somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রধানমন্ত্রী জগন্নাথের কান্না শুনতে পান কি?

১৪ ই মে, ২০১১ রাত ১২:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিশববিদ্যালয়ে ১টা চান্সের জন্য কত কষ্টনা করেছি। রাত দিন খেয়ে না খয়ে পড়া। তবু টনক নড়লনা ঢাবির ।আশংকায় কেপে উঠে বুক তবে কি ঢাকা ছাড়তে হবে? চোখের সামনে ভাসে জগন্নাথের ছোট ক্যাম্পাস। না বিমুখ করেনি জগননাথ , নিজের বুকে চির আপন করে নেয় আমাদের । বিশববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার আনন্দে কিযে উন্মাদনা তা ‌এক সাগর কলমের কালিতে লেখে বুঝানোর মত নয় । ভর্তি হওয়ার পর দেখলাম জগন্নাথ এখনও ঠিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মত অবকাঠামোগতভাবে গড়ে উঠেনি । চারদিকে না‌ইয়ের ফিরিস্তি । শুধু নাই আর নাই।তবু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় । যার সাথে জড়িয়ে আছে আমাদের ভাঙ্গা গড়ার স্মৃতি । ২৫ হাজার শিক্ষাথীর্র মা জবি। সন্তানদের কষ্ট দেখা ক্লান্ত আসহায় রমনী । কর্তারা খেয়ে দেয়ে নিজেদের পেট বড় করছে , জবির ভাগ্যে কিছু জুটেনি । আমাদের ক্লাস করার জন্য নির্দিষ্ট কোন শ্রেনী কক্ষ নেই, শ্রেনীকক্ষ সংকট এখন চরম আকার ধারন করেছে । কতৃপক্ষ এ ব্যাপারে নির্বিকার । গত দুয়েক বছর ধরে তারা বলে আসছে আগামি কয়েকদিনের মধ্যে ক্লাস সমস্যার সমাধান হবে। যেসব রুম তালা বদ্দ আছে সে সব খুলে দেয়া হবে । কাজের কাজ শুভংকরের ফাকি । মিথ্যা স্বান্তনা । এখনও তারা একই কথা বলছে । ঠিক কবে খুলে দেয়া হবে কিংবা আদৌ খুলে দেয়া হবে কি না কেউ জানেনা । জগন্নাথ কলেজ ২০০৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয় হ্ওয়ার পর প্রধান গেটকে ঘিরে একটি নতুন একাডেমিক ভবন গড়ে উঠে । এটি ২০ তলা হওয়ার কথা থাকলেও ৭ তলা পর্যন্ত হয়ে তার কাজ বন্দ আছে । ভবনটির জন্য ২০০৯-২০১০ অর্থ বছরে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হলেও অদৃশ্য কারনে নির্মান কাজ শুরু হচেছনা । নতুন ভবনের ৬ তলায় ১ রুমের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী । যেন দু:সহ বেদনা নিয়ে দাড়িয়ে । শিক্ষার্থীদের , সমব্যাথি অসহায় গ্রন্থাগার । তেমন কিছু নেই তার মধ্যে । রেক গুলো প্রায় ফাকা । যেসব রেকে বই আছে সে গুলোও তেমন গুরুত্বপূর্ন নয় । বিদ্যুৎ চলে গেলে অন্ধকারে বসে থাকতে হয় । নেই জেনারেটর এর ব্যবস্হা । ল্রাইব্রেরী রুমটিতে বড়জোর ৩০/৩৫ জন একসাথে বসে পড়তে পারে । তাই প্রতিদিন দুপুরে পড়তে এসে ফিরে যায় অনেক শিক্ষার্থী । লাইব্রেরীতে কোন ফিল্টার নেই । নেই কপিয়ার মেশিন । এক্ষেত্রে বলে রাখা ভাল পুরো জগন্নাথ জুরে চলছে বিশুদ্ধ পানির হাহাকার ।ছেলেরা মেস থেকে পানি খেয়ে আসে আবার মেসে গিয়ে খায় । বার বার কতৃপক্ষকে পানির সমস্যার কথা জানালেও কোন লাভ হয় না । জবির রেফারেন্স রুমের অবস্হা সব থেকে করুন । ভিসি এসব সমস্যার সমাধানে পূর্বাপর এত বেশি আশ্বাস শুনিয়েছেন যে এসব আশ্বাস এখন হাসি নয় , প্রহসনে পরিনত হয়েছে । সাধারন অসহায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে খেলছেন তিনি । লাইব্রেরী সমস্যার কোন সমাধান হবে কি না জানতে চাইলে প্রশাসনের আর একটি তোতা পাখি মার্কা উত্তর হচেছ প্রত্যেক বিভাগের নিজস্ব সেমিনারের জন্য টাকা বরাদ্ধ দেয়া হচেছ । অথচ অনেক ডিপার্টমেন্টের সেমিনার ই নই । অধিকাংশ ডিপার্টমেন্ট তাদের জন্য বরাদ্ধ অফিস রুমের এক কোনা সেমিনার হিসেবে ব্যবহার করছে । কয়েকজন মিক্ষার্থীর বসতে কষ্ট হয় এসব রুমে। বড় জোর ৮কি ১০ জন বসা যায় । অথচ একটি ব্যাচেই শিক্ষার্থী সংখ্যা সর্বনিম্ন ৫০ জন । কোন বিষয়ে অভিযোগ করতে গেলে শিক্ষার্থীদের উল্টা রুষানলে পরতে হয় ।
আমরা কোথায় পড়ব কিভাবে পড়ব জিঙ্গসা করলে শিক্ষদের সোজা উত্তর ভর্তি হয়েছ কেন নতুন ডিপার্টমেন্টে , তোমাদেরতো আমরা ডেকে আনিনি । ভাল না লাগলে চলে যাও । দরজা খোলা । আর থাকতে চাইলে এভাবেই মুখ বন্ধ করে থাকতে হবে । পড়াশুনার পরিবেশ নিয়ে কিছু বলতে পারবেনা । কিন্তু আর কতদিন ? জগন্নাথের প্রতিটি বিভাগে চলছে শিক্ষক সংকট । যো্গ্য শিক্ষকের কথা বলা হলে তার পরিমান হবে শূন্যের কোঠায় । এখন ও বিশ্ববিদ্যালয় চলছে কলেজ থাকাকালীন শিক্ষকদের দ্বারা । প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই শিক্ষার্থীরা দাবি জানিয়ে আসছে এসব শিক্ষকদের অপসারনের জন্য । গত ছয় বছরে জবিতে নতুন শিক্ষক নিয়োগ পেয়েছে অতি নগন্যহারে ।যাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে তাদের মান নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে । জগন্নাথের ধূসর ক্যাম্পাসে বাতাসের সাথে কম্পমান শব্দ কানে ভাসে বিশাল অঙ্কের বিনিময়ে সেকেন্ড ক্লাস পাওয়া শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে । দেশের ইতিহাসে পলিটিকাল ফরমালিটির রক্ষার সর্বোত্তম উদাহরন হচ্ছে জগন্নাথ । পলটিকাল নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকরা ক্লাস লেকচার দিতে এসে নিজেরাই নোঙরা রাজনীতি শুরু করে দেন । তারা রাজনৈতিক মতাদর্শ শিখান শিক্ষার্থীদের । জগন্নাথে নতুন শিক্ষার্থীদের ভর্তির ক্ষেত্রে প্রতি বছরই দুর্নীতির শোরগোল উঠে । এবারও (২০১০-২০১১) তার ব্যতিক্রম হয়নি । এবার নতুন শিক্ষার্থীদের ভতির ক্ষেত্রে বেছে নেয়া হয়েছে এক অভিনব পন্থা । ভাইবাতে তাদের বলা হয়েছে কোন সাবজেক্ট পাবে পরে তাদের জানিয়ে দেয় হবে ।পরে অনেক শিক্ষার্থী মেধা তালিকায় প্রথম দিকে থেকে ও তাদের পছন্তসই সাবজেক্ট পাননি । মাঝে পূর্ন হয়েছে বিশেষ বিবেচনায় ভর্তির কাজ । এসব আদু ভাইরা ক্যাম্পাসে এসেই রাজনীতি শুরু করেন । গত বছর (২০০৯-২০১০) শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলেনর মুখে প্রশাসন ডি ইউনিটের প্রথমবার দেয়া রেজাল্ট বাতিল করতে বাধ্য হয় । পরে ২য় বার রেজাল্ট প্রকাশের পর দেখা যায় ১ম বার চান্স পাওয়া শিক্ষার্থীদের কেউই মেধা তালিকায় স্হান পায়নি । বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মাত্র ক্যান্টিন । বর্তমানে তাও বন্ধ । ক্যান্টিনের খাবার মান যারপরনাই খারাপ । তবু একটা খ্যান্টিনতো ছিল এখন তাও আবার নেই । বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিকক নেতারা তিনবেলার ভোজন এখানে ফ্রি সারেন । তাই খাবারে দাম কমানো কখনো সম্ভব নয় । নেতাদের ফ্রি খাওয়ার খরচ ক্যান্টিন মালিক সাধারন শিক্ষার্থীদের উপর দিয়ে পোষান । এ ব্যাপারে শিক্ষার্থীরা চুপ । ক্যান্টিন মালিকের কাছে তাদের কথার কোন মূল্য নেই । কে চায় মার খেতে ?! তাই সবাই চুপ ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছোট্ট এ ক্যাম্পাসটির একটা বিশাল অংশ জুরে বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখা । শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে এটি অপসারনের দাবি জানালেও অদৃশ্য কারনে অপসারন হচ্ছেনা ব্যাংকের এ শাখাটি । প্রশাসন নির্বিকার । তাদের যেন এক্ষেত্রে কিছুই করার নেই । বিএনপির প্রথম আমলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া নাকি আশ্বাস দিয়েছিলেন এ শাখাটি অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার । ২০০৫ সালে বেশ্ববিদ্যালয় হিসেবে জবির যাত্রার পর তিনি আবার আশ্বাস দিয়েছিলেন । বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পরও একাধিক বার আশ্বাস দেয় হয়েছে কিন্তু কাজের কাজ কিছুই কিছুই হয়নি । একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট একটি । কথাটি শুনতে কেমন যেন করুনা উপচে পরে । জগন্নথের বেলায় সত্য এটিই । আর সিকিউরিটি গার্ডের কথা নাই বা বললাম । জবির দক্ষিন গেটটিকে ঘিরে চলে বিশাল চঁাদা বানিজ্য তাই গেটটি কখনো খোলা হয়না । গেটটির সামনে বানানো হয়েছে গাড়ির গেরেজ । জবি ক্যাম্পাসে বিকাল পাচটার পর ঢুকতে পারেন না শিক্ষার্থীরা । প্রশাসন এ ক্ষেত্রে সরব হলেও বিকেলে ক্যাম্পাসে মাদকের আড্ডা নিয়ে ভীষন নিরব তারা । এক্ষেত্রে বলা চলে সাধারন শিক্ষার্থীদের নিয়ে তামাশা করছে প্রশাসন । সাধারনর শিক্ষর্থিীদের উপর কোন কিছু চাপিয়ে দিতে বিন্দুমাত্র কুন্ঠাবোদ করেন না তারা । অথচ ক্ষমতাসীন ছত্রিসংগঠনের বেলায় তকাদের ভূমিকা জ্বি হুজুর টাইপ । জবির মদিক সমস্যা নিয়ে বিভিন্ন জাতিয় দৈনিকে বার বার খবর প্রকাশিত হলেও প্রশাসন কোন ব্যবস্হা নেয়নি । আমাদের প্রক্টর নেতাদের হাতের ননি । তাকে যেভাবে ঘুরানো হয় তিনি সেভাবে ঘুরেন । তারপরও বর্তামানে বাধ্যতামূলক ছুটিতে তিনি । বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থ নিয়ে বর্তমান প্রশাসন এতটাই সচেতন যে গত কয়বছরে তারা বেবদখল হওয়া জবির ১২টি হল উদ্ধারতো দূরের কথা এগুলো উদ্ধারে উল্লেখযোগ্য কোন কাজই করেনি তারা । ১টা হলের অবস্হানও তাদের কাছে স্পস্ট নয় । আমাদের প্রশাসনের বদান্যতায় সম্প্রতি এক কথিত শহীদ পরিবারের নামে শহীদ আজমল হোসেন হল পুনরায দখল করা হয়েছে । এক্ষত্রে ভিসি নির্বিকার । হলউদ্ধারে একটি কমিটি আছে কিন্তু তাদের কোন কাজ নেই । সাধারন শিক্ষার্থীরা হল উদ্ধারের ন্যায্য দাবিতে আন্দোলনে নামলে তাদের দমনে প্রশাসন বেশ পারঙ্গম । লেলিয়ে দেয়া হয় পেটুয়া পুলিশ বাহিনী । এ ক্ষেত্রে কাজে লাগানো হয় প্রত্যেক বিভাগেরর রাজনৈতিক শিক্ষকদের । ডিপার্টমেন্ট থেকে ছেলেদের হুমকি দেয়া হয় আন্দোলনে না যাবার জন্য । আন্দোলনে নামা সাধারন শিক্ষার্থীদের রক্তে লাল হয় জবি ক্যাম্পাস । গত তিন বছর ধরে প্রশাসন বলে আসছে কেরানি গন্জে ১০৩ একর জায়গা রাখার কাজ প্রক্রিয়াধীন । তা এখনও প্রক্রিয়াধীনই রয়েছে । কোন দিন তার বাস্তব রুপ দেখা যাবে কিনা কে জানে ?।জবির জন্য ১০৩ একর ভূমি অধিগ্রহন আশ্বাসেই মৃত্যু বরন করবে এমন আত্নবিশ্বাস জবির প্রতিটি শিক্ষীর্থীর । এত দিনে শিক্ষার্থীরা বুঝে গেছে এটা স্রেফ প্রশাসনের চালবাজি । শহীদ আজমল হোসেন হল নতুন করে বেদখল হওয়ার খবরে সম্প্রতি ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে । একটা আন্দোলন দানা বাধতে পারে এমন আশংকায় পশাসন তরি ঘরি করে ছাত্র – শিক্ষক – কর্মককর্তা – কর্মচারি ব্যনারে মানববন্ধনের আযোজন করে । প্রগতিশীল ছাত্র জোট দীর্ঘদিন ধরে হল উদ্ধারের দাবিতে আন্দোলন করে আসলেও তাদেরকে এ ব্যাপারে কিছুই জানানে হয়নি । আন্দোলনের ব্যাপারে কিছুই জানেনা হল উদ্ধার আন্দোলনের নেতারা । ক্যাম্পাসে সাধারন শিক্ষর্থীদের অধিকার নিয়ে বাম দল গুলো সচেতন হলেও তারা তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলতে পারছেন না ।ক্যাম্পাসে খাবার পানি নেই , বাথ রুমগুলোর আবস্হা যাচ্ছেতাই , পরীক্ষা দেবার জন্য আলাদা কোন রুম নেই , জবির ক্যান্টিনে খাওয়া আর শেরাটন হোটেল খাওয়া একই কথা , সেই আর্থে সেমিনার রুম নেই বলা ভাল , লাইব্রেরীর বেহাল দশা , তার দিকে তাকালে যেন মায়া হয় । আর গত পাচ বছরে হল উদ্ধারতো হয়-ই নি। প্রশাসন এ ক্ষেত্রে চুরান্ত ভাবে ব্যর্থ , উল্টো হলগুলো নতুন করে দখলে নিল ভূমি দস্যুরা । মেস জীবনের গানি টানতে টানতে জীবন শেষ মেধা চর্চার সময কোথায় জবি শিক্ষার্থীদের । তবু পড়তে চাই আমরা সাধারন শিক্ষার্থীরা । আমাদের বাবার টাকা নেই । চাইলেই আমরা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যডমিশান নিতে পারিনা । পারলে হয়তো এত কষ্ট করে পাবলিকে ভর্তিযুদ্ধে লিপ্ত হতাম না । কিন্তু এসব কি হচ্ছে আমাদের প্রিয় ক্যাম্পাসে ?। দুই দলের সংঘর্ষ যেন প্রতিদিনকার ব্যাপার । তারা রামদা – চপাতি হাতে মারামরি করে ।কখনো গুলি ছুরে । প্রশাসন-পুলিশ তখন শান্ত দর্শক । সবশেষে সাধারন শিক্ষার্থীদের উপর শুরু হয় পুলিশের অ্যাকশন । পলিশের নির্যাতনের শিকার হই আমরা । সব কছু মুখ বুঝে সহ্য করতে হয় । তবু শন্তি নেই । আদুভাইদের মারামারির ফলে বন্ধ হয়ে যায় ক্যাম্পাস । ক্লাস বন্ধ থাকে ।তারপর শেসন জটের ফিরিস্তি না বললেও চলে । একবার ভাবি শিক্ষকদের কথা শুনে শুধু ডিপার্টমেন্ট নয় বিশ্ববিদ্যালয় ছেরে চলে যাই ।কিন্তু তাদের কথা ভেবে থমকে দাড়াতে হয় যে মুখগোলো আমাদের পনে তাকিয়ে আছে । তারা আমাদের সাফল্য দেখার জন্য ব্যাকুল অপেক্ষায় আছে । আমাদের মা – বাবা – শুভাকাঙ্খি । আমাদের কাছে তাদের চাওয়াতো আমরা শিক্ষা আর সাফল্য নিয়ে ক্যাম্পাস থেকে মানুষের মত মানুষ হয়ে বেরুই । কিন্তু জগন্নাথে সে সুযোগ কই । আমাদের প্রশাসন পাথরসম কঠিন । তারা আমাদের দু:খ বুঝেনা।আমাদের আহাজারি তাদের কানে পৌছায়না । তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার পানে তাকিয়ে আমরা জবির ২৫ হাজার মিক্ষার্থী । আমাদের হল দেন , পড়ার পরিবেশ দেন । একবার জবিতে এসে দেখে যান জবির গরীব মিক্ষার্থীদের দু:খ ।কি পরিমান কষ্ট আমরা করছি ? নিজের চোখে দেখে যান । আপনাকে সমব্যাথি হিসেবে পাশে চাই আমরা ।আপনিতো মা বুঝবেন না সন্তানের কষ্ট ? হলের জন্য কঁান্না জবির অসহায় শিক্ষার্থীদের , কাঁন্না তার বোবা দালান আর উড়ন্ত ধোলা-বালির , বেদনা সিক্ত চোখের পানির স্রোত পুরো জবি জুড়ে । চির বৈষম্যের শিকার জবি কঁাদছে । প্রধানমন্ত্রী এ কাঁন্না আপনি শুনতে পানকি ? প্রধানমন্ত্রী এ কাঁন্না আপনার কানে পৌছেকি ?

লেখক: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী । জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইত্তেফাক প্রতিনিধি সরোজ মেহেদী
[email protected]

২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×