সাংবাদিক পেটানোর ঘটনার দায় স্বীকার করে নিয়েছেন ওই মামলায় কারাগারে যাওয়া সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি।
Published : 25 Jul 2013, 06:25 PM
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “ঘটনার পূর্বাপর বিশ্লেষণে বোঝা যায়, আমি মূলত পরিস্থিতির শিকার। এই ঘটনায় সাংবাদিক বন্ধুদের সঙ্গে অসংযত আচরণের দায় পুরোপুরি আমার।”
এজন্য সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে আওয়ামী লীগের এই সংসদ সদস্য আশা করেছেন, এর মধ্য দিয়েই এই জটিলতার অবসান ঘটবে।
গত শনিবার তোপখানা সড়কের মেহেরবা প্লাজায় রনির কার্যালয়ে নির্যাতনের শিকার হন ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের দুই সংবাদকর্মী।
রনি ঘটনার পর দুঃখ প্রকাশ করলেও মারধরে নিজের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেন। এরপর ইনডিপেনডেন্ট কর্তৃপক্ষ মামলা করলে বুধবার সংসদ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রনিকে আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এদিনই সংসদ সদস্যের প্যাডে রনির কার্যালয় থেকে ওই ঘটনার বিষয়ে বিবৃতি পাঠানো হয়।
আওয়ামী লীগের এই সংসদ সদস্য দাবি করেছেন, টেলিভিশন অনুষ্ঠান এবং সংবাদপত্রে লেখালেখির কারণেই এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার মুখে পড়েছেন তিনি।
“অনেকের মতো আমিও মনে করি, আমাদের এই রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন প্রয়োজন। এই সমাজে স্পষ্ট কথা বলা/লেখার লোকের সংখ্যা দ্রুত কমছে। এ অবস্থায় আমার লেখায়/আলোচনায়/বক্তব্যে প্রশংসা ও তিরস্কার দুটোই জুটেছে। নানা বিষয়ে মতপার্থক্য এবং দৃষ্ঠিভঙ্গির ভিন্নতার কারণে সম্প্রতি আমি এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার মুখোমুখি হই।”
সাংবাদিক নির্যাতনের পর রনির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিভিন্ন সংগঠন থেকে দাবি উঠেছে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, রনির দোষ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রনি নিজেও বলেছেন, দল বিব্রত বোধ করলে তিনি সংসদ সদস্যপদ ছেড়ে দেবেন। তবে আওয়ামী লীগেই থাকবেন।
“আমি বরাবরই আওয়ামী লীগ এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নীতি-আদর্শে বিশ্বাসী, অনুগত ও নিবেদিতপ্রাণ এক কর্মী। ভবিষ্যতেও আমি কখনো এ থেকে বিচ্যুত হব না।
“তার (বঙ্গবন্ধু) স্পষ্টবাদিতা এবং সাহস আমার পাথেয়। আর রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে আরো গতিশীল এবং নিরাপদ করাই আমার লক্ষ্য।”