সেই ১৯৯৪ সালে এস এস সি পাশ করেছি কিন্তু রেজাল্ট দেয়ার এই দিনটা মনে পড়লেই সেই নির্ঘুম দীর্ঘ রাতের কথা মনে পড়ে। টেষ্ট পরীক্ষায় ফাস্ট হয়েছিলাম পরীক্ষাও দিয়েছি বেশ। মন ফুরফুরা খাচ্ছি, দাচ্ছি, বেড়াচ্ছি এক কথায় নো চিন্তা ডু ফূর্তি। আমাদের সে সময় তিন মাস পর রেজাল্ট দিতো। আনন্দে ফূর্তিতে কেটে গেলো তিন মাস, খবর পেলাম কাল রেজাল্ট দিচ্ছে। শুরু হয়ে গেলো পেট মোচরানো, দিনটা চিন্তায় চিন্তায় কাটলো, কিন্তু রাতটাতো বেজায় কালো! সারাদিন কিছু খেতে পারিনি। এতদিনের আত্ববিশ্বাস বেলুনের মত ফুটে গেলো! মাঝে মাঝে মনে হলো অংক পরীক্ষায় রাজ্জাক আমার খাতা নিয়ে লিখেছিলো ও কি তাহলে উল্টাপাল্টা কিছু করলো! নাহ্ রাজ্জাক আমার ভালো বন্ধু ওহ করতেই পারে না। আচ্ছা ইংরেজী দ্বিতীয় পত্র প্রশ্ন কঠিন হয়েছিলো তাহলে ওটাতে কি ডাব্বা মারবো! আরে না ইংরেজীতে প্রথম পত্র সুপার হয়েছে। চোখ বুঝলেই অদ্ভুত অদ্ভুত সপ্ন আমায় ঘিরে ধরছে আমি জেগে থাকছি এতো বাজে সপ্ন আমি দেখতে চাই না! আজানের ধ্বনি আমার কানে এসে পৌছলো খুব মধুর লাগছিলো সেই আজানের ধ্বনি। ঘর থেকে ঘুমে ঢুলুঢুলু চোখে বের হতে গিয়েই খেলাম আছাড়। ধপাস শব্দে আম্মা জেগে উঠলেন। দৌরে এসে আমাকে উঠালেন। ওনার চেহারায় চিন্তার রেখা স্পষ্ট দেখতে পেলাম। গ্রামে কিছু কুসংস্কার আছে তেমন আমি নাকি বাধা খাইছি!আজ রেজাল্ট সকালেই আছাড় না জানি কপালে কি আছে। আমিও চিন্তায় পড়ে গেলাম নাস্তা না খেয়েই রেজাল্ট আনতে ছুটলাম উপজেলা অফিসে। বেলা ১১ টায় টানিয়ে দেয়া হলো রেজাল্ট, আমি স্টার পেয়েছি, আমি কাঁদছি জানি এ কান্না আনন্দের, ১০ বছর সাধনার ফল! তখনতো মোবাইল ছিলো না খবরটা বাড়িতে পৌছাতে হবে, রিকশায় উঠলাম মনে হচ্ছে রিকশা চলছে না অথবা রিকশাওয়ালা রিকশা চালানো ভুলে গেছে! খারাপ খবর নাকি বাতাসের আগে ছড়ায় আমি ভালো রেজাল্ট করছি আম্মাকে জানানোর জন্য হাসপাস করছি বেচারী জানি কত টেনশন করছে। অবেশেষে খবরটা নিয়ে বাড়ি আসলাম কিন্তু মনে হচ্ছে উপজেলা থেকে বাড়ির পথ একযুগেরও বেশি! যারা পাশ করেছেন তাদের জন্য শুভেচ্ছা রইলো আর যে ব্লগারদের আত্বিয় স্বজন পাশ করেছে তাদের আমার শুভেচ্ছা জানিয়ে দিবেন।
এস এস সি'র রেজাল্ট এবং দীর্ঘ রাত!!
সেই ১৯৯৪ সালে এস এস সি পাশ করেছি কিন্তু রেজাল্ট দেয়ার এই দিনটা মনে পড়লেই সেই নির্ঘুম দীর্ঘ রাতের কথা মনে পড়ে। টেষ্ট পরীক্ষায় ফাস্ট হয়েছিলাম পরীক্ষাও দিয়েছি বেশ। মন ফুরফুরা খাচ্ছি, দাচ্ছি, বেড়াচ্ছি এক কথায় নো চিন্তা ডু ফূর্তি। আমাদের সে সময় তিন মাস পর রেজাল্ট দিতো। আনন্দে ফূর্তিতে কেটে গেলো তিন মাস, খবর পেলাম কাল রেজাল্ট দিচ্ছে। শুরু হয়ে গেলো পেট মোচরানো, দিনটা চিন্তায় চিন্তায় কাটলো, কিন্তু রাতটাতো বেজায় কালো! সারাদিন কিছু খেতে পারিনি। এতদিনের আত্ববিশ্বাস বেলুনের মত ফুটে গেলো! মাঝে মাঝে মনে হলো অংক পরীক্ষায় রাজ্জাক আমার খাতা নিয়ে লিখেছিলো ও কি তাহলে উল্টাপাল্টা কিছু করলো! নাহ্ রাজ্জাক আমার ভালো বন্ধু ওহ করতেই পারে না। আচ্ছা ইংরেজী দ্বিতীয় পত্র প্রশ্ন কঠিন হয়েছিলো তাহলে ওটাতে কি ডাব্বা মারবো! আরে না ইংরেজীতে প্রথম পত্র সুপার হয়েছে। চোখ বুঝলেই অদ্ভুত অদ্ভুত সপ্ন আমায় ঘিরে ধরছে আমি জেগে থাকছি এতো বাজে সপ্ন আমি দেখতে চাই না! আজানের ধ্বনি আমার কানে এসে পৌছলো খুব মধুর লাগছিলো সেই আজানের ধ্বনি। ঘর থেকে ঘুমে ঢুলুঢুলু চোখে বের হতে গিয়েই খেলাম আছাড়। ধপাস শব্দে আম্মা জেগে উঠলেন। দৌরে এসে আমাকে উঠালেন। ওনার চেহারায় চিন্তার রেখা স্পষ্ট দেখতে পেলাম। গ্রামে কিছু কুসংস্কার আছে তেমন আমি নাকি বাধা খাইছি!আজ রেজাল্ট সকালেই আছাড় না জানি কপালে কি আছে। আমিও চিন্তায় পড়ে গেলাম নাস্তা না খেয়েই রেজাল্ট আনতে ছুটলাম উপজেলা অফিসে। বেলা ১১ টায় টানিয়ে দেয়া হলো রেজাল্ট, আমি স্টার পেয়েছি, আমি কাঁদছি জানি এ কান্না আনন্দের, ১০ বছর সাধনার ফল! তখনতো মোবাইল ছিলো না খবরটা বাড়িতে পৌছাতে হবে, রিকশায় উঠলাম মনে হচ্ছে রিকশা চলছে না অথবা রিকশাওয়ালা রিকশা চালানো ভুলে গেছে! খারাপ খবর নাকি বাতাসের আগে ছড়ায় আমি ভালো রেজাল্ট করছি আম্মাকে জানানোর জন্য হাসপাস করছি বেচারী জানি কত টেনশন করছে। অবেশেষে খবরটা নিয়ে বাড়ি আসলাম কিন্তু মনে হচ্ছে উপজেলা থেকে বাড়ির পথ একযুগেরও বেশি! যারা পাশ করেছেন তাদের জন্য শুভেচ্ছা রইলো আর যে ব্লগারদের আত্বিয় স্বজন পাশ করেছে তাদের আমার শুভেচ্ছা জানিয়ে দিবেন।
আকুতি
দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন
ক- এর নুডুলস
অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।
ক
একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন
কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???
কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???
আপনারা যারা আখাউড়ার কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন
তবে এই কথাটা শুনেও থাকতে পারেন ।
আজকে তেমন একটি বাস্তব ঘটনা বলব !
আমরা সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন
স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু
২-১ : আলিফ-লাম-মীম
আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে
তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ
১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন