ভূমিকা : আজকাল ডিজুস প্রেমের যুগে রবীন্দ্রীয় মার্কা প্রেম কেউ পছন্দ করে না। এখন হলো ধর ধর মার মার কাট কাট টাইপ প্রেম...ডাইরেক্ট একশান। গুল্টু গুল্টু কবি কবি রবি বাবু মেঝদি টাইপের প্রেম এ কোন মেয়ে পড়েও না আবার ছেলেরাও ফেলে না....তাও আমি একটু ওল্ড মডেলের...ভাবনা সমৃদ্ধ প্রেমের দৃশ্য আঁকার চেষ্টা করলাম। আমি জানি নেটিও (নেটওয়ার্ক যুগের) পোলাপান এটা একটুও পছন্দ করবে না তারপরেও লিখলাম আরকি...............
দৃশ্য-১
বাস থেকে নেমে ঘড়ি দেখতেই ফযরের আজান কানে এলো। চারিদিন নির্জন অন্ধকার। আমাদের গন্তব্য আরও ১৮ কি:মি: দূরে। রিক্সাই একমাত্র বাহন। অনেক চেষ্টায় একটা রিক্সা পেলাম। রিক্সায় উঠে হাত বাড়ালাম। তুমিও উঠে বসলে। প্রচন্ডে শীত পড়েছে। রিক্সা ফাকা রাজপথের মধ্যে ছুটে চলছে। আরও ঠান্ডা লাগা শুরু হয়েছে, নি:শ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছে। তোমার পড়নে সাদা লাল পাড়ের তসর শাড়ী ও মেরুন উলেন শাল। আমার পরনে জিন্সের সাথে ঘিয়া পান্জাবী। ১০/১৫ মিনিট পার হয়ে গেল আমাদের মধ্যে একটি কথাও হলো না। ঠান্ডায় আমি প্রায় জমে যাচ্ছিলাম, আমার অসহায় অবস্থা দেখে তুমি তোমার চাদরের এক অংশ আমার গায়ে জড়িয়ে পরম মমতায় আমার হাতটি ধরে রাখলে।
দৃশ্য-২
রিক্সা রাজপথ ছেড়ে আস্তে আস্তে মেঠো পথে প্রবেশ করলো। এরমধ্যে চারদিকে হালকা আলো ছড়িয়ে পড়ল। গ্রামের মাঝে রাস্তা, এমনিতেই কাঁচা তারপর আকাঁবাকাঁ। চারদিকে শুধু সবুজ আর সবুজ। রাস্তার দুপাশে বড় বড় হিজল গাছগুলো একটি আরেকটিকে যেন ছুয়ে আছে। দুরে ছড়িয়ে আছে কয়েকটি গ্রাম। অদ্ভুত লাগছিল চারদিকটা। শহরের কোলাহল থেকে এযেন এক অন্য জগত। ২/১ জন সকালে হাটতে বের হয়েছে। আমারো খুব হাটতে ইচ্ছে হচ্ছিল কিন্তু এ ঠান্ডায় তোমাকে বলতে সাহস হচ্ছিল না। হঠাৎ তুমি বললে, বাকিটা আমরা হেটে যাব। আমরা হাটতে শুরু করলাম। তোমার পড়নে জিন্সের সাথে গোলাপী ফতুয়া আর দুই বেনী দুলিযে তুমি হাটছো, কখনো তোমার কাধ স্পর্শ করছে কখনো করছে না। পায়ে হেটে চলছি দু’জনে, সকালের সবুজ ঘাসে তোমার পা ছুয়ে ছুয়ে যাচ্ছে। ভোরের মৃদু বাতাসের সাথে আমাদের মনও আন্দোলিত হচ্ছে। কখন যে তোমার হাত ধরেছি বলতে পারবো না। গুনগুন করে তুমি গাইছো, ”এই লভিনু সঙ্গ তবে, সুন্দর হে সুন্দর”।
পরবর্তী দৃশ্যের জন্য অপেক্ষায় থাকুন.....
বি:দ্র: ছবিগুলোর জন্য ব্লগার রানার কাছে কৃতঙ্গতা।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:০৯