আমার দ্বারা ঠিক এই মুহুর্তে অসম্ভব। আমি যে এখন জীবন যুদ্ধে অবতীর্ন হতে যাচ্ছি। পড়াশুনার শেষ পর্যায়ে এসে উপনিত। নামতে হবে জীবনের কঠিন বাস্তবতায়। আমি জানি কত কঠিন সেই বাস্তব জগতটা, কত কঠিন। নিজের পায়ে খুব ভালো করে দাড়ানোর পুর্বে তো আমি আর কিছুই ভাবতে পারছি নাহ। নাকি তুমি চাও আমি আমার জীবনকে তোমার জন্য সেক্রিফাইস করে সব কিছু ফেলে তোমার কাছে চলে আসি, তোমাতেই মজে যাই, আমাদের দেশের আর দশটা ছেলের মত!!! নিশ্চয়ই তুমি তা চাও না। তবে কেন তুমি আমাকে, আমার বাস্তবতাকে, আমাদের বাস্তবতাকে একটুও বুঝতে চেষ্টা করো না?

তুমি এই কথা অকপটেই বলতে পারবে যে, তোমার প্রতি আমি একবারও একটি খনের জন্যও বিন্দুমাত্র দুর্বল হইনাই, যদিও আমরা পরিস্থিতির শিকার হয়ে অনেকবার অনেক কাছাকাছি এসেছি। আমি কখনো আমার প্রতি তোমার দুর্বলতাটাকে সুযোগ হিসেবেও গ্রহন করি নাই। আমি যেদিন থেকে বুঝতে পেরেছি আমার প্রতি তোমার দুর্বলতার কথা সেদিন থেকেই তোমাকে বাস্তবতা বুঝানোর চেষ্টা করেছি, অনেকবার, অসংখ্যবার। তুমিও প্রত্যেকবার বুঝেছো, তার পরেও কেন তুমি বুঝেও বুঝো না, কেন পারো না নিজেকে স্থির রাখতে। আমার দিকটা কি তুমি একবারও ভেবে দেখবে না?

আমিও একজন জলজ্যান্ত মানুষ। আমি আর কতক্ষন পারি, নিজেকে ঠিক রাখতে, যদি অন্য দিক থেকে একতরফা ভাবে চাপ আসতেই থাকে, আসতেই থাকে, প্রতিটি মুহুর্তে, প্রতিটি ক্ষণে। আজ আমি আর পারছি না আর আগের মত নিজেকে শক্ত রাখতে। জানি না, কতক্ষনই বা আর পারবো। প্লিজ, তুমি একটি বারের জন্য, একটু আমাকে বোঝ?

তোমাকে বলেছিলাম, আমি পারি না মানুষের মনে কষ্ট দিতে। চাই না আমার কোন ব্যবহার দ্বারা কেউ কোন কষ্ট পাক, বিন্দুমাত্রও। তবে সেটাই কি আমার জন্য কাল হয়ে দাড়ালো? কেন তুমি আমার এই দুর্বল অবস্থানটার সুযোগ নিলে?

তুমি আমাকে যেমনটি চাও, ঠিক তেমনটি কিন্তু আমিও চাই। আমিও চাই তোমাকে চিরদিনের জন্য আপন করে পেতে। কিন্তু জীবনের কঠিন বাস্তবতা যে আমাদের সামনে। আর তোমাকে এখন থামতে হবে। টেনে ধরতে হবে তোমার আবেগের রাশ।

গতদিনই আমি এটা প্রথম টের পেলাম। আমি আমার কাজের ফাকে ল্যাপ্টপের স্ক্রীনে তোমার ছবিগুলো মনের অজান্তেই দেখা শুরু করলাম। আবার ৩-৪টা দেখেই সাথে সাথে নিজেকে প্রশ্ন করলাম এ আমি কি করছি? বন্ধ করে ফেললাম। কেন জানি আমিও ধীরে ধীরে তোমার প্রতি ইমোশলাম হয়ে পড়ছি, হয়তোবা। এটা ছিলো অনেকখানি তারই আভাস। সাথে সাথে তোমাকে ফোন করে বললাম, একটা কথা ছিল।
-কি কথা?
-আমি কিছু সমস্যায় পড়ছি লাস্ট কয়েকদিন ধরে!
-কি সমস্যা?
-(চুপ)!
-কোন ধরনের সমস্যা?
-তোমার রিলেটেড সমস্যা!
-বলে ফেল!
-এখন না, রাতে অফিস থেকে ফেরার সময় বলবো!

রাত পার হয়ে সকাল, সকাল থেকে বিকাল, আবার রাত। হয়না আর তোমাকে বলা, বলিই বা কিভাবে? জানি, উপায়টা খুজতে হবে আমাকেই। যে করেই হোক, যে ভাবেই হোক। কারন, আমাকে যে অনেক দূরে যেতে হবে, অনেক পথ অতিক্রম করতে হবে। আমি দেশের আর দশটা সাধারন ছেলের মত জীবনের রাশ এখনই টেনে ধরতে চাই না। চাই না যাত্রা শুরুর আগেই যাত্রা বিরতি দিতে। চাই না ক্ষণিক সুখের মোহে জীবনটাকে বরবাদ করে দীর্ঘস্থায়ী সুখটাকে চিরতরে ধূলিসাৎ করতে।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মে, ২০১১ সকাল ৯:১৬
৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

---অভিনন্দন চট্টগ্রামের বাবর আলী পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয়ী---

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:৫৫





পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেছেন বাবর আলী। আজ বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টায় এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন তিনি।

রোববার বেসক্যাম্প টিমের বরাতে এ তথ্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সমাধান দিন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩১




সকালে কন্যা বলল তার কলিগরা ছবি দিচ্ছে রিকশাবিহীন রাস্তায় শিশু আর গার্জেনরা পায়ে হেটে যাচ্ছে । একটু বাদেই আবাসিক মোড় থেকে মিছিলের আওয়াজ । আজ রিকশাযাত্রীদের বেশ দুর্ভোগ পোয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে গরু দুধ দেয় সেই গরু লাথি মারলেও ভাল।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২০ শে মে, ২০২৪ রাত ১২:১৮


০,০,০,২,৩,৫,১৬, ৭,৮,৮,০,৩,৭,৮ কি ভাবছেন? এগুলো কিসের সংখ্যা জানেন কি? দু:খজনক হলেও সত্য যে, এগুলো আজকে ব্লগে আসা প্রথম পাতার ১৪ টি পোস্টের মন্তব্য। ৮,২৭,৯,১২,২২,৪০,৭১,৭১,১২১,৬৭,৯৪,১৯,৬৮, ৯৫,৯৯ এগুলো বিগত ২৪ ঘণ্টায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×